নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোটের মাঠে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট আট দিন মাঠে থাকবে তারা।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসাইন মুহাম্মাদ মাসীহুর রাহমান।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ২৯ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী মাঠে সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
ইসি জানায়, ৩০০ সংসদীয় আসনে আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
চিঠিতে জানানো হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময়সীমা ব্যতীত) সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ প্রদান করা হলো।
সশস্ত্র বাহিনীর নিয়োজিত দলসমূহ ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনি বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারীকৃত ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের সপ্তম ও দশম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী কাজে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের পরামর্শে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করবে।
যেসব সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী :
১. সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবে।
২. রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা/উপজেলা/থানায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হবে।
৩. নির্বাচনি সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।
৪. সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান (মোতায়েন ছক) চূড়ান্ত করে বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদামতো আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
৫. ভোটগ্রহণের দিন, তার আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে হবে।