Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার নির্বাচন দিতে যত দেরি করবে, হাসিনার তত সুবিধা হবে : জয়নুল আবদিন ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সরকার নির্বাচন দিতে যত দেরি করবে, হাসিনার তত সুবিধা হবে। শেখ হাসিনার কোনো কিছুর অভাব নাই, অভাব শুধু ১৮ কোটি মানুষের। শেখ হাসিনা দেশকে হিন্দুস্তানের কাছে বেচে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত “প্রতিবাদী অবস্থান” কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটন।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, শেখ মুজিব এক মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করার মতো নেতা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সবকিছু হিন্দুস্তানের কাছে ইজারা দিয়েছিল। তাই তিনি তিস্তার পানি আনতে পারি না।

তিনি বলেন, আজ পদ্মা শুকিয়ে যাচ্ছে। তিস্তা শুকিয়ে যাচ্ছে। জাগো বাহে তিস্তার জনগণ জাগো, এই স্লোগান তারেক জিয়াকে দিতে হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আইজিপি, কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ডিজিএফআই, এনএসআই, মেহেদী হারুনরা কেন গ্রেপ্তার আওতায় আসলো না। আমি চিৎকার দিয়ে বলব জাহাঙ্গীর একজন সৎ ব্যক্তি। আপনি কেন এই সততার প্রমাণ দিতে পারছেন না। কারা আপনাকে আটকাচ্ছে। এদের গ্রেপ্তার করার জন্য তাদের নাম আমাদের কাছে প্রকাশ করুন। আমরা আন্দোলনের ভয় পাই না। আমরা আয়না ঘরকে ভয় পাই নাই। উপদেষ্টা মহোদয় আপনার কোনো ভয় নাই। এদের গ্রেপ্তার করে মুখ থেকে তথ্যগুলো বাহির করুন। কার নির্দেশে, কার অনুরোধে, আমাদের শীর্ষে নেতাদের গ্রেপ্তার করে মাস কি মাস কারাগারে রেখেছেন। আমরা এই দাবি তুলতেই পারি।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমি এমন দাবি আপনার কাছে করি না যে বিএনপির তারেক রহমানকে বিনা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেন। আমাকে চিনি সিন্ডিকেট, ছোলা, বুট সিন্ডিকেটের প্রধান করে দেন। যারা গরীব দুঃখী মানুষের ২৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লুট করে নিয়ে গেছে, সেই পরিবারের কয়জনকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে পেরেছেন? একজনও না।

তিনি বলেন, যারা বিদেশে ডলার পাউন্ড নিয়ে পালিয়েছে তারা কিন্তু কারো বাসায় থাকে না। তারা বিদেশে ভিক্ষা করে না। তারা বিদেশের ফাইভ স্টার হোটেলে থাকে। আর হাসিনা ঠিকমতো ২৮টি সোকেস নিয়ে ভারতে মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। তাই তাদের অভাব নাই। অভাব, ডক্টর ইউনুসের শাসন আমলের ১৮ কোটি মানুষের। কোনো বিনিয়োগ নাই। গার্মেন্ট সেক্টর অস্থিতিশীল করে তুলেছে। চাইলে আবার আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা, কিছু সংখ্যক লোক আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করে শ্রমিক অশান্তি সৃষ্টি করে বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই সরকারকে অস্থিতিশীল করবে তুলবেই, কারণ তাদের টাকার অভাব নাই, তাদের কাছে অস্ত্রের অভাব নাই, তাদের ঢাকা শহরে লুকিয়ে রাখার মতো লোকেরও অভাব নাই।

