Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার পতনের জন্য মির্জা ফখরুল এখন আজরাইলের সাথে যোগাযোগ করছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সরকার পতনের জন্য মির্জা ফখরুল এখন আজরাইলের সাথে যোগাযোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাওলার সিভিল এভিয়েশন মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল নাকি শেক হাসিনাকে আর সময় দেবেন না। সময় দেওয়ার তুমি কে? সময় দেওয়ার মালিক আল্লাহ তায়ালা ও এই দেশের জনগণ আর কেউ নন। ইদানীং আবার পিটার হাসের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বাইরে এসে আজরাইলের সঙ্গেও কথা কয়। আজরাইল নাকি আমাদের মাথার চারপাশে ঘুরতেছে। শেখ হাসিনার মাথার চারপাশে আজরাইল। হেতু কী, সময় নাই! ফখরুল, শেষ পর্যন্ত আজরাইলে আপনাকে আসর করেছে। আজরাইলের সঙ্গে কথা কন সরকার পতনের জন্য, পদযাত্রায় কাজ হয়নি, বিক্ষোভে কাজ হয়নি। গোলাপবাগের গরুর হাটেও কাজ হয়নি, পল্টনের পদযাত্রায়ও কাজ হয়নি। এখন আজরাইলের সঙ্গে কথা বলছেন। আর কাকে দেখাবেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, এরা অন্ধকারের জীব। মির্জা ফখরুল আজকে বলে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ফোকলা হয়ে গেছে। অথচ আইএমএফের মন্তব্য আমরা দেখেছি। আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিকভাবে অগ্রসর হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনীতির দিক দিয়ে ভারতের পর দ্বিতীয় অবস্থানে আমরা। অথচ ফখরুল বলেন, অর্থনীতি ফোকলা হয়ে গেছে। আসলে বিএনপিই ফোকলা হয়ে গেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনে আছে, মুক্তি পেতে গেলে আগে জেলে যেতে হবে। এরপর আদালতের কাছে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি নিতে হবে। আদালত যদি ছুটি দেন, অনুমতি দেন, তাহলে খালিদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বাধা দেবে না।
বিএনপির অনশন নিয়ে তিনি বলেন, খবর জানেন? বিএনপির অনশনের খবর জানেন? মির্জা ফখরুল মিডিয়াকে বলেছে, অনশন আর সকালবেলা নাশতা করে আসছেন। সকালে সোনারগাঁও থেকে খাবার এনে নাশতা করেছেন। আর এখন করছেন অনশন। বাসায় গিয়ে আবার কখন রাজখাবার খাবেন, সেই অপেক্ষায় আছেন।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন তো আর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে না। এখন দলের নেতাকর্মীদের কী বলবেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব ক্ষমতার জন্য শেখ হাসিনা ঘুরাঘুরি করে এমন কথাও আপনি বলেছেন। শেখ হাসিনা কারও কাছে ঘোরাঘুরি করতে যায় না। তিনি বিদেশে যান বাংলাদেশের জন্য, জনগণের জন্য, অর্থনীতিকে বাঁচাতে। সহ্য হয় না? হায়রে অন্তর্জ্বালা!
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আর আসে না। এখন কর্মীদের কী বলবেন? এত দিন বলছেন, আমেরিকা আসতেছে। কই নিষেধাজ্ঞা? এখন তাদের (বিএনপি) আর কোনও উপায় নেই। উপায় একটা, আমেরিকা যদি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে কখনও। দুই সেলফিতে কাজ হইয়া গেছে। তাদের এখন ঘুম হারাম। নয়াদিল্লির সেলফি, নিউইয়র্কের সেলফি; দুই সেলফিতে ওদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ফখরুল কয় রাত নাকি ঘুমায় নাই। কী হলো? শেখ হাসিনা নাকি আমেরিকার বিরুদ্ধে! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার মেয়েকে দিল্লিতে একবার, নিউইয়র্কে একবার সেলফি তোলে কেন? এরপরও এদের লজ্জা-শরম নেই।
ক্ষমতার জন্য শেখ হাসিনা ঘোরাঘুরি করছেন, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশে কারও কাছে ক্ষমতার জন্য ঘোরাঘুরি করতে যান না। তিনি বিদেশে যান বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশের জনগণের জন্য, অর্থনীতিকে বাঁচাতে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিয়েছেন বলেও জানান কাদের।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বিএনপির অন্তর্জালা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়ন করে ওদের জ্বালা বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্তর্জালায় এরা মরে। শেখ হাসিনা থাকলে এই দেশের আরও উন্নয়ন হবে। জনগণ বিশ্বাস করে আজকের এই সংকট, বিশ্ব সংকট শেখ হাসিনা সামলাচ্ছে। জনগণ এখনও মনে করে বাংলাদশে বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার চেয়ে সৎ নেতা, শেক হাসিনার চেয়ে দক্ষ নেতা, শেখ হাসিনার চেয়ে পরিশ্রমী নেতা, শেখ হাসিনার চেয়ে জনপ্রিয় নেতা, শেক হাসিনার চেয়ে জনদরদি নেতা আর একজনও আছে? শেখ হাসিনার মতো মানুষকে ভালোবাসে এমন নেতা আরেকজন আছে?
