নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে ভূ-গর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থা কার্যকর অবদান রাখবে। ঢাকাসহ সব বড় বড় শহরে ওভারহেড বিতরণ লাইন পর্যায়ক্রমে ভূ-গর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে বিদ্যুৎ বিতরণ, সঞ্চালন ও উৎপাদন ব্যবস্থা স্মার্ট করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ভূ-গর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থার চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে যত্রতত্র বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার শহরের সৌন্দর্যহানি ঘটাচ্ছে। বিতিরণ ব্যবস্থা ভূ-গর্ভস্থ করা তাই সময়ের দাবি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকেই স্মার্ট করা হচ্ছে। এসময় তিনি গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকার আশপাশসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা শহরের বৈদ্যুতিক তার আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে।
নসরুল হামিদ বলেন, ধানমণ্ডি ৩ নম্বর রোডের সব তার সরিয়ে ফেলা হয়েছে, এটা এখন মাটির নিচ দিয়ে চলে গেছে। প্রকল্পটি ৪ বছর আগে নেওয়া হয়েছিল। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের যে লক্ষ্যমাত্র, তা এর মাধ্যমে শুরু করা হলো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড করার ফলে লোড নিয়ে কাজ করা যায়, লোড কন্ট্রোল করা যায়, সর্বোপরি গ্রাহক সেবার মান উন্নত হয়। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য পুরো ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোকে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলে নিয়ে যাওয়া। ইতিমধ্যে তার প্ল্যান করা হয়ে গেছে। কারোনার কারণে আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম, তাই এখন দ্রুতগতিতে সব সম্পন্ন করতে হচ্ছে।
নসরুল হামিদ বলেন, ক্যাবল তারের জন্য গাছ কাটতে হতো, ঝড়ে তার ছিঁড়ে যেত। ফলে বিভিন্ন স্থানে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। তবে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল করার ফলে সেসবের আর আশঙ্কা নেই, এতে করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের তার আন্ডারগ্রাউন্ড হলেও ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেটের তারগুলো আন্ডারগ্রাউন্ড হয়নি। আমরা তাদের বলেছি দ্রুত যেন তারাও আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়। এতে করে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ধানমণ্ডি এলাকার ৩৪টি রোডের ওভারহেড বিতরণ লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। এই এলাকার বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৩০ মেগাওয়াট। আগামী ২৫ বছরের লোড গ্রোথ বিবেচনায় এই এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ডিজাইন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ৮টি রাস্তার আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনে রূপান্তরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১১টি রাস্তার আন্ডার লাইনে রূপান্তরের কাজ চলমান আছে। আশা করছি, আগামী বছরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন হবে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে ডিপিডিসির (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।