Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে দেশের সিংহভাগ জনগণ নেই: চরমোনাই পীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে দেশের সিংহভাগ জনগণ নেই। এখনো সময় আছে এই বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করেন। ইসলাম শিক্ষা ও সুন্নাহ অন্তর্ভুক্ত করেন। এদেশের জনগণ স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছিল, প্রয়োজনে আমরাও জীবন দিয়ে আন্দোলন করবো।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

রেজাউল করীম পীর বলেন, শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী শিক্ষা না থাকলে আমরা জান দিয়ে তা প্রতিরোধ করব। নতুন শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ গঠন করা তো দূরের কথা, পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস হবে। এতে শান্তি আসবে না। এই শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানেন না, কারা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

দেশবাসীর উদ্দেশে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আমাদের পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে আমরাও কিন্তু পরগাছার মত হয়ে যাব। তাই আগামীতে আমরা কঠোর থেকে আরও কঠোর আন্দোলন-সংগ্রামের ঘোষণা দেব।

সরকারের সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, আপনারা ধোঁকাবাজ, মিথ্যাচার ও বিভিন্ন কায়দায় ক্ষমতায় এসেছেন। দেশের জনগণকে ধন্যবাদ আগেও জানিয়েছি, আজকেও জানাই। ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনে আপনার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না হয়ে, ভোট না দিয়ে, বর্তমান সরকারকে আপনারা লাল কার্ড দেখিয়েছেন।

বিশ্বে মুসলমানদের ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ গঠন তো দূরের কথা সমাজব্যবস্থা ও শিষ্টাচারসহ সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ২০২১ সালের শিক্ষা কারিকুলাম দেশের জনগণ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ আমরা কেউ মানি না। এটাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। দেশের ১৮ কোটি মানুষের ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আমাদের পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে আমরাও কিন্তু পরগাছার মত হয়ে যাব। এই মুহূর্তে বসে থাকলে আমাদের দেশ, ধর্ম ও ইসলাম থাকবে না। আগামীতে আমরা কঠোর থেকে আরও কঠোর আন্দোলন-সংগ্রামের ঘোষণা দেব।

সেমিনার থেকে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম ২০২১ বাতিলের দাবিতে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে আগামী ২৫ জানুয়ারি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইয়াকুব হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম, লেখক গবেষক ও কলামিস্ট মুসা আল হাফিজ, শিক্ষক ও গবেষক ড. সরোয়ার হোসেন, ফিলোসফির শিক্ষক আসিফ মাহতাব, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান সাংবাদিক নেতা মুন্সী আবদুল মান্নান, প্রিন্স ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় সৌদি আরবের সহকারী অধ্যাপক ড. হাফেজ মাবরুক বিল্লাহ, মাহমুদুল হাসান রায়হান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তফা মনজু, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আবদুস সবুর।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে দেশের সিংহভাগ জনগণ নেই: চরমোনাই পীর

প্রকাশের সময় : ০৮:৫১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে দেশের সিংহভাগ জনগণ নেই। এখনো সময় আছে এই বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করেন। ইসলাম শিক্ষা ও সুন্নাহ অন্তর্ভুক্ত করেন। এদেশের জনগণ স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছিল, প্রয়োজনে আমরাও জীবন দিয়ে আন্দোলন করবো।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

রেজাউল করীম পীর বলেন, শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী শিক্ষা না থাকলে আমরা জান দিয়ে তা প্রতিরোধ করব। নতুন শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ গঠন করা তো দূরের কথা, পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস হবে। এতে শান্তি আসবে না। এই শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানেন না, কারা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

দেশবাসীর উদ্দেশে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আমাদের পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে আমরাও কিন্তু পরগাছার মত হয়ে যাব। তাই আগামীতে আমরা কঠোর থেকে আরও কঠোর আন্দোলন-সংগ্রামের ঘোষণা দেব।

সরকারের সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, আপনারা ধোঁকাবাজ, মিথ্যাচার ও বিভিন্ন কায়দায় ক্ষমতায় এসেছেন। দেশের জনগণকে ধন্যবাদ আগেও জানিয়েছি, আজকেও জানাই। ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনে আপনার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না হয়ে, ভোট না দিয়ে, বর্তমান সরকারকে আপনারা লাল কার্ড দেখিয়েছেন।

বিশ্বে মুসলমানদের ধ্বংসের নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ গঠন তো দূরের কথা সমাজব্যবস্থা ও শিষ্টাচারসহ সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ২০২১ সালের শিক্ষা কারিকুলাম দেশের জনগণ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ আমরা কেউ মানি না। এটাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। দেশের ১৮ কোটি মানুষের ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আমাদের পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে আমরাও কিন্তু পরগাছার মত হয়ে যাব। এই মুহূর্তে বসে থাকলে আমাদের দেশ, ধর্ম ও ইসলাম থাকবে না। আগামীতে আমরা কঠোর থেকে আরও কঠোর আন্দোলন-সংগ্রামের ঘোষণা দেব।

সেমিনার থেকে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম ২০২১ বাতিলের দাবিতে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে আগামী ২৫ জানুয়ারি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইয়াকুব হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম, লেখক গবেষক ও কলামিস্ট মুসা আল হাফিজ, শিক্ষক ও গবেষক ড. সরোয়ার হোসেন, ফিলোসফির শিক্ষক আসিফ মাহতাব, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান সাংবাদিক নেতা মুন্সী আবদুল মান্নান, প্রিন্স ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় সৌদি আরবের সহকারী অধ্যাপক ড. হাফেজ মাবরুক বিল্লাহ, মাহমুদুল হাসান রায়হান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তফা মনজু, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আবদুস সবুর।