Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমাবেশের আগের দিন কেন বিএনপিকে দূতাবাসে মিটিং করতে হয় প্রশ্ন হানিফে

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যেকোনো সমাবেশের আগের দিন বিএনপিকে কোনো না কোনো দূতাবাসে কেন মিটিং করতে হয়, সে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুবউল আলম হানিফ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কী কারণে এ শান্তি সমাবেশ করতে হচ্ছে? ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা। বিএনপি পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। জঙ্গিদের দেশ বানিয়ে ছিল। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হতে চলেছি, আর তখনি বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রে নেমেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ১/১‘র স্বপ্ন যারা দেখে, তারা একটা খেলা খেলছে। মুখে বলছে মানবতা আর গণতন্ত্রের কথা। বিএনপি যখনই সমাবেশ করে, তার আগের দিন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মিটিং করে। কেন মিটিং করতে হয়? কারণ তারা বিদেশিদের দিয়ে খেলছে। কিন্তু এই খেলা জনগণ খেলতে দেবে না।

হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা লড়াই সংগ্রাম করেছে, সেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, যে দলের জন্ম হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে অবৈধ প্রক্রিয়ায়। তাদের দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাংবিধানিক ধারা, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এ তারুণ্য এটি বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, আজ যখন জাতি আশা করছে আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। ঠিক তখনই নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তি ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের সময় সশস্ত্র মিছিল হতো। বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছিল। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

বিকেল সোয়া ৩টায় কোরআন তেলাওয়াত, পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তির সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন।

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।

সমাবেশে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

সমাবেশের আগের দিন কেন বিএনপিকে দূতাবাসে মিটিং করতে হয় প্রশ্ন হানিফে

প্রকাশের সময় : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

যেকোনো সমাবেশের আগের দিন বিএনপিকে কোনো না কোনো দূতাবাসে কেন মিটিং করতে হয়, সে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুবউল আলম হানিফ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কী কারণে এ শান্তি সমাবেশ করতে হচ্ছে? ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা। বিএনপি পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। জঙ্গিদের দেশ বানিয়ে ছিল। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হতে চলেছি, আর তখনি বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রে নেমেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ১/১‘র স্বপ্ন যারা দেখে, তারা একটা খেলা খেলছে। মুখে বলছে মানবতা আর গণতন্ত্রের কথা। বিএনপি যখনই সমাবেশ করে, তার আগের দিন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মিটিং করে। কেন মিটিং করতে হয়? কারণ তারা বিদেশিদের দিয়ে খেলছে। কিন্তু এই খেলা জনগণ খেলতে দেবে না।

হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা লড়াই সংগ্রাম করেছে, সেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, যে দলের জন্ম হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে অবৈধ প্রক্রিয়ায়। তাদের দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাংবিধানিক ধারা, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এ তারুণ্য এটি বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, আজ যখন জাতি আশা করছে আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। ঠিক তখনই নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তি ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের সময় সশস্ত্র মিছিল হতো। বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছিল। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

বিকেল সোয়া ৩টায় কোরআন তেলাওয়াত, পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তির সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন।

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।

সমাবেশে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।