মির্জা ফখরুলকে কেউ ভালোবাসে? প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দিন মিথ্যা কথা বলে। বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধুকন্যা মানবতা দেখিয়ে বাড়িতে রেখেছেন। আইন মানতে হবে। হ্যাঁ, আপনি বিদেশ যান। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে, আপনাকে প্রথম জেলে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনাকে আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে। আদালত যদি আপনাকে ছুটি দেন, যদি বিদেশ যেতে দেন, সরকার কোনও বাধা দেবে না। নিয়মে আছে, আইনের মধ্যে আছে।
বিএনপি আমলের নানা অপকর্ম’ তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সব জঘন্য অপরাধ যারা করে, বাংলাদেশের মাটিকে তাদের ক্ষতায় ফিরে আসার কোনও অধিকার নেই। এরা অন্ধকারের জীব। এরা ভোট চুরি করে। এরা অর্থপাচার করে। ফখরুল আজকে বলে, বাংলাদেশের অথনীতি ফোকলা হয়ে গেছে। ফখরুল, তোমার বিএনপি ফোকলা হয়ে গেছে। মিথ্যা কথা বলতে বলতে ফোকলা হয়ে গেলে। আজ আইএমএফের মন্তব্য আর ফখরুলের মন্তব্য পাশাপাশি ঢাকার মিডিয়ায় আমরা দেখেছি।
বিএনপির অবরোধের ঘোষণার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবরোধ করতে গেলে নিজেরা অবরোধ হয়ে যাবেন। আওয়ামী লীগ ঢাকা সিটিতে আশপাশে দুর্গ হয়ে আছে। অবরোধ করলে অবরোধে আপনারাই পরবেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা সবাইকে দেখার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিব নামে ছবিটা দেখেছেন? বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে, বাংলাদেশকে জানতে হলে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আছে। পাশের প্রেক্ষাগৃহ আছে। এই সুযোগ কেউ মিস করবেন না। অজানা অনেক তথ্য এখানে লুকিয়ে আছে। আমি অনুরোধ করব আপনারা অনতিবিলম্বে এই ছবিটি দেখবেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি প্রমুখ।

আবহাওয়া

জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠানস্থলে বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১০

সরকার পতনের জন্য মির্জা ফখরুল এখন আজরাইলের সাথে যোগাযোগ করছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৬:১৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক : 
সরকার পতনের জন্য মির্জা ফখরুল এখন আজরাইলের সাথে যোগাযোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাওলার সিভিল এভিয়েশন মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল নাকি শেক হাসিনাকে আর সময় দেবেন না। সময় দেওয়ার তুমি কে? সময় দেওয়ার মালিক আল্লাহ তায়ালা ও এই দেশের জনগণ আর কেউ নন। ইদানীং আবার পিটার হাসের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বাইরে এসে আজরাইলের সঙ্গেও কথা কয়। আজরাইল নাকি আমাদের মাথার চারপাশে ঘুরতেছে। শেখ হাসিনার মাথার চারপাশে আজরাইল। হেতু কী, সময় নাই! ফখরুল, শেষ পর্যন্ত আজরাইলে আপনাকে আসর করেছে। আজরাইলের সঙ্গে কথা কন সরকার পতনের জন্য, পদযাত্রায় কাজ হয়নি, বিক্ষোভে কাজ হয়নি। গোলাপবাগের গরুর হাটেও কাজ হয়নি, পল্টনের পদযাত্রায়ও কাজ হয়নি। এখন আজরাইলের সঙ্গে কথা বলছেন। আর কাকে দেখাবেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, এরা অন্ধকারের জীব। মির্জা ফখরুল আজকে বলে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ফোকলা হয়ে গেছে। অথচ আইএমএফের মন্তব্য আমরা দেখেছি। আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিকভাবে অগ্রসর হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনীতির দিক দিয়ে ভারতের পর দ্বিতীয় অবস্থানে আমরা। অথচ ফখরুল বলেন, অর্থনীতি ফোকলা হয়ে গেছে। আসলে বিএনপিই ফোকলা হয়ে গেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনে আছে, মুক্তি পেতে গেলে আগে জেলে যেতে হবে। এরপর আদালতের কাছে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি নিতে হবে। আদালত যদি ছুটি দেন, অনুমতি দেন, তাহলে খালিদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বাধা দেবে না।
বিএনপির অনশন নিয়ে তিনি বলেন, খবর জানেন? বিএনপির অনশনের খবর জানেন? মির্জা ফখরুল মিডিয়াকে বলেছে, অনশন আর সকালবেলা নাশতা করে আসছেন। সকালে সোনারগাঁও থেকে খাবার এনে নাশতা করেছেন। আর এখন করছেন অনশন। বাসায় গিয়ে আবার কখন রাজখাবার খাবেন, সেই অপেক্ষায় আছেন।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন তো আর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে না। এখন দলের নেতাকর্মীদের কী বলবেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব ক্ষমতার জন্য শেখ হাসিনা ঘুরাঘুরি করে এমন কথাও আপনি বলেছেন। শেখ হাসিনা কারও কাছে ঘোরাঘুরি করতে যায় না। তিনি বিদেশে যান বাংলাদেশের জন্য, জনগণের জন্য, অর্থনীতিকে বাঁচাতে। সহ্য হয় না? হায়রে অন্তর্জ্বালা!
