Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্পদের হিসেব দিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী, রয়েছে ২১৭ ব্যাগ ও ৭৫টি ঘড়ি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা তার সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণা অনুযায়ী, যেখানে পেতংতার্নের সম্পত্তির মূল্য ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে (প্রায় ৪ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা)। এসব সম্পত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২১৭টি বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ব্যাগ এবং অন্তত ৭৫টি দামি ঘড়ি। যগুলোর দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) নিজের সম্পদের তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

এএফপি জানিয়েছে, এই প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের মধ্যে ২০০টিরও বেশি ডিজাইনের হ্যান্ডব্যাগ রয়েছে যার মূল্য ২ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কমপক্ষে ৭৫টি বিলাসবহুল ঘড়ি রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কনিষ্ঠ কন্যা ও টেলিকম খাতের ধনকুবের পাইতংতার্ন গত সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরর জাতীয় দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে তার সম্পদ এবং ঋণের তথ্য দিতে বাধ্য হন।

৩৭ বছর বয়সী এই নারী প্রধামন্ত্রীর যুক্তরাজ্যের লন্ডন, জাপানসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে বাড়ি আছে।

এক নথিতে দেখা গেছে, থাই দুর্নীতি দমন কমিশন নতুন প্রধানমন্ত্রীর ১৩.৮ বিলিয়ন বাথ (৪০০ মিলিয়ন ডলার) সম্পদ চিহ্নিত করেছেন। বিনিয়োগ আছে ১১ বিলিয়ন বাথ। তার কাছে আরও এক বিলিয়ন বাথ আমানত এবং নগদ ছিল।

তার অন্যান্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৬২ মিলিয়ন বাথ মূল্যের ৭৫টি ঘড়ি, আরও ৩৯টি টেবিলঘড়ি, পাশাপাশি ৭৬ মিলিয়ন বাথ মূল্যের ২১৭টি হ্যান্ডব্যাগ। এছাড়া মধ্যে লন্ডন এবং জাপানের মতো জায়গায় রয়েছে সম্পত্তি।

স্থানীয় গণমাধ্যমে পোস্ট করা নথি অনুসারে, তিনি প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বাথের ঋণের কথাও ঘোষণা করেন। ফিউ থাই পার্টির একজন প্রতিনিধি এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন, থাই গণমাধ্যমে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ হয়েছে, তা সঠিক।

পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বাবা থাকসিন একসময় ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের মালিক ছিলেন। ফোর্বসের মতে, ২.১ বিলিয়ন ডলারের মোট সম্পদের পরিমাণ রয়েছে তার। তিনি থাইল্যান্ডের দশম ধনী ব্যক্তিতে।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে নির্বাসনে থাকা বছরগুলোতেও তার পরিবার প্রভাবশালী ছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরবে সম্পদের পাশাপাশি দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে।

সুখোথাই থাম্মাথিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ুত্তাপর্ন ইসারাচাই এএফপিকে বলেন, পুরোপুরি কার্যকর গণতন্ত্রবিহীন দেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অর্থই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সম্পদের হিসেব দিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী, রয়েছে ২১৭ ব্যাগ ও ৭৫টি ঘড়ি

প্রকাশের সময় : ১০:২৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা তার সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষণা অনুযায়ী, যেখানে পেতংতার্নের সম্পত্তির মূল্য ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে (প্রায় ৪ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা)। এসব সম্পত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২১৭টি বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ব্যাগ এবং অন্তত ৭৫টি দামি ঘড়ি। যগুলোর দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) নিজের সম্পদের তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

এএফপি জানিয়েছে, এই প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের মধ্যে ২০০টিরও বেশি ডিজাইনের হ্যান্ডব্যাগ রয়েছে যার মূল্য ২ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কমপক্ষে ৭৫টি বিলাসবহুল ঘড়ি রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কনিষ্ঠ কন্যা ও টেলিকম খাতের ধনকুবের পাইতংতার্ন গত সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরর জাতীয় দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে তার সম্পদ এবং ঋণের তথ্য দিতে বাধ্য হন।

৩৭ বছর বয়সী এই নারী প্রধামন্ত্রীর যুক্তরাজ্যের লন্ডন, জাপানসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে বাড়ি আছে।

এক নথিতে দেখা গেছে, থাই দুর্নীতি দমন কমিশন নতুন প্রধানমন্ত্রীর ১৩.৮ বিলিয়ন বাথ (৪০০ মিলিয়ন ডলার) সম্পদ চিহ্নিত করেছেন। বিনিয়োগ আছে ১১ বিলিয়ন বাথ। তার কাছে আরও এক বিলিয়ন বাথ আমানত এবং নগদ ছিল।

তার অন্যান্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৬২ মিলিয়ন বাথ মূল্যের ৭৫টি ঘড়ি, আরও ৩৯টি টেবিলঘড়ি, পাশাপাশি ৭৬ মিলিয়ন বাথ মূল্যের ২১৭টি হ্যান্ডব্যাগ। এছাড়া মধ্যে লন্ডন এবং জাপানের মতো জায়গায় রয়েছে সম্পত্তি।

স্থানীয় গণমাধ্যমে পোস্ট করা নথি অনুসারে, তিনি প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বাথের ঋণের কথাও ঘোষণা করেন। ফিউ থাই পার্টির একজন প্রতিনিধি এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন, থাই গণমাধ্যমে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ হয়েছে, তা সঠিক।

পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বাবা থাকসিন একসময় ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের মালিক ছিলেন। ফোর্বসের মতে, ২.১ বিলিয়ন ডলারের মোট সম্পদের পরিমাণ রয়েছে তার। তিনি থাইল্যান্ডের দশম ধনী ব্যক্তিতে।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে নির্বাসনে থাকা বছরগুলোতেও তার পরিবার প্রভাবশালী ছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরবে সম্পদের পাশাপাশি দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে।

সুখোথাই থাম্মাথিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ুত্তাপর্ন ইসারাচাই এএফপিকে বলেন, পুরোপুরি কার্যকর গণতন্ত্রবিহীন দেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অর্থই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।