Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দিচ্ছে কি না তা নিয়েও বড় প্রশ্ন রয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) সাভারের আশুলিয়ার দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে ‘নারকীয় আশুলিয়া’ শীর্ষক এক সমাবেশে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী অপশক্তি রাষ্ট্র-রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার জন্য ওৎ পেতে রয়েছে। সরকারের যেকোনো ভুল সিদ্ধান্তে গণতন্ত্র উত্তরণের যাত্রাপথ সংকটে পড়তে পারে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদ এবং উগ্রবাদও মাথাচাড়া দিতে পেরে।

তিনি বলেন, জনগনের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের রাজনীতি করতে চায় বিএনপি। নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগের অন্যতম প্রধান উপায় হলো নির্বাচন। দেশের দায়িত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি বারবার সুষ্ঠু ভোটের দাবিকে অগ্রাধিকার দেয়।

তিনি আরো বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন শ্রমিক। বিশেষ করে সাভার আশুলিয়া শ্রমিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছিল। হত্যা করে লাশগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। লাশের সঙ্গে এমন বর্বরতা, এমন নির্মমতা কারবালার নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়ার এমন বর্বরতাকে কারবালার সময়কার বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। দেশে সব শ্রেণিপেশার মানুষ বিশ্বাস করেছে স্বৈরাচার থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। এজন্য ইনসাফ ভিত্তিক ও ন্যায্যতার রাষ্ট্র গড়তেই জুলাইয়ে আত্মাহুতি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর জুলাইয়ের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে কিন্তু সরাসরি শ্রমজীবী মানুষের সরাসরি কোনো স্বার্থ জড়িত ছিল না। কারণ তারা কোনো সরকারি চাকরির আশা করেননি। তাহলে প্রশ্ন আসে, পোশাক কারখানার শ্রমিক-দিনমজুর, ভ্যানচালক, রেস্তোরাঁকর্মী, রিক্সাচালক কেন সেদিন রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। কারণ একটা সেদিন ফ্যাস্টিস্ট যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে তাহলে কেউ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত পাবেন না। কোনো ন্যায্য দাবি আদায় হবে না। এ কারণে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে।

ন্যায্যতার রাষ্ট্র গড়ে তুলতে গণতান্ত্রিক সরকার দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারলেই সেটা সম্ভব হবে। একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। বিএনপি বারবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করেছে যাতে প্রতিটি নাগরিক নিজ পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায়। এতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং রাষ্ট্রে জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হবে।

কেউ সরকার পরিচালনা করতে চাইলে অবশ্যই তাকে জনগণের হতে হবে উল্লেখ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতির মূল শক্তি জনগণ। জনগণকে উপেক্ষা করে কোনো ব্যবস্থাই টেকসই হয় না। জনগণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না।

সরকারের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, এখনো স্বৈরাচার ওৎপেতে রয়েছে। যেকোনো ভুল তাদের মাথাচাড়া দিতে সাহায্য করবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপি কেন বারবার নির্বাচনের দাবি তুলছে এর ব্যাখ্যা দিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী, একজন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে নির্বাচন। প্রতিটি নাগরিক যাতে নিজের কথা নিজেই বলতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার স্বার্থেই একটি দায়িত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি বার বার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেয়।

তারেক রহমান বলেন আমি বিশ্বাস করি স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় সরকার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেলে রাষ্ট্র এবং সরকারে জনগণের ইচ্ছা প্রাধান্য পাবে। রাষ্ট্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।

জনগণকে রাষ্ট্র ও রাজনীতির মূল ভিত্তি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সরকার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে জনগণের মুখাপেক্ষী করা গেলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব।

শহীদ পরিবারের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, শহীদগণ কেবল শুধুমাত্র একটি সংখ্যা নয়, একটি প্রাণের সমাপ্তির অর্থ। একটি পরিবারের মৃত্যু। একটি স্বপ্ন সম্ভাবনার অবসান। তবে আপনাদের সন্তান-স্বজনের শহীদি মৃত্যু দেশ এবং জনগণকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে। দেশ আপনাদের শহীদ সন্তানের কাছে ঋণী। প্রতিটি শহীদ পরিবারের প্রতি রাষ্ট্র এবং সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ যাতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শ্রমজীবীদের অবদান নিয়ে গর্ব করতে পারে। শ্রমজীবী কর্মজীবী শহীদ পরিবার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সদস্যরা যাতে তাদের স্বজনদের শহীদি মৃত্যু নিয়ে গৌরব করতে পারে। বিএনপি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সাভার-আশুলিয়ায় কিংবা অন্য কোনো সুবিধাজনক এলাকায় শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের আত্মত্যাগের সম্মানে একটি বিশেষ স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির সহ পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. সালাউদ্দিন বাবু।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাজী আব্দুল গফুর, ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আইয়ুব খান, যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন প্রমুখসহ ঢাকা জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয় এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেত্রকোনায় বাঁশ-কাঠে জোড়াতালি দেওয়া সেতু যেন এখন মৃত্যুফাঁদ