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আর আসে না। এখন কর্মীদের কী বলবেন? এত দিন বলছেন, আমেরিকা আসতেছে। কই নিষেধাজ্ঞা? এখন তাদের (বিএনপি) আর কোনও উপায় নেই। উপায় একটা, আমেরিকা যদি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে কখনও। দুই সেলফিতে কাজ হইয়া গেছে। তাদের এখন ঘুম হারাম। নয়াদিল্লির সেলফি, নিউইয়র্কের সেলফি; দুই সেলফিতে ওদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ফখরুল কয় রাত নাকি ঘুমায় নাই। কী হলো? শেখ হাসিনা নাকি আমেরিকার বিরুদ্ধে! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার মেয়েকে দিল্লিতে একবার, নিউইয়র্কে একবার সেলফি তোলে কেন? এরপরও এদের লজ্জা-শরম নেই।
ক্ষমতার জন্য শেখ হাসিনা ঘোরাঘুরি করছেন, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশে কারও কাছে ক্ষমতার জন্য ঘোরাঘুরি করতে যান না। তিনি বিদেশে যান বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশের জনগণের জন্য, অর্থনীতিকে বাঁচাতে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিয়েছেন বলেও জানান কাদের।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বিএনপির অন্তর্জালা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়ন করে ওদের জ্বালা বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্তর্জালায় এরা মরে। শেখ হাসিনা থাকলে এই দেশের আরও উন্নয়ন হবে। জনগণ বিশ্বাস করে আজকের এই সংকট, বিশ্ব সংকট শেখ হাসিনা সামলাচ্ছে। জনগণ এখনও মনে করে বাংলাদশে বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার চেয়ে সৎ নেতা, শেক হাসিনার চেয়ে দক্ষ নেতা, শেখ হাসিনার চেয়ে পরিশ্রমী নেতা, শেখ হাসিনার চেয়ে জনপ্রিয় নেতা, শেক হাসিনার চেয়ে জনদরদি নেতা আর একজনও আছে? শেখ হাসিনার মতো মানুষকে ভালোবাসে এমন নেতা আরেকজন আছে?
মির্জা ফখরুলকে কেউ ভালোবাসে? প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দিন মিথ্যা কথা বলে। বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধুকন্যা মানবতা দেখিয়ে বাড়িতে রেখেছেন। আইন মানতে হবে। হ্যাঁ, আপনি বিদেশ যান। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে, আপনাকে প্রথম জেলে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে আপনাকে আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে। আদালত যদি আপনাকে ছুটি দেন, যদি বিদেশ যেতে দেন, সরকার কোনও বাধা দেবে না। নিয়মে আছে, আইনের মধ্যে আছে।
বিএনপি আমলের নানা অপকর্ম’ তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সব জঘন্য অপরাধ যারা করে, বাংলাদেশের মাটিকে তাদের ক্ষতায় ফিরে আসার কোনও অধিকার নেই। এরা অন্ধকারের জীব। এরা ভোট চুরি করে। এরা অর্থপাচার করে। ফখরুল আজকে বলে, বাংলাদেশের অথনীতি ফোকলা হয়ে গেছে। ফখরুল, তোমার বিএনপি ফোকলা হয়ে গেছে। মিথ্যা কথা বলতে বলতে ফোকলা হয়ে গেলে। আজ আইএমএফের মন্তব্য আর ফখরুলের মন্তব্য পাশাপাশি ঢাকার মিডিয়ায় আমরা দেখেছি।
বিএনপির অবরোধের ঘোষণার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবরোধ করতে গেলে নিজেরা অবরোধ হয়ে যাবেন। আওয়ামী লীগ ঢাকা সিটিতে আশপাশে দুর্গ হয়ে আছে। অবরোধ করলে অবরোধে আপনারাই পরবেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা সবাইকে দেখার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিব নামে ছবিটা দেখেছেন? বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে, বাংলাদেশকে জানতে হলে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য আছে। পাশের প্রেক্ষাগৃহ আছে। এই সুযোগ কেউ মিস করবেন না। অজানা অনেক তথ্য এখানে লুকিয়ে আছে। আমি অনুরোধ করব আপনারা অনতিবিলম্বে এই ছবিটি দেখবেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি প্রমুখ।