Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতি নষ্ট করেছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতি নষ্ট করেছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনাদের মনে থাকার কথা। ১৯৭৫ সালের আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। তখন শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। মানুষের কথা বলার অধিকার বন্ধ করেছেন। দেশের সব পত্রিকা বন্ধ করে রেখেছিলেন। এবার সেই সুযোগ নেই।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ আগেও গণতন্ত্র হত্যা করেছে। একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার তারা কৌশলটা পাল্টিয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে তারা তত্ত্বাবধায়ক প্রথা বাতিল করে অবৈধ ক্ষমতাকে জায়েজ করে নিয়েছে। এ দাবি তো আমরা করিনি। এ দাবিতে ২২ জনকে পুড়িয়ে মারলেন। বিচারকের ১০ জনের মধ্যে আটজনই এ প্রথা বাতিলের বিপক্ষে বলেছিলেন। তারপরও গায়ের জোরে করেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতিতে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। আজকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের উৎকণ্ঠার কথা প্রকাশ পেয়েছে। সচিবালয়সহ সর্বত্র একই আলোচনা।

আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকে গণতন্ত্র মুক্তি না পেলে, খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে, এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। আর এটা নির্ভর করছে আপনাদের জনগণের ওপর। তাই আসুন, কালবিলম্ব না করে সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজপথে নামি এবং এ স্বৈরশাসককে বিদায় করি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন কায়দা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করেছে। কিন্তু এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক সময় আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। তারাই এ আইন তৈরি করেছে। আজ তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য জোর করে এ আইন বাতিল করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারা পৃথিবী বলছে- বিগত দুটি নির্বাচন চুরি করেছো, এবার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সরকার বলছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তা দেশের মানুষ তো দূরের কথা, পাগলও বিশ্বাস করে না।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ডাক্তাররা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলেছেন। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবি জানিয়েছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, কোনো টালবাহানা করবেন না। দেশের মানুষ আর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সোজা কথা না শুনলে রাজপথে ফয়সালা হবে।

বিএনপির মহাসচিব  বলেন, এত চুরি করেছে, এত লুটপাট করেছে— শুধু আওয়ামী লীগের লোকেরা নয়, এই সরকারকে সহযোগিতা দিতে গিয়ে প্রশাসনের কিছু কিছু লোকও করেছেন। এখন বালু খাওয়া শুরু করেছে। চাঁদপুরে ৬ হাজার কোটি টাকার বালু খেয়ে ফেলেছে! এটা আমার কথা নয়, নদী কমিশনারের কথা।

তিনি বলেন, আজকে জাতি চরম ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছে। আর এই সরকার সহজে কথা শুনবে না। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এবং তরঙ্গের উপর তরঙ্গ সৃষ্টি করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাদের (সরকার) পরাজিত করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এই শপথ আজকে আমাদের নিতে হবে। আর এখন একটাই লক্ষ্য, সোজা কথা না শুনলে ফয়সালা হবে রাজপথে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার না। এই সরকার শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, জোর করে দুই দুইবার নির্বাচনের প্রহসন ও তামাশা করে ক্ষমতায় বসে আছে। আবার তারা সব আটঘাট বেঁধে ২০২৪ সালে আরেকটা নির্বাচন করতে যাচ্ছে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে একবছর যাবৎ আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনে ইতোমধ্যে ২২ জন শহীদ হয়েছে। গুম করা হয়েছে ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে, জেলে নেওয়া হয়েছে ৫০ লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে। উদ্দেশ্য একটাই- গণতন্ত্রকামী মানুষকে আন্দোলন থেকে দূরে রাখা এবং একদলীয় নির্বাচন করা। এ ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছরে আমাদের অসংখ্যা নেতাকর্মীকে গুম করেছে। গ্রেফতার, গুম, খুন করে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ বছর আগের মামলায় বিএনপির নয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। এক নেতাকে ৭০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এগুলো করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবার তারা ভোটবিহীন নির্বাচন করার পায়তারা করছে। সারা পৃথিবী বলছে- বিগত দুটি নির্বাচন চুরি করেছো, এবার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সরকার বলছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তা দেশের মানুষ তো দূরের কথা, পাগলও বিশ্বাস করে না।

প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কারও সঙ্গে আপস করেননি। পিন্টুকে জেলের ভেতর হত্যা করেছে। আজকে যারা বন্দী আছেন, তাদের মুক্ত করেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করব।

ফখরুল বলেন, এই লুটেরা সব খেতে খেতে নদীর বালুও খেয়ে ফেলেছে। চাঁদপুরে ৬ হাজার কোটি টাকার বালু খেয়ে ফেলেছে। আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের অবশিষ্টগুলোও খেয়ে ফেলবে।

