Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমালোচনা এড়াতেই সকালে ব্যালট বাক্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত : ইসি রাশেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০১৮ সালের নির্বাচনের সমালোচনা এড়াতে আগের দিনের পরিবর্তে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

রোববার (২০ আগস্ট) নির্বাচন ভবন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, যেহেতু ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাতে ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। তাই এই সমালোচনাকে উপেক্ষা না করে সমালোচনা এড়াতেই এবার ভোটের দিন সকালে ব্যালট বাক্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

ইসি রাশেদা বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই। সবসময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর। ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে হোক, ব্যালটেই হোক। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে যা যা করা দরকার তা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটা বড় স্টেপ- দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া সবখানে ব্যালট পেপার যতটা সম্ভব সকালে পাঠানোর চেষ্টা করবো। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে ধীরে ধীরে। একটা সময় আসবে, বিএনপিও ভোটে আসবে। আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক এগিয়ে গেছে, চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরি করার। আগামীকাল কমিশন সভায় উঠবে।

তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা লাগবে। এজন্য ভোটকন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে। আগের মতো সবাই পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা জানান, কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। আমরা নিয়োগ দেবো না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র হয়ে আসবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা এতগুলো ভোট করেছি, কোনো চাপ অনুভব করিনি। এখনো আমাদের মাথায় কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ ধারণা করতে পারে এরকম-ওরকম চাপ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো তরফ থেকে বলা হয়নি এরকম করে দেন, ওরকম করে দেন। কোনোদিক থেকেই কমিশনের কেউই চাপের মধ্যে নেই। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। সবসময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। …সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর।

এক প্রশ্নের জবাবে এ রাশেদা সুলতানা বলেন, এখনো আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূটকৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কী কারণে করছেন, কী চিন্তা করছেন, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে ইনশাআল্লাহ আসবে।

ইসিকে আস্থায় আনার বিষয়টি বিএনপির মাথায় আনার অনুরোধ জানান তিনি।

কমিশনার বলেন, অস্থিরতা তো সারাজীবন থাকবে? কোনোদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল না? অতীতকে আমরা আঁকড়ে ধরবো না। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এগোতে হবে। আমরা এখনও আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূটকৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কি কারণে করছেন, কি চিন্তা করছেন এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে তারা ভোটে আসবে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আস্থায় রাখতে না পারলে, উনারা (বিএনপি) মাথায় নিচ্ছে না আস্থায় আনা যায়। মাথায় নিলেই আস্থায় এসে যাবে। আমার ধারণা, একটা পর্যায়ে ওনারা আস্থায় নেবেন, ভোটে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

সমালোচনা এড়াতেই সকালে ব্যালট বাক্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত : ইসি রাশেদা

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০১৮ সালের নির্বাচনের সমালোচনা এড়াতে আগের দিনের পরিবর্তে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

রোববার (২০ আগস্ট) নির্বাচন ভবন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, যেহেতু ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাতে ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। তাই এই সমালোচনাকে উপেক্ষা না করে সমালোচনা এড়াতেই এবার ভোটের দিন সকালে ব্যালট বাক্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

ইসি রাশেদা বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই। সবসময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর। ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে হোক, ব্যালটেই হোক। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে যা যা করা দরকার তা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটা বড় স্টেপ- দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া সবখানে ব্যালট পেপার যতটা সম্ভব সকালে পাঠানোর চেষ্টা করবো। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে ধীরে ধীরে। একটা সময় আসবে, বিএনপিও ভোটে আসবে। আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক এগিয়ে গেছে, চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরি করার। আগামীকাল কমিশন সভায় উঠবে।

তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা লাগবে। এজন্য ভোটকন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে। আগের মতো সবাই পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা জানান, কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। আমরা নিয়োগ দেবো না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র হয়ে আসবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা এতগুলো ভোট করেছি, কোনো চাপ অনুভব করিনি। এখনো আমাদের মাথায় কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ ধারণা করতে পারে এরকম-ওরকম চাপ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো তরফ থেকে বলা হয়নি এরকম করে দেন, ওরকম করে দেন। কোনোদিক থেকেই কমিশনের কেউই চাপের মধ্যে নেই। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। সবসময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। …সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর।

এক প্রশ্নের জবাবে এ রাশেদা সুলতানা বলেন, এখনো আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূটকৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কী কারণে করছেন, কী চিন্তা করছেন, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে ইনশাআল্লাহ আসবে।

ইসিকে আস্থায় আনার বিষয়টি বিএনপির মাথায় আনার অনুরোধ জানান তিনি।

কমিশনার বলেন, অস্থিরতা তো সারাজীবন থাকবে? কোনোদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল না? অতীতকে আমরা আঁকড়ে ধরবো না। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এগোতে হবে। আমরা এখনও আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূটকৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কি কারণে করছেন, কি চিন্তা করছেন এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে তারা ভোটে আসবে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আস্থায় রাখতে না পারলে, উনারা (বিএনপি) মাথায় নিচ্ছে না আস্থায় আনা যায়। মাথায় নিলেই আস্থায় এসে যাবে। আমার ধারণা, একটা পর্যায়ে ওনারা আস্থায় নেবেন, ভোটে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস।