নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমান সরকার ক্রমান্বয়ে একটি রাজনৈতিক দলের সরকার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের রহমানের সমাধিতে দলের আরব আমিরাতের নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছিল শেখ হাসিনার বানানো একটি কারাগার। গোটা বাংলাদেশটাই তিনি আয়নাঘরে পরিণত করেছিলেন। আত্মগোপন করে থাকা বাংলাদেশে সম্ভব ছিল না। যারা টাকা পাচারকারী তারা প্রতাপের সাথে ঘুরাফেরা করেছে। যারা খুনী হত্যাকারী তাদের পিঠে আওয়ামী লীগের সিল থাকলে তারা সমাজের সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি হয়ে গেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র এখনও নিরাপদ নয়, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন কবে হবে এটি নিয়ে নানা ধরণের গোজামিল দেখতে পাচ্ছি। এটা হওয়ার কথা নয়। শেখ হাসিনার দুঃশাসন্মুক্ত বাংলাদেশে আমরা দেখবো গণতন্ত্রের শর্তগুলো পূরণ হচ্ছে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ করবে, স্বাধীনভাবে কথা বলবে, স্বাধীনভাবে সংগঠন করবে। এটার জন্যই এই লড়াই এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। এখানে কোণও গুন্ডামি সন্ত্রাসীর আশ্রয় থাকবে না। যেটা শেখ হাসিনা করেছিলেন।
রিজভী বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল যারা আন্দোলনের সমর্থন করেছেন, তারা অবশ্যই আন্দোলনে ছিল, কিন্তু সেভাবে কী তারা ছিলেন? এটাও প্রশ্ন। তবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাদের সমর্থন ছিল। আমাদের ছাত্র ভাইরা একটা দল করেছেন-এনসিপি। এটা করতেই পারেন। এজন্যই তো আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। যতদিন আপনারা সাধারণ ছাত্র দিলেন এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন ততদিন আমরা আপনাদের আমাদের ছোটভাই বা সন্তান হিসেবে দেখেছি। এখন আপনাদের মনে করি গণোতান্ত্রিক শক্তির একটা অংশ। কিন্তু আপনারা সবকিছু বাদ দিয়ে যখন রাজনৈতিক দল করলেন, করলে নিশ্চয়ই আমাদের সমালোচনা করবেন। আমাদেরও আপনাদের ব্যাপারে সমালোচনা থাকবে সেটা হলো এত ছাত্রের যে জীবন চলে গেলো এদের তো বিচার সম্পন্ন হলো না। বিচার সম্পন্ন না করে আপনারা মন্ত্রীত্ব, উপদেষ্টা পদ নিয়েছেন দল গঠন করলেন। এই পার্টি আরও পরে করা যেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ক্রমান্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা ধরনের দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। সমাজের মধ্যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলার প্রচণ্ড অবনতি দেখা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক অবস্থা জটিল হচ্ছে। শুল্কহার ৫০ শতাংশ হয়ে গেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে একটা সরকার গঠন না করলে এসব সমস্যা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।