নিজস্ব প্রতিবেদক :
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের নির্বাচন নিয়ে কোনো টেনশন নেই। নির্বাচন হবে। আপনারা কি কখনো আমাদের টেনশনে দেখেছেন। দেশে এখন পর্যন্ত সব ভোট সুষ্ঠু করে আসছি সামনেও ভোট সুষ্ঠু করবো ইনশাআল্লাহ।
রোববার (১৫ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, আমরা ফুললি কনফিডেন্ট, নির্বাচন হবে। এটা ঠিক আপনারা দেখেন কোনো নির্বাচনেই সব রাজনৈতিক দল আসে না। আপনারা ইতিহাসে দেখেন, ৭০ এর নির্বাচনেও সব দল নির্বাচনে আসে নাই। ৪৪টা দল তো নির্বাচনে আসবে আবার কোনো দল নাও আসতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা ৪৪ দলকে কাউন্ট করি না। আমরা কাউন্ট করি তিনটা দলের মধ্যে বিএনপি আসবে কি না না। বিএনপি যদি না আসে আপনাদের খারাপ লাগবে কি? বিএনপি নির্বাচনে এলে আমরা খুশি। উনাদের দাবি যাদের কাছে আছে সেটা তাদের কাছে আছে। আমরা চাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসুক। আপনারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসুন ভোট সুষ্ঠু হবে।
ইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সব প্রস্তুতি শেষ। বিএনপিরটা ভিন্ন ইস্যু। রাজপথের সমস্যা উনারা সমাধান করবে। আমরা সাংবিধানিকভাবে কাজ করছি, এর বাইরে যাওয়ার কোনো পথ নেই।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, এখনো সংলাপের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে কি? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার সকালে বা আগে দেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যেখানে সকালে যাওয়ার কথা সকালে যাবে, আবার যেখানে আগে যাওয়ার কথা সেখানে আগেই যাবে। শিডিউল বা তফসিল ঘোষণার পর এ সিদ্ধান্ত হবে।
তফসিল ও ভোট প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, কমিশন এই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা হবে। ভোটগ্রহণ ডিসেম্বরে না জানুয়ারিতে হবে সেটি আগে ঠিক হবে। সংবিধান অনুযায়ী ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে যাবতীয় কাজ শেষ করেছি। সে অনুযায়ী রোডম্যাপ করেছি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সব প্রস্তুতি শেষ। সবাই নির্বাচন চায়, ৪৪ দল আমাদের সঙ্গে আছে। বিএনপির ইস্যু ভিন্ন। রাজপথের সমস্যা উনারা সমাধান করবেন। আমরা সাংবিধানিক অনুযায়ী কাজ করছি, এর বাইরে যাওয়ার কোনো পথ নেই।
সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আগের মামলায় কাউকে গ্রেফতার করলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) হস্তক্ষেপ করবে বলে জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, সংবিধানের দৃষ্টিতে ভোটে কোনো বাধা দেখছে না নির্বাচন কমিশন। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না ইসি। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য তফসিল ঘোষণার পর যেন কোনো রাজনৈতিক মামলা বা আটক করা না হয়।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব নিয়েছি দলীয় সরকারের অধীনে। পুলিশ ও ডিসি নির্বাচনে আমাদের কথা মতো কাজ করবে। পুলিশ ও রাজনীতির দায়িত্ব আমরা পালন করি না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য নতুন করে যেন গ্রেপ্তার না হয়। কারো বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা থেকে থাকলে নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করুন। তফসিল ঘোষণার পর যেন গ্রেপ্তার করা না হয়।
বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন শিডিউল ঘোষণার পরে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না সিইসি এই কথা বলেছেন। মামলা ও ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে গ্রেপ্তার করতে হবে তফসিল ঘোষণার আগে।’