Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার রাস্তাঘাট বন্ধ করবে কি না, জানতে চেয়েছেন পিটার হাস : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সড়ক বন্ধ করা হবে কি না তা জানতে চেয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। আমাদের এ ধরনের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছি। তবে তারা (বিএনপি) যদি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করে তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।

রোববার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে মন্ত্রীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পিটার হাস বলেছেন, তোমরা আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেবে না কি? আমরা বলেছি, আসা-যাওয়া বন্ধ কেন করব! ঢাকায় তো সবারই প্রয়োজন। রোগীর প্রয়োজন, বিদেশে যাওয়ার হলে সব কিছু তো ঢাকা কেন্দ্রীক। কাজেই আসা-যাওয়া বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না। তারা আসবে, তারা যাবে, সেখানে আমরা বাধা দেব না। আমরা কোনো চিন্তাও করছি না। আমরা শুধু এটুকু বলব, তারা যেন কোনো ভায়োলেন্সে লিপ্ত না হয়। রাস্তায় চলাচল তারা যেন সচল রাখে। এটুকুই আমাদের রিকোয়েস্ট, আমরা তাকে জানিয়ে দিয়েছি।

একজন রাষ্ট্রদূত একটি রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট কর্মসূচির বিষয়ে জানতে এসেছেন, এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ভেতরে পড়ে কি না প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্ন আমি আপনাদের কাছে করতে চাই। আমার কথা হচ্ছে, তিনি এসেছেন। তিনি একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা তাকে উত্তর দিয়েছি। এটা করতে পারে কি পারে না সেটা আমার দেখার বিষয় না। সেটা আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেছেন ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে রাজপথ। বিএনপিও কর্মসূচি দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। আমাদের নেতাদের উজ্জীবিত রাখার জন্য আমাদের রাজনৈতিক নেতারা বলবেনই এগুলো। কেউ বলবে আমরা দখলে রাখব, কেউ বলতে তারা দখলে রাখবে; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার কথা হলো, যে কর্মসূচি দিক, রাস্তা-ঘাট বন্ধ না করে জনচলাচলের বিঘ্নতা না ঘটিয়ে, সাধারণ মানুষের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয় সেই অনুরোধ রাখব।

পিটার হাস কেবল ২৮ অক্টোবরের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু নিয়ে আলাপ করেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাপ হয়েছে। তারা কিছু রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন দেশে নিতে চান, আমাদের এসবি ক্লিয়ারেন্স দেরি হয়। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, এটা আমাদেরও মাথাব্যথা। অন্য দেশে যদি নিয়ে যায়, আমরা স্বাগত জানাই। এ জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সে ব্যবস্থাটা করব। এছাড়া, পূজা নিয়ে আলাপ হয়েছে এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি ওই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের নেই। আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন। কর্মসূচি যদি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেন, তবে আমাদের কিছু বলার নেই।

মন্ত্রী বলেন, সমাবেশে যেন কোনো সহিংসতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন কোনো হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকার বাইরে থেকে ২৮ তারিখ যদি দশ লাখ লোক আসে তাহলে কতটা যানজট হবে বুঝতেই পারছেন। তবে পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।

তিনি বলেন, পিটার ডি হাস রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেছেন। রোহিঙ্গাদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা সে বিষয়েও কথা বলেছেন। আমরাও বিষয়টি সমর্থন করেছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তারা (বিএনপির কর্মীরা) ঢাকায় আসবে, তারা যাবে, সেখানে আমরা বাধা দেব না। আমাদের কথা হলো এটুকু, আমরা ঢাকা শহর অচল হতে দেব না।

তিনি বলেন, যদি ১০ লাখ লোক বা আরও বেশি ঢাকা শহরে ঢোকে, যেটা তারা (বিএনপি) বলছেন, তাহলে তো মিসম্যাচ হয়ে যাবে কমিউনিকেশন, এটা-ওটা। এগুলো যাতে তারা না করে সেটার জন্য আমরা অনুরোধ করব।

বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় সচেষ্ট থাকবে রাস্তা-ঘাট যাতে অচল না হয়। ১০ লাখ লোক যদি বাইরে থেকে আসে; তারা যেটা প্রোগ্রাম নিয়েছে তাহলে কী হতে পারে, এমনিতেই যানজটের শহর আমাদের ঢাকা। সেখানে একটা তীব্র যানজট হতে পারে। বিভিন্ন সেবা নেওয়ার জন্য বা বিদেশে যাওয়ার জন্য যারা আসবে তারা বিভিন্ন অসুবিধার মুখে পড়বে। এটা আমাদের পুলিশ বাহিনী ধৈর্যের সঙ্গে দেখবে। যেখানে যা করা দরকার রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার করার জন্য তা তারা করবেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকার রাস্তাঘাট বন্ধ করবে কি না, জানতে চেয়েছেন পিটার হাস : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

