নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটা আন্দোলনে জনদুর্ভোগ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সময়মত সব কিছুই দেখবেন, সময়মত যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
সারাদেশব্যাপী জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোটা আন্দোলন করতে দেয়া প্রশাসনিক দুর্বলতা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা প্রশাসনিক দুর্বলতা না, আমরা ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরা মানে দুর্বলতা না। আমরা জোর করে আন্দোলনের ওপর চড়াও হবো, তখন আপনি কী বলবেন?
ছাত্রলীগকে দোষ দেওয়া যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সব দোষই যেন নন্দ ঘোষ ছাত্রলীগের। অথচ এই হামলায় ৫শ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা আছে ২০ জন। ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান আর রাজনীতি করবেন না বলে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয় সেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফবিআই এসেও সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। সেই সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান তার দল হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে অংশ নেননি। আন্দোলন করতে গিয়ে বার বার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এর আগেও তারা (বিএনপি) সড়ক ও কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে ফসল কুড়াতে চেয়েছিল রাজনৈতিকভাবে। সে ব্যর্থ চেষ্টার পর অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। রাজনীতিতে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।এতে কত পুলিশ, গাড়ির ড্রাইভার, নিরীহ যাত্রী হত্যা করেছে, পুড়িয়ে মেরেছে। তারা সে আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়। জনগণের অবস্থানের কাছে তারা পরাস্ত হতে বাধ্য হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আদালয়ের রায় বল প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। এর পেছনে একটি মতলবি মহল আছে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনেও তারা ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আগেও দেখেছি ২০১৮ সালে সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করে তারা আন্দোলনের ফসল কুড়াতে চেয়েছিল। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, কত মানুষ যে মারা গেছে। টার্গেট করে নিরীহ মানুষ তারা হত্যা করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এখনো বলছি আজ যে কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশে চলছে, এই আন্দোলনেরও নেতৃত্ব নিয়েছেন সেই লন্ডনের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তার দল সমর্থন দিয়েছে প্রকাশ্যে। তারেক রহমান প্রতিনিয়ত ২০১৫, ১৬, ১৮ সালের মতো এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তিকে লেলিয়ে দিয়েছে। তাদের সমমনা কিছু দলও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।