Dhaka শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সময়মতো নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে: ইসি আলমগীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২০৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। এটি যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের যে দায়িত্ব তার জন্য কিন্তু প্রস্তুতি প্রয়োজন। যেমন- ভোটার তালিকা করতে হবে, ভোটকেন্দ্র করতে হবে। যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট পেপার কেনার জন্য কাগজ প্রকিউরমেন্ট করতে হবে। নির্বাচন করার জন্য বাক্স লাগবে, সেগুলো কিনতে হবে, কালি লাগবে। সুই, সুতা নানান ধরনের জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে নাকি জানুয়ারিতে হবে সেটি পরের বিষয়। নির্বাচন যখনই করেন, আপনাকে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তী সময়ে হয়তো তারা মনেও করতে পারে, বড় পরিসরে আসবে। এটি তো চূড়ান্ত কোনো কথা নয়।

মো. আলমগীর বলেন, আমরা চাই দেশি-বিদেশি বেশি সংখ্যক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী দেশি বিদেশি যেকোনো সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে আবেদন করতে পারবে। বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা আমন্ত্রণ জানাব। সার্কভুক্ত দেশগুলোর আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অক্টোবরে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।

ইসি আলমগীর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা বিষয় জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। এটা না হলে দেশে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সেটা তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না। ফলে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

ভোটের আগে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা আসবেন কি না জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, আমরা তো আশা করি আসবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছোট পরিসরে একটি দল পাঠানাোর কথা রয়েছে, তবে এটি চূড়ান্ত কথা নয়, তারা বড় দলও পাঠাতে পারেন। এ ছাড়াও পৃথিবীতে তো আরও অনেক দেশ রয়েছে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া । এসব দেশ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আসতে পারেন। শিগগিরই আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো কতটা প্রস্তুত জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘সব দলই নির্বাচনের জন্য উন্মুখ, কোনো দল নির্বাচন চায় না এটা কিন্তু বলেনি। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংকট আছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এটাও মানতে হবে তারা নির্বাচন চায়। ফলে আমরা সংবিধান অনুযায়ী যে শপথ নিয়েছি। সেই শপথ পূরণ করব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বার্ড স্ট্রাইক, বেঙ্গালুরুতে ফ্লাইট বাতিল করল এয়ার ইন্ডিয়া

সময়মতো নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশের সময় : ১২:১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। এটি যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের যে দায়িত্ব তার জন্য কিন্তু প্রস্তুতি প্রয়োজন। যেমন- ভোটার তালিকা করতে হবে, ভোটকেন্দ্র করতে হবে। যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট পেপার কেনার জন্য কাগজ প্রকিউরমেন্ট করতে হবে। নির্বাচন করার জন্য বাক্স লাগবে, সেগুলো কিনতে হবে, কালি লাগবে। সুই, সুতা নানান ধরনের জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে নাকি জানুয়ারিতে হবে সেটি পরের বিষয়। নির্বাচন যখনই করেন, আপনাকে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তী সময়ে হয়তো তারা মনেও করতে পারে, বড় পরিসরে আসবে। এটি তো চূড়ান্ত কোনো কথা নয়।

মো. আলমগীর বলেন, আমরা চাই দেশি-বিদেশি বেশি সংখ্যক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী দেশি বিদেশি যেকোনো সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে আবেদন করতে পারবে। বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা আমন্ত্রণ জানাব। সার্কভুক্ত দেশগুলোর আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অক্টোবরে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।

ইসি আলমগীর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা বিষয় জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। এটা না হলে দেশে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সেটা তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না। ফলে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

ভোটের আগে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা আসবেন কি না জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, আমরা তো আশা করি আসবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছোট পরিসরে একটি দল পাঠানাোর কথা রয়েছে, তবে এটি চূড়ান্ত কথা নয়, তারা বড় দলও পাঠাতে পারেন। এ ছাড়াও পৃথিবীতে তো আরও অনেক দেশ রয়েছে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া । এসব দেশ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আসতে পারেন। শিগগিরই আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো কতটা প্রস্তুত জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘সব দলই নির্বাচনের জন্য উন্মুখ, কোনো দল নির্বাচন চায় না এটা কিন্তু বলেনি। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংকট আছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এটাও মানতে হবে তারা নির্বাচন চায়। ফলে আমরা সংবিধান অনুযায়ী যে শপথ নিয়েছি। সেই শপথ পূরণ করব।