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম। এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেওয়ায় ধোলাইখাল চৌরাস্তায় এই সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও এর পরিধি রায়সাহেব বাজার, টিপু সুলতান রোড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় আয়োজিত ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্ব-নির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, অর্পণা রায়, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতি নষ্ট করেছে : ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৯:১৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতি নষ্ট করেছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনাদের মনে থাকার কথা। ১৯৭৫ সালের আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। তখন শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। মানুষের কথা বলার অধিকার বন্ধ করেছেন। দেশের সব পত্রিকা বন্ধ করে রেখেছিলেন। এবার সেই সুযোগ নেই।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ আগেও গণতন্ত্র হত্যা করেছে। একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার তারা কৌশলটা পাল্টিয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে তারা তত্ত্বাবধায়ক প্রথা বাতিল করে অবৈধ ক্ষমতাকে জায়েজ করে নিয়েছে। এ দাবি তো আমরা করিনি। এ দাবিতে ২২ জনকে পুড়িয়ে মারলেন। বিচারকের ১০ জনের মধ্যে আটজনই এ প্রথা বাতিলের বিপক্ষে বলেছিলেন। তারপরও গায়ের জোরে করেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতিতে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। আজকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের উৎকণ্ঠার কথা প্রকাশ পেয়েছে। সচিবালয়সহ সর্বত্র একই আলোচনা।

আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকে গণতন্ত্র মুক্তি না পেলে, খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে, এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। আর এটা নির্ভর করছে আপনাদের জনগণের ওপর। তাই আসুন, কালবিলম্ব না করে সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজপথে নামি এবং এ স্বৈরশাসককে বিদায় করি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন কায়দা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করেছে। কিন্তু এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক সময় আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। তারাই এ আইন তৈরি করেছে। আজ তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য জোর করে এ আইন বাতিল করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারা পৃথিবী বলছে- বিগত দুটি নির্বাচন চুরি করেছো, এবার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সরকার বলছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তা দেশের মানুষ তো দূরের কথা, পাগলও বিশ্বাস করে না।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ডাক্তাররা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলেছেন। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবি জানিয়েছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, কোনো টালবাহানা করবেন না। দেশের মানুষ আর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সোজা কথা না শুনলে রাজপথে ফয়সালা হবে।

বিএনপির মহাসচিব  বলেন, এত চুরি করেছে, এত লুটপাট করেছে— শুধু আওয়ামী লীগের লোকেরা নয়, এই সরকারকে সহযোগিতা দিতে গিয়ে প্রশাসনের কিছু কিছু লোকও করেছেন। এখন বালু খাওয়া শুরু করেছে। চাঁদপুরে ৬ হাজার কোটি টাকার বালু খেয়ে ফেলেছে! এটা আমার কথা নয়, নদী কমিশনারের কথা।

তিনি বলেন, আজকে জাতি চরম ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছে। আর এই সরকার সহজে কথা শুনবে না। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এবং তরঙ্গের উপর তরঙ্গ সৃষ্টি করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তাদের (সরকার) পরাজিত করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এই শপথ আজকে আমাদের নিতে হবে। আর এখন একটাই লক্ষ্য, সোজা কথা না শুনলে ফয়সালা হবে রাজপথে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার না। এই সরকার শুধু রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, জোর করে দুই দুইবার নির্বাচনের প্রহসন ও তামাশা করে ক্ষমতায় বসে আছে। আবার তারা সব আটঘাট বেঁধে ২০২৪ সালে আরেকটা নির্বাচন করতে যাচ্ছে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে একবছর যাবৎ আন্দোলন করছি। এই আন্দোলনে ইতোমধ্যে ২২ জন শহীদ হয়েছে। গুম করা হয়েছে ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে, জেলে নেওয়া হয়েছে ৫০ লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে। উদ্দেশ্য একটাই- গণতন্ত্রকামী মানুষকে আন্দোলন থেকে দূরে রাখা এবং একদলীয় নির্বাচন করা। এ ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছরে আমাদের অসংখ্যা নেতাকর্মীকে গুম করেছে। গ্রেফতার, গুম, খুন করে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ বছর আগের মামলায় বিএনপির নয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। এক নেতাকে ৭০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এগুলো করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আবার তারা ভোটবিহীন নির্বাচন করার পায়তারা করছে। সারা পৃথিবী বলছে- বিগত দুটি নির্বাচন চুরি করেছো, এবার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সরকার বলছে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। তা দেশের মানুষ তো দূরের কথা, পাগলও বিশ্বাস করে না।

প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কারও সঙ্গে আপস করেননি। পিন্টুকে জেলের ভেতর হত্যা করেছে। আজকে যারা বন্দী আছেন, তাদের মুক্ত করেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করব।

ফখরুল বলেন, এই লুটেরা সব খেতে খেতে নদীর বালুও খেয়ে ফেলেছে। চাঁদপুরে ৬ হাজার কোটি টাকার বালু খেয়ে ফেলেছে। আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের অবশিষ্টগুলোও খেয়ে ফেলবে।

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম। এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেওয়ায় ধোলাইখাল চৌরাস্তায় এই সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও এর পরিধি রায়সাহেব বাজার, টিপু সুলতান রোড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় আয়োজিত ওই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্ব-নির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, অর্পণা রায়, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।