লোকবল সংকটে ধুঁকছে রেলওয়ের রাজবাড়ী অংশের কার্যক্রম। রাজবাড়ী থেকে কুষ্টিয়া রুটে ১৪টি স্টেশনের মধ্যে ৫টি বন্ধ হয়ে আছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এছাড়া এই জেলা থেকে ফরিদপুর ও গোপলগঞ্জ রুটের ১৬টি স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে মাস্টার ও বুকিং সহকারীর পদ শূন্য রয়েছে। এতে যাত্রীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তেমনি সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
রাজবাড়ী থেকে কুষ্টিয়া, ভাঙ্গা, ভাটিয়াপাড়া ও রাজশাহী রুটে প্রতিদিন পাঁচটি ট্রেন ১৪ বার যাতায়াত করে।তবে, লোকবল সংকটে এসব রুটে চলাচলে বিচিত্র রকমের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। গোয়ালন্দ ঘাট থেকে কুষ্টিয়া রুটে ১৪টি স্টেশনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি রেল স্টেশনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। তাই এসব স্টেশন কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। স্টেশনগুলো হলো রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারসহ সূর্যনগর, বেরগাছি, মাছপাড়া ও কুষ্টিয়ার চড়াইকোল। তবে, ট্রেন থামায় স্টেশনগুলোতে যাত্রী ওঠানামা হয়।
এছাড়া রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়ারেলপথে ১৬টি স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে মাস্টার নেই। সেই সাথে বুকিং সহকারী না থাকায় টিকিট কেনারও কোন উপায় নেই যাত্রীদের। শুধু তাই নয় অনেক স্টেশনে নেই বিশ্রামাগার কিংবা পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা। ফলে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে, তেমনি বিনা টিকিটের যাত্রীও বাড়ছে।
এছাড়া মাত্র চারজন টিটিই দিয়ে এসব রুটে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলোর যাত্রীদের টিকিট চেক করা হয়।
রেলওয়ের পাকশি অঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানালেন, লোক নিয়োগ দেয়া না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।
জরাজীর্ণ স্টেশনগুলো সংস্কার ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে এই জেলায় ট্রেন চলাচলের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।