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, নতুন দল নিয়ে মাঠে, গ্রামে, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা সদর, বিভাগে যান নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আমরা ভাইয়ে ভাইয়ে আর রক্তক্ষরণ করতে চাই না। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য একই মাঠে থাকি। মত ভিন্ন হতে পারে কিন্তু লক্ষ্য এক। আমাদের মধ্যে আর মতবিরোধ নয়, আমরা যেন সংসদ নির্বাচনে আর মতানৈক্য না করি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সরকার নির্বাচন দিতে যত দেরি করবে, হাসিনার তত সুবিধা হবে : জয়নুল আবদিন ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৩:০২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সরকার নির্বাচন দিতে যত দেরি করবে, হাসিনার তত সুবিধা হবে। শেখ হাসিনার কোনো কিছুর অভাব নাই, অভাব শুধু ১৮ কোটি মানুষের। শেখ হাসিনা দেশকে হিন্দুস্তানের কাছে বেচে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত “প্রতিবাদী অবস্থান” কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটন।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, শেখ মুজিব এক মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করার মতো নেতা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সবকিছু হিন্দুস্তানের কাছে ইজারা দিয়েছিল। তাই তিনি তিস্তার পানি আনতে পারি না।

তিনি বলেন, আজ পদ্মা শুকিয়ে যাচ্ছে। তিস্তা শুকিয়ে যাচ্ছে। জাগো বাহে তিস্তার জনগণ জাগো, এই স্লোগান তারেক জিয়াকে দিতে হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আইজিপি, কমিশনার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ডিজিএফআই, এনএসআই, মেহেদী হারুনরা কেন গ্রেপ্তার আওতায় আসলো না। আমি চিৎকার দিয়ে বলব জাহাঙ্গীর একজন সৎ ব্যক্তি। আপনি কেন এই সততার প্রমাণ দিতে পারছেন না। কারা আপনাকে আটকাচ্ছে। এদের গ্রেপ্তার করার জন্য তাদের নাম আমাদের কাছে প্রকাশ করুন। আমরা আন্দোলনের ভয় পাই না। আমরা আয়না ঘরকে ভয় পাই নাই। উপদেষ্টা মহোদয় আপনার কোনো ভয় নাই। এদের গ্রেপ্তার করে মুখ থেকে তথ্যগুলো বাহির করুন। কার নির্দেশে, কার অনুরোধে, আমাদের শীর্ষে নেতাদের গ্রেপ্তার করে মাস কি মাস কারাগারে রেখেছেন। আমরা এই দাবি তুলতেই পারি।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমি এমন দাবি আপনার কাছে করি না যে বিএনপির তারেক রহমানকে বিনা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেন। আমাকে চিনি সিন্ডিকেট, ছোলা, বুট সিন্ডিকেটের প্রধান করে দেন। যারা গরীব দুঃখী মানুষের ২৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লুট করে নিয়ে গেছে, সেই পরিবারের কয়জনকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে পেরেছেন? একজনও না।

তিনি বলেন, যারা বিদেশে ডলার পাউন্ড নিয়ে পালিয়েছে তারা কিন্তু কারো বাসায় থাকে না। তারা বিদেশে ভিক্ষা করে না। তারা বিদেশের ফাইভ স্টার হোটেলে থাকে। আর হাসিনা ঠিকমতো ২৮টি সোকেস নিয়ে ভারতে মোদির কাছে আশ্রয় নিয়েছে। তাই তাদের অভাব নাই। অভাব, ডক্টর ইউনুসের শাসন আমলের ১৮ কোটি মানুষের। কোনো বিনিয়োগ নাই। গার্মেন্ট সেক্টর অস্থিতিশীল করে তুলেছে। চাইলে আবার আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা, কিছু সংখ্যক লোক আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করে শ্রমিক অশান্তি সৃষ্টি করে বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই সরকারকে অস্থিতিশীল করবে তুলবেই, কারণ তাদের টাকার অভাব নাই, তাদের কাছে অস্ত্রের অভাব নাই, তাদের ঢাকা শহরে লুকিয়ে রাখার মতো লোকেরও অভাব নাই।

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, নতুন দল নিয়ে মাঠে, গ্রামে, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা সদর, বিভাগে যান নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আমরা ভাইয়ে ভাইয়ে আর রক্তক্ষরণ করতে চাই না। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা রক্ষার জন্য একই মাঠে থাকি। মত ভিন্ন হতে পারে কিন্তু লক্ষ্য এক। আমাদের মধ্যে আর মতবিরোধ নয়, আমরা যেন সংসদ নির্বাচনে আর মতানৈক্য না করি।