Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ জালানী তেলের দাম বারবার বাড়ানোর কারণে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

শনিবার (২০ মে) দুপুরে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সকল গণতন্ত্রমনা শ্রেণি পেশার মানুষসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একযোগে রাস্তায় নামতে হবে। অনাচারের ওপর ভিত্তি করে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও পারবে না, তাদের পতন আসন্ন।

তিনি আরো বলেন, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে নিষ্ঠুরতা, নিপীড়ন ও সহিংস আক্রমণে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ গণতান্ত্রিক অধিকার এখন ক্ষতবিক্ষত। গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে সরকার এখন বন্দুকের ভাষা ব্যবহার করছে। জনপদের পর জনপদ বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত, নিহত, আহত এবং পঙ্গুত্ব বরণ করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিপীড়িত মানুষ ও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না ভেবেই সরকার এখন শান্তিপূর্ণ যেকোনো কর্মসূচিতেই দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বর্বরোচিত আক্রমণ চালাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ক্ষমতাসীনরা মহাসমারোহে বিপুল দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ-বিত্তের মালিক হয়ে আরাম-আয়েশের যে স্বর্গ রচনা করেছে সেটি যেন হাতছাড়া না হয়, সে জন্য অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিহ্ন করেছে।

বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার (১৯ মে) খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত, খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ চলাকালীন পুলিশ অতর্কিত হামলা এবং গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন- খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হিলটন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ন কবির, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, খুলনা মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সজীব তালুকদার এবং ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান রিপনসহ প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী।

এছাড়া, ২২ নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিফ মিলন, রাসেল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা মো. শহিদুল মোল্লা ও মো. সেকেন্দার শেখসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৯ মে) এবং শনিবার (২০ মে) নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল, মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরীফ মিয়া, সুয়াইর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইয়ার ইসলাম, মদন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. কবির ও জেলা তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান ভূঁইয়া লিটনসহ ৩২ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

খুলনা জেলা ও মহানগরে বিএনপির জনসমাবেশে এই হামলা, গুলিবর্ষণ এবং নেত্রকোনা জেলায় গণগ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খুলনা জেলা, খুলনা মহানগর ও নেত্রকোনায় গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এবং খুলনা জেলা ও মহানগরীতে পুলিশের গুলিতে আহত নেতৃবৃন্দের আশু সুস্থতা কামনাসহ দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও জোর দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৭:২৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ জালানী তেলের দাম বারবার বাড়ানোর কারণে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

শনিবার (২০ মে) দুপুরে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সকল গণতন্ত্রমনা শ্রেণি পেশার মানুষসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একযোগে রাস্তায় নামতে হবে। অনাচারের ওপর ভিত্তি করে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও পারবে না, তাদের পতন আসন্ন।

তিনি আরো বলেন, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে নিষ্ঠুরতা, নিপীড়ন ও সহিংস আক্রমণে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ গণতান্ত্রিক অধিকার এখন ক্ষতবিক্ষত। গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে সরকার এখন বন্দুকের ভাষা ব্যবহার করছে। জনপদের পর জনপদ বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত, নিহত, আহত এবং পঙ্গুত্ব বরণ করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নিপীড়িত মানুষ ও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না ভেবেই সরকার এখন শান্তিপূর্ণ যেকোনো কর্মসূচিতেই দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বর্বরোচিত আক্রমণ চালাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ক্ষমতাসীনরা মহাসমারোহে বিপুল দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ-বিত্তের মালিক হয়ে আরাম-আয়েশের যে স্বর্গ রচনা করেছে সেটি যেন হাতছাড়া না হয়, সে জন্য অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিহ্ন করেছে।

বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার (১৯ মে) খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত, খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ চলাকালীন পুলিশ অতর্কিত হামলা এবং গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন- খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হিলটন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ন কবির, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, খুলনা মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সজীব তালুকদার এবং ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান রিপনসহ প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী।

এছাড়া, ২২ নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিফ মিলন, রাসেল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা মো. শহিদুল মোল্লা ও মো. সেকেন্দার শেখসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৯ মে) এবং শনিবার (২০ মে) নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল, মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরীফ মিয়া, সুয়াইর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইয়ার ইসলাম, মদন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. কবির ও জেলা তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান ভূঁইয়া লিটনসহ ৩২ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

খুলনা জেলা ও মহানগরে বিএনপির জনসমাবেশে এই হামলা, গুলিবর্ষণ এবং নেত্রকোনা জেলায় গণগ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খুলনা জেলা, খুলনা মহানগর ও নেত্রকোনায় গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এবং খুলনা জেলা ও মহানগরীতে পুলিশের গুলিতে আহত নেতৃবৃন্দের আশু সুস্থতা কামনাসহ দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও জোর দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।