Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার আবারো একটি পাতানো নির্বাচন করতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) প্রেসক্লাবের সামনে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মোবাইল ফোনে যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার চায় অপেক্ষাকৃত বিএনপির তরুণ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী রাখতে। কারণ সরকার চায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে। অথচ অনেক নেতা জামিনে আছেন। তাদেরকে নো এরেস্ট নো হ্যারেজ করতে আদালতের নির্দেশ আছে। কিন্তু সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে।

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ চায় আরেকটি ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন করতে। আর এ জন্যই বিনা বিচারে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে। যারা জেলখানায় আছেন, তারা সবগুলো মামলায় জামিন পেয়েছেন। কিন্তু আবারও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে বের হতে দিচ্ছে না। এটি একটি বন্য প্রতিহিংসার চিত্র। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন, বিদেশীদের চাপে সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মাথানত করবে না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আসলে বিদেশীদের সোচ্চারকণ্ঠকেও তারা চাপ মনে করেন না। আরো একটি পাতানো নির্বাচন করতেই গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের বন্দী রেখেছে। যাতে ক্ষমতায় থেকে অবাধে দুর্নীতি করতে পারে, জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করা যায়, তাদের পরিবার যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পেয়ে নেতাকর্মীদের আটক রেখেছে।

রিজভী আরও বলেন, আমরা তো জানি, কোনও এক দেশের কাছে আপনারা নতজানু হন। এই দেশের মানুষ, সারা পৃথিবীর সব দেশই জানে, আপনারা কার কাছে নতজানু হন এবং কোন চাপ প্রয়োগ করলে নতজানু হন। সাইফুল আলম নীরব রাজপথে আন্দোলন করার লোক। এ জন্যই আওয়ামী লীগ তাকে বন্দি করে রেখেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। তাকেসহ যেসব নেতাকর্মীদের বন্দি করে রেখেছে, তাদের মুক্তির দাবি জানাই।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর খান দীপকের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী ও ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, যুবদলের কামরুজ্জামান জুয়েল, ওলামা দলের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলাল খান প্রমুখ।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার আবারো একটি পাতানো নির্বাচন করতেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) প্রেসক্লাবের সামনে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মোবাইল ফোনে যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার চায় অপেক্ষাকৃত বিএনপির তরুণ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী রাখতে। কারণ সরকার চায় আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে। অথচ অনেক নেতা জামিনে আছেন। তাদেরকে নো এরেস্ট নো হ্যারেজ করতে আদালতের নির্দেশ আছে। কিন্তু সরকার আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করছে।

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ চায় আরেকটি ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন করতে। আর এ জন্যই বিনা বিচারে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে। যারা জেলখানায় আছেন, তারা সবগুলো মামলায় জামিন পেয়েছেন। কিন্তু আবারও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে বের হতে দিচ্ছে না। এটি একটি বন্য প্রতিহিংসার চিত্র। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন, বিদেশীদের চাপে সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মাথানত করবে না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, আসলে বিদেশীদের সোচ্চারকণ্ঠকেও তারা চাপ মনে করেন না। আরো একটি পাতানো নির্বাচন করতেই গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের বন্দী রেখেছে। যাতে ক্ষমতায় থেকে অবাধে দুর্নীতি করতে পারে, জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করা যায়, তাদের পরিবার যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পেয়ে নেতাকর্মীদের আটক রেখেছে।

রিজভী আরও বলেন, আমরা তো জানি, কোনও এক দেশের কাছে আপনারা নতজানু হন। এই দেশের মানুষ, সারা পৃথিবীর সব দেশই জানে, আপনারা কার কাছে নতজানু হন এবং কোন চাপ প্রয়োগ করলে নতজানু হন। সাইফুল আলম নীরব রাজপথে আন্দোলন করার লোক। এ জন্যই আওয়ামী লীগ তাকে বন্দি করে রেখেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। তাকেসহ যেসব নেতাকর্মীদের বন্দি করে রেখেছে, তাদের মুক্তির দাবি জানাই।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর খান দীপকের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী ও ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, যুবদলের কামরুজ্জামান জুয়েল, ওলামা দলের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলাল খান প্রমুখ।