আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রথম কোনো অর্থোডক্স খ্রিস্টান দেশ হিসেবে গ্রিস সমকামী বিয়েতে বৈধতা দিল। তবে গির্জার পাশাপাশি কিছু রাজনীতিবিদ এতে বিরোধিতা করেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পার্লামেন্ট সমলিঙ্গের বিয়ের প্রস্তাবটি পাস করে। ১৭৬ আইনপ্রণেতা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। আর বিপক্ষে ছিলেন ৭৬ জন। দুজন ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন এবং ৪৬ জন উপস্থিত ছিলেন না।
নতুন আইন অনুযায়ী, গ্রিসে সমকামী দম্পতিরা এখন আইনত সন্তান দত্তক নিতে পারবেন। তবে সমকামী বিয়ে নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল গ্রিস। দেশটির শক্তিশালী অর্থোডক্স চার্চের নেতৃত্ব বিষয়টির তীব্র প্রতিরোধ জানায়। তাদের সমর্থকরা এথেন্সে সমকামী বিয়েবিরোধী একটি প্রতিবাদ সমাবেশও করেছে।
গ্রিসের অর্থোডক্স চার্চের প্রধান আর্চবিশপ আইরনিমোস বলেছেন, এই ব্যবস্থা গ্রিসের সামাজিক সংহতি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে ফেলবে। তবে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস বলেছেন, নতুন আইনের মাধ্যমে একটি গুরুতর অসমতা দূর করা যাবে।
সমকামী বিয়ে বৈধতা পাওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে গ্রিসের এলজিবিটিকিউ সংগঠনগুলো। এমন একটি সংগঠনের প্রধান স্টেলা বেলিয়া রয়টার্সকে বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের মধ্যে ১৫টিই সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে। এছাড়া বিশ্বের ৩৫টি দেশ এখন পর্যন্ত সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে।