নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, তারা (সরকার) যদি মনে করে, আমার কাজে এখানে ব্যত্যয় ঘটেছে, তাহলে আমাকে যেতে বললে আমি চলে যাব। আমার এখানে আঁকড়ে ধরা বা নিজেকে জাস্টিফাই করার কোনো কিছু নেই।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ দাবি করেছিল। পরে শিক্ষা সচিবকে সরিয়ে দেয়া হলো। এখন শিক্ষা উপদেষ্টা কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা সরকার বিবেচনা করবে। এখানে কোনো রকমের অব্যবস্থাপনা হয়নি। আমি সেটাই বোঝাতে চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, ব্যবস্থায় নিদিষ্ট যে নিয়ম কানুন আছে সেটা…। শিক্ষা সচিবকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেটা উচ্চতর একটা কমিটির সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম না। তাকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেটার উত্তর আমি দিতে পারব না।
পদত্যাগ করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আপনি আমাকে জেরা করতে পারেন না। আমার পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে। সেখানে আমার নিজে থেকে করার কোনো অভিপ্রায় নেই। কারণ আমার কাজে কোনো ব্যত্যয় হয়েছে বলে আমি মনে করি না। ঘটনার পরম্পরায় আমি আপনাদেরকে জানালাম। আপনারা সেটা বিবেচনা করবেন, সেটা ঠিক কি বেঠিক। আমারতো নিয়োগপত্রও রয়েছে।
‘সাময়িকভাবে শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই একটু অব্যবস্থাপনা ও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন, বিষয়টি এখন কীভাবে নিচ্ছেন’— এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা যদি মনে করেন… তারা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন; আমার আজকের বক্তব্যের পর তাদের ধারণাটা পাল্টাবে বলে আমি মনে করি।’
গভীর রাতে পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা সম্পর্কে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বাস্তবে অনেক শিক্ষার্থী-অভিভাবক অসন্তুষ্টও হয়েছেন এজন্য যে— সময়মতো কেন পরীক্ষাটা হলো না। কাজেই সেটাও একটু বিবেচনার মধ্যে নিতে হবে। এমন অবস্থায় সিদ্ধান্ত হুট করে নেওয়াটা মোটেও সঠিক না।’
শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার এবং শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জুবায়েরের পদত্যাগ দাবি ঘিরে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে উভয়পক্ষের ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার সচিবালয় এলাকায় সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শুরুতে ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেও একপর্যায়ে তারা সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এসময় পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।