প্রকাশের সময় : ০৫:৪১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সড়ক বন্ধ করা হবে কি না তা জানতে চেয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। আমাদের এ ধরনের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছি। তবে তারা (বিএনপি) যদি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করে তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।

রোববার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে মন্ত্রীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পিটার হাস বলেছেন, তোমরা আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেবে না কি? আমরা বলেছি, আসা-যাওয়া বন্ধ কেন করব! ঢাকায় তো সবারই প্রয়োজন। রোগীর প্রয়োজন, বিদেশে যাওয়ার হলে সব কিছু তো ঢাকা কেন্দ্রীক। কাজেই আসা-যাওয়া বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না। তারা আসবে, তারা যাবে, সেখানে আমরা বাধা দেব না। আমরা কোনো চিন্তাও করছি না। আমরা শুধু এটুকু বলব, তারা যেন কোনো ভায়োলেন্সে লিপ্ত না হয়। রাস্তায় চলাচল তারা যেন সচল রাখে। এটুকুই আমাদের রিকোয়েস্ট, আমরা তাকে জানিয়ে দিয়েছি।

একজন রাষ্ট্রদূত একটি রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট কর্মসূচির বিষয়ে জানতে এসেছেন, এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ভেতরে পড়ে কি না প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্ন আমি আপনাদের কাছে করতে চাই। আমার কথা হচ্ছে, তিনি এসেছেন। তিনি একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা তাকে উত্তর দিয়েছি। এটা করতে পারে কি পারে না সেটা আমার দেখার বিষয় না। সেটা আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেছেন ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে রাজপথ। বিএনপিও কর্মসূচি দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য। আমাদের নেতাদের উজ্জীবিত রাখার জন্য আমাদের রাজনৈতিক নেতারা বলবেনই এগুলো। কেউ বলবে আমরা দখলে রাখব, কেউ বলতে তারা দখলে রাখবে; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার কথা হলো, যে কর্মসূচি দিক, রাস্তা-ঘাট বন্ধ না করে জনচলাচলের বিঘ্নতা না ঘটিয়ে, সাধারণ মানুষের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয় সেই অনুরোধ রাখব।

পিটার হাস কেবল ২৮ অক্টোবরের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু নিয়ে আলাপ করেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাপ হয়েছে। তারা কিছু রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন দেশে নিতে চান, আমাদের এসবি ক্লিয়ারেন্স দেরি হয়। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি, এটা আমাদেরও মাথাব্যথা। অন্য দেশে যদি নিয়ে যায়, আমরা স্বাগত জানাই। এ জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা সে ব্যবস্থাটা করব। এছাড়া, পূজা নিয়ে আলাপ হয়েছে এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি ওই ধরনের কোনো প্রোগ্রাম আমাদের নেই। আমরা মনে করি, তারা যে রাজনৈতিক এজেন্ডা দিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে করবেন। কর্মসূচি যদি তারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেন, তবে আমাদের কিছু বলার নেই।

মন্ত্রী বলেন, সমাবেশে যেন কোনো সহিংসতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন কোনো হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকার বাইরে থেকে ২৮ তারিখ যদি দশ লাখ লোক আসে তাহলে কতটা যানজট হবে বুঝতেই পারছেন। তবে পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।

তিনি বলেন, পিটার ডি হাস রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কথা বলেছেন। রোহিঙ্গাদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা সে বিষয়েও কথা বলেছেন। আমরাও বিষয়টি সমর্থন করেছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তারা (বিএনপির কর্মীরা) ঢাকায় আসবে, তারা যাবে, সেখানে আমরা বাধা দেব না। আমাদের কথা হলো এটুকু, আমরা ঢাকা শহর অচল হতে দেব না।

তিনি বলেন, যদি ১০ লাখ লোক বা আরও বেশি ঢাকা শহরে ঢোকে, যেটা তারা (বিএনপি) বলছেন, তাহলে তো মিসম্যাচ হয়ে যাবে কমিউনিকেশন, এটা-ওটা। এগুলো যাতে তারা না করে সেটার জন্য আমরা অনুরোধ করব।

বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় সচেষ্ট থাকবে রাস্তা-ঘাট যাতে অচল না হয়। ১০ লাখ লোক যদি বাইরে থেকে আসে; তারা যেটা প্রোগ্রাম নিয়েছে তাহলে কী হতে পারে, এমনিতেই যানজটের শহর আমাদের ঢাকা। সেখানে একটা তীব্র যানজট হতে পারে। বিভিন্ন সেবা নেওয়ার জন্য বা বিদেশে যাওয়ার জন্য যারা আসবে তারা বিভিন্ন অসুবিধার মুখে পড়বে। এটা আমাদের পুলিশ বাহিনী ধৈর্যের সঙ্গে দেখবে। যেখানে যা করা দরকার রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার করার জন্য তা তারা করবেন।