Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলছে, অথচ আজকে ব্যাংকের টাকাই নেই : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলছে, অথচ আজকে ব্যাংকের টাকাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজের উদ্যোগে ‘বাজেট সংলাপ ২০২৪’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারের যেসব খাত থেকে আয় করার কথা বলছে, সেসব খাত থেকে আয় করতে পারবে না। কারণ একদিকে মূল্যস্ফীতি, অন্যদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু মানুষ সেই তুলনায় আয় করতে পারছে না। ফলে জনগণ ট্যাক্স কোথা থেকে দেবে। রিজার্ভ ও ডলার সংকট চলছে, আমদানিও কমছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় কমছে। সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলছে, অথচ আজকে ব্যাংকের টাকাই নেই। বাজেটে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনাও নেই।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের এই দুঃসময়ে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা একটা মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হলে যেমন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, এরপর সিসিইউ, আইসিসিইউতে নেওয়া হয়। ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক অবস্থা আইসিসিইউ থেকে জেনারেল বেডে আনা সম্ভব নয়। তারপরও সরকার সাহস করে বাজেট দিয়েছে, সত্যিকারের বাজেট দেওয়ার অবস্থা আছে কি?

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ৮০ কোটি টাকা একসঙ্গে ব্যাংক থেকে উত্তোলন কীভাবে করল? এর সঙ্গে আরও রাঘববোয়ালরা জড়িত। এই অ্যাকাউন্টে কারা টাকা জমা দিল, আয়ের উৎস কি, এর রশিদ কোথায়? দেশে আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ হয় ভিন্নমতের ওপর। আর যারা সরকারকে পছন্দ করবে তাদের জন্য কোনো আইনের বালাই নেই।

উন্নয়ন প্রকল্প প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সরকারের লুট করার একমাত্র পথ হলো বড় বড় প্রকল্প। কালো টাকা সাদা করার যে কৌশল নিয়েছে সরকার এতে এক টাকাও আসবে না।

গয়েশ্বর বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার সাহসের মতো এই বাজেট দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাজেটে বাস্তবায়ন বা কার্যকর করার কোনো সুযোগ নেই। ভিক্ষুকের মতো টাকা তুলতে হবে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারলেই তো ট্যাক্স দিবে। গত ১৫ বছরের অর্থনীতি যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে একটা বাজেট দিতে হয় তাই সরকার দিয়েছে। সত্যিকারের বাজেট দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। কারণ আগে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে হবে। কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এবং আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাদেক রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. শাহ আলম, প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন, প্রফেসর ড. মান্নান প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকুন্দিয়ায় শরীফ হত্যা মামলার আরো এক আসামী গ্রেফতার

সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলছে, অথচ আজকে ব্যাংকের টাকাই নেই : গয়েশ্বর

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলছে, অথচ আজকে ব্যাংকের টাকাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজের উদ্যোগে ‘বাজেট সংলাপ ২০২৪’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারের যেসব খাত থেকে আয় করার কথা বলছে, সেসব খাত থেকে আয় করতে পারবে না। কারণ একদিকে মূল্যস্ফীতি, অন্যদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু মানুষ সেই তুলনায় আয় করতে পারছে না। ফলে জনগণ ট্যাক্স কোথা থেকে দেবে। রিজার্ভ ও ডলার সংকট চলছে, আমদানিও কমছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় কমছে। সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলছে, অথচ আজকে ব্যাংকের টাকাই নেই। বাজেটে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনাও নেই।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের এই দুঃসময়ে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা একটা মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হলে যেমন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, এরপর সিসিইউ, আইসিসিইউতে নেওয়া হয়। ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক অবস্থা আইসিসিইউ থেকে জেনারেল বেডে আনা সম্ভব নয়। তারপরও সরকার সাহস করে বাজেট দিয়েছে, সত্যিকারের বাজেট দেওয়ার অবস্থা আছে কি?

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ৮০ কোটি টাকা একসঙ্গে ব্যাংক থেকে উত্তোলন কীভাবে করল? এর সঙ্গে আরও রাঘববোয়ালরা জড়িত। এই অ্যাকাউন্টে কারা টাকা জমা দিল, আয়ের উৎস কি, এর রশিদ কোথায়? দেশে আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ হয় ভিন্নমতের ওপর। আর যারা সরকারকে পছন্দ করবে তাদের জন্য কোনো আইনের বালাই নেই।

উন্নয়ন প্রকল্প প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সরকারের লুট করার একমাত্র পথ হলো বড় বড় প্রকল্প। কালো টাকা সাদা করার যে কৌশল নিয়েছে সরকার এতে এক টাকাও আসবে না।

গয়েশ্বর বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার সাহসের মতো এই বাজেট দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাজেটে বাস্তবায়ন বা কার্যকর করার কোনো সুযোগ নেই। ভিক্ষুকের মতো টাকা তুলতে হবে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারলেই তো ট্যাক্স দিবে। গত ১৫ বছরের অর্থনীতি যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে একটা বাজেট দিতে হয় তাই সরকার দিয়েছে। সত্যিকারের বাজেট দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। কারণ আগে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে হবে। কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এবং আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাদেক রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. শাহ আলম, প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন, প্রফেসর ড. মান্নান প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান।