টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা যদি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই রাজনৈতিক স্মৃতিশীলতা দরকার। দেশের শান্তি দরকার এবং সুষ্ঠ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। এই সরকার জাতীর কাছে সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর মুশুদ্দি উত্তরপাড়া গ্রামে খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে একটি রাজনীতি দল আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। নির্বাচন করতে দিবে না, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলতে দেবে না। তারা দেশের কল্যাণ ও মঙ্গল চায় না। আমরা ২০১৪-১৫ সালে দেখেছি তারা গাড়ি পুড়িয়েছে। আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ২৮ তারিখেও একই কায়দায় পুলিশকে হত্যা করেছে। এটা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, তাদেরকেই ধরপাকড় করা হচ্ছে যে সব বিএনপির নেতারা তাদের কর্মীদেরকে সন্ত্রাস করার জন্য উস্কে দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। তাদের যানবাহনের নিরাপত্তা দেয়া। বিএনপির কোনও শান্তিপ্রিয় নিরীহ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করছে। কোনোক্রমেই বিএনপির কোনও শান্তিপ্রিয় নিরীহ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। টাঙ্গাইলে বিএনপির একজন নেতাকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়নি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য ধরপাকড় করা হচ্ছে না। বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের আগুনসন্ত্রাস ও সন্ত্রাস করার জন্য প্ররোচিত করছে, উসকানি দিচ্ছে। গ্রেফতার করা ছাড়া তাদেরকে নিবৃত্ত করা যাবে না। মানুষের জানমাল, গাড়ি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা এবং দোকানপাট খোলা রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত রাখা সরকারের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
বিএআরসি কর্তৃক তৈরি ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা সরেজমিন দেখে মন্ত্রী বলেন, দেশের যেকোনও মৌজার সুনির্দিষ্টভাবে একটি প্লট বা জমিতে কী ধরনের ফসল হবে, কতটুকু সার, বীজ লাগবে- সব তথ্য খামারি অ্যাপে পাওয়া যাবে। এই অ্যাপ ব্যবহার করলে ধান আবাদে সারের পরিমিত ব্যবহার করা যাবে, এতে ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি সারের খরচ এক হাজার টাকা কমবে। ধানের ফলনও বিঘাপ্রতি এক মণ বাড়বে।
তিনি বলেন, দেশের চাষিরা ইউরিয়া ও অন্যান্য সার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহার করে। বেশি সার দিলেই বেশি ফলন হয় না। যতটুক দরকার, ততটুকুই দিতে হবে। এক্ষেত্রে খামারি অ্যাপ কৃষকদের সহায়তা করবে।
ব্রি ধান ১০৩ এর নমুনা কর্তন শেষে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশে জমি কমছে। ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান বজায় রাখতে হলে উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি 






