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৮:২৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণে বিচক্ষণতার পরিচয় দিচ্ছে কি না তা নিয়েও বড় প্রশ্ন রয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) সাভারের আশুলিয়ার দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে ‘নারকীয় আশুলিয়া’ শীর্ষক এক সমাবেশে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী অপশক্তি রাষ্ট্র-রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার জন্য ওৎ পেতে রয়েছে। সরকারের যেকোনো ভুল সিদ্ধান্তে গণতন্ত্র উত্তরণের যাত্রাপথ সংকটে পড়তে পারে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদ এবং উগ্রবাদও মাথাচাড়া দিতে পেরে।

তিনি বলেন, জনগনের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের রাজনীতি করতে চায় বিএনপি। নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগের অন্যতম প্রধান উপায় হলো নির্বাচন। দেশের দায়িত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি বারবার সুষ্ঠু ভোটের দাবিকে অগ্রাধিকার দেয়।

তিনি আরো বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন শ্রমিক। বিশেষ করে সাভার আশুলিয়া শ্রমিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছিল। হত্যা করে লাশগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। লাশের সঙ্গে এমন বর্বরতা, এমন নির্মমতা কারবালার নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেয়ার এমন বর্বরতাকে কারবালার সময়কার বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। দেশে সব শ্রেণিপেশার মানুষ বিশ্বাস করেছে স্বৈরাচার থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। এজন্য ইনসাফ ভিত্তিক ও ন্যায্যতার রাষ্ট্র গড়তেই জুলাইয়ে আত্মাহুতি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত বছর জুলাইয়ের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই আন্দোলনে কিন্তু সরাসরি শ্রমজীবী মানুষের সরাসরি কোনো স্বার্থ জড়িত ছিল না। কারণ তারা কোনো সরকারি চাকরির আশা করেননি। তাহলে প্রশ্ন আসে, পোশাক কারখানার শ্রমিক-দিনমজুর, ভ্যানচালক, রেস্তোরাঁকর্মী, রিক্সাচালক কেন সেদিন রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। কারণ একটা সেদিন ফ্যাস্টিস্ট যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকে তাহলে কেউ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত পাবেন না। কোনো ন্যায্য দাবি আদায় হবে না। এ কারণে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে।

ন্যায্যতার রাষ্ট্র গড়ে তুলতে গণতান্ত্রিক সরকার দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারলেই সেটা সম্ভব হবে। একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। বিএনপি বারবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করেছে যাতে প্রতিটি নাগরিক নিজ পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায়। এতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং রাষ্ট্রে জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হবে।

কেউ সরকার পরিচালনা করতে চাইলে অবশ্যই তাকে জনগণের হতে হবে উল্লেখ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতির মূল শক্তি জনগণ। জনগণকে উপেক্ষা করে কোনো ব্যবস্থাই টেকসই হয় না। জনগণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না।

সরকারের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, এখনো স্বৈরাচার ওৎপেতে রয়েছে। যেকোনো ভুল তাদের মাথাচাড়া দিতে সাহায্য করবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপি কেন বারবার নির্বাচনের দাবি তুলছে এর ব্যাখ্যা দিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী, একজন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে নির্বাচন। প্রতিটি নাগরিক যাতে নিজের কথা নিজেই বলতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার স্বার্থেই একটি দায়িত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি বার বার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেয়।

তারেক রহমান বলেন আমি বিশ্বাস করি স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় সরকার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেলে রাষ্ট্র এবং সরকারে জনগণের ইচ্ছা প্রাধান্য পাবে। রাষ্ট্রে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।

জনগণকে রাষ্ট্র ও রাজনীতির মূল ভিত্তি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সরকার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে জনগণের মুখাপেক্ষী করা গেলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব।

শহীদ পরিবারের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, শহীদগণ কেবল শুধুমাত্র একটি সংখ্যা নয়, একটি প্রাণের সমাপ্তির অর্থ। একটি পরিবারের মৃত্যু। একটি স্বপ্ন সম্ভাবনার অবসান। তবে আপনাদের সন্তান-স্বজনের শহীদি মৃত্যু দেশ এবং জনগণকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে। দেশ আপনাদের শহীদ সন্তানের কাছে ঋণী। প্রতিটি শহীদ পরিবারের প্রতি রাষ্ট্র এবং সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ যাতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শ্রমজীবীদের অবদান নিয়ে গর্ব করতে পারে। শ্রমজীবী কর্মজীবী শহীদ পরিবার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সদস্যরা যাতে তাদের স্বজনদের শহীদি মৃত্যু নিয়ে গৌরব করতে পারে। বিএনপি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সাভার-আশুলিয়ায় কিংবা অন্য কোনো সুবিধাজনক এলাকায় শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের আত্মত্যাগের সম্মানে একটি বিশেষ স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির সহ পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডা. সালাউদ্দিন বাবু।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হাজী আব্দুল গফুর, ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আইয়ুব খান, যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন প্রমুখসহ ঢাকা জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয় এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।