Dhaka বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি নেতাদের সংলাপের কথা মাটিতে পড়ার আগে হাওয়ায় মিলিয়ে যায় : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য জাতীয় তামাশায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারি নেতাদের সংলাপের কথা মাটিতে পড়ার আগে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। সংলাপ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে আওয়ামী নেতারা জনগণের কাছে জাতীয় তামাশার মুখপাত্র হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এতে জনগণ বিমূঢ় বোধ করলেও জাতির সঙ্গে তামাশা করাটাই আওয়ামী লীগের ‘পপুলার সংস্কৃতি’।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে করতে হবে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সরকার। আরপিও সংশোধনী বিল পাস করে ইসির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া নজিরবিহীন। প্রধানমন্ত্রী আজীবন ক্ষমতায় থাকতে কালাকানুন আইন তৈরি করেছেন।

রিজভী বলেন, তারা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ভয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুণ:প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সবসময় এড়িয়ে যায়। অবশ্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পূণ:প্রবর্তনই হবে সংলাপ বা যে কোন আলোচনার মূল ভিত্তি। কারণ এরা দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে নির্বিকার ও গণতান্ত্রিকভাবে। সুতরাং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা সূর্য পূর্ব থেকে পশ্চিমে ওঠার শামিল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন নিজের থেকে নিজেকে বিপন্ন করেছে শেখ হাসিনার স্বার্থে। এতে করে ইসির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে চলেছে। জয় নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনের কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করেছে সরকার।

বিএনপির এই নেতা বলেন, নীলনকশার নির্বাচন করতে বিভিন্ন জায়গায় গোপন বৈঠক করছে সরকারের আমলারা। শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ বিচিত্র দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিঃশেষ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে।

রিজভীর দাবি, বুধবার পুরো ভোট বাতিলের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী বিল পাস করেছে ভুয়া ভোটের সংসদ সদস্যরা। নিজের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিয়ে নির্বাচন কমিশন যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন ‘ম্যানিপুলেট’ করার একটি মেশিন। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের কারণে চলমান নির্বাচন বাতিলের যে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ছিল তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের ন্যূনতম সাত দিন আগে ক্ষুদ্রঋণ এবং টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধের বিধান থাকলেও এখন সরকারের দুর্নীতিবাজ লুটেরা ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত তা পরিশোধের বিধান করা হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের মাত্র মাস ছয়েক আগে ইসিকে ক্ষমতাহীন-নখদন্তহীন করার উদ্দেশ্য-সুদুরপ্রসারী বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথকে রুদ্ধ করা জন্য এটি মাস্টারপ্ল্যান। যেখানে দেশি-বিদেশি সকল মহলের পক্ষ থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করার জোর দাবি উঠেছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সরকার আরো জোরালোভাবে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে গেলো।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হলেও যাতে কিছু করতে না পারে সেজন্য এই রক্ষা কবচ। শুধু মাত্র কেন্দ্রভিত্তিক ভোট বাতিলের ক্ষমতা রাখলে কেন্দ্রের বাইরে উক্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ভোটারকে বাধা প্রদান বা ভয় ভীতি প্রদর্শন বা বল প্রয়োগ করলে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার ক্ষমতা থাকল না। তাদের দলীয় ক্যাডার, ছাত্রলীগ থেকে রিক্রুট করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী-প্রশাসন দিয়ে সমস্ত ভোট কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করবে, বলপ্রয়োগ, হাঙ্গামা, ভীতি-প্রদর্শন, চাপ সৃষ্টি করবে। আর নির্বাচন কমিশন দুই-তিনটি কেন্দ্র অনিয়ম হয়েছে নাটক করে ভোট বাতিল করলেও আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত। এটাই আওয়ামী লীগের নতুন ফর্মুলা।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গোটা প্রশাসনকে মুজিবকোটময় করা হয়েছে। দলদাস আমলারা এখন আইনবিধি কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। ক্ষমতার মায়া হরিণের পিছে দৌড়াতে গিয়ে তারা নীতি, নৈতিকতা এবং রাষ্ট্রের আইনকে পদদলিত করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সরাসরি রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব-বাসাবাড়িতে গোপন শলাপরামর্শ করছে। সেখানে একতরফা নির্বাচনের নতুন নীলনকশা করা হচ্ছে বলে জনমনে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি র্কমচারীদের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে ভোটের মাঠে নেমেছেন কোনো কোনো অতি দলবাজ আমলা।

সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী কর্তৃক হামলা ও মামলার বিবরণী তুলে ধরা হয়। এছাড়াও সরকারদলীয় নেতাদের বিভিন্ন হুমকি ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ভিডিও প্রদর্শনী করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত দেড় মাসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২২৫টি হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে ৮৬৫ জন এবং আসামি করা হয়েছে ১০ হাজার ১০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, খান রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারি নেতাদের সংলাপের কথা মাটিতে পড়ার আগে হাওয়ায় মিলিয়ে যায় : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৪:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য জাতীয় তামাশায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারি নেতাদের সংলাপের কথা মাটিতে পড়ার আগে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। সংলাপ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে আওয়ামী নেতারা জনগণের কাছে জাতীয় তামাশার মুখপাত্র হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এতে জনগণ বিমূঢ় বোধ করলেও জাতির সঙ্গে তামাশা করাটাই আওয়ামী লীগের ‘পপুলার সংস্কৃতি’।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে করতে হবে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সরকার। আরপিও সংশোধনী বিল পাস করে ইসির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া নজিরবিহীন। প্রধানমন্ত্রী আজীবন ক্ষমতায় থাকতে কালাকানুন আইন তৈরি করেছেন।

রিজভী বলেন, তারা গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ভয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুণ:প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সবসময় এড়িয়ে যায়। অবশ্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পূণ:প্রবর্তনই হবে সংলাপ বা যে কোন আলোচনার মূল ভিত্তি। কারণ এরা দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে নির্বিকার ও গণতান্ত্রিকভাবে। সুতরাং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা সূর্য পূর্ব থেকে পশ্চিমে ওঠার শামিল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন নিজের থেকে নিজেকে বিপন্ন করেছে শেখ হাসিনার স্বার্থে। এতে করে ইসির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে চলেছে। জয় নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনের কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করেছে সরকার।

বিএনপির এই নেতা বলেন, নীলনকশার নির্বাচন করতে বিভিন্ন জায়গায় গোপন বৈঠক করছে সরকারের আমলারা। শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ বিচিত্র দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিঃশেষ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে।

রিজভীর দাবি, বুধবার পুরো ভোট বাতিলের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনী বিল পাস করেছে ভুয়া ভোটের সংসদ সদস্যরা। নিজের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিয়ে নির্বাচন কমিশন যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন ‘ম্যানিপুলেট’ করার একটি মেশিন। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের কারণে চলমান নির্বাচন বাতিলের যে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ছিল তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের ন্যূনতম সাত দিন আগে ক্ষুদ্রঋণ এবং টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধের বিধান থাকলেও এখন সরকারের দুর্নীতিবাজ লুটেরা ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত তা পরিশোধের বিধান করা হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের মাত্র মাস ছয়েক আগে ইসিকে ক্ষমতাহীন-নখদন্তহীন করার উদ্দেশ্য-সুদুরপ্রসারী বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথকে রুদ্ধ করা জন্য এটি মাস্টারপ্ল্যান। যেখানে দেশি-বিদেশি সকল মহলের পক্ষ থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করার জোর দাবি উঠেছে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের বিদ্যমান ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সরকার আরো জোরালোভাবে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে গেলো।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন হলেও যাতে কিছু করতে না পারে সেজন্য এই রক্ষা কবচ। শুধু মাত্র কেন্দ্রভিত্তিক ভোট বাতিলের ক্ষমতা রাখলে কেন্দ্রের বাইরে উক্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ভোটারকে বাধা প্রদান বা ভয় ভীতি প্রদর্শন বা বল প্রয়োগ করলে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার ক্ষমতা থাকল না। তাদের দলীয় ক্যাডার, ছাত্রলীগ থেকে রিক্রুট করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী-প্রশাসন দিয়ে সমস্ত ভোট কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করবে, বলপ্রয়োগ, হাঙ্গামা, ভীতি-প্রদর্শন, চাপ সৃষ্টি করবে। আর নির্বাচন কমিশন দুই-তিনটি কেন্দ্র অনিয়ম হয়েছে নাটক করে ভোট বাতিল করলেও আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত। এটাই আওয়ামী লীগের নতুন ফর্মুলা।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গোটা প্রশাসনকে মুজিবকোটময় করা হয়েছে। দলদাস আমলারা এখন আইনবিধি কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। ক্ষমতার মায়া হরিণের পিছে দৌড়াতে গিয়ে তারা নীতি, নৈতিকতা এবং রাষ্ট্রের আইনকে পদদলিত করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সরাসরি রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব-বাসাবাড়িতে গোপন শলাপরামর্শ করছে। সেখানে একতরফা নির্বাচনের নতুন নীলনকশা করা হচ্ছে বলে জনমনে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি র্কমচারীদের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে ভোটের মাঠে নেমেছেন কোনো কোনো অতি দলবাজ আমলা।

সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী কর্তৃক হামলা ও মামলার বিবরণী তুলে ধরা হয়। এছাড়াও সরকারদলীয় নেতাদের বিভিন্ন হুমকি ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ভিডিও প্রদর্শনী করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত দেড় মাসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২২৫টি হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে ৮৬৫ জন এবং আসামি করা হয়েছে ১০ হাজার ১০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, খান রবিউল ইসলাম প্রমুখ।