নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই নির্বাচনের মুখোমুখি হব। সামনের নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ করতে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে চায় কমিশন।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বিতীয় দিনের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সিইসি দলীয়ভাবে আচরণবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানান।
এদিন গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা সংলাপে এসেছেন।
দলীয়ভাবে আচরণবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, খুব শিগগিরই নির্বাচনের মুখোমুখি হবো। সামনের নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ করতে সবার সহযোগিতা দরকার।
সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে চায় কমিশন।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আচরণবিধি সঠিকভাবে পালন করা হলে নির্বাচন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের কর্মীদের আচরণবিধি সম্পর্কে ব্রিফ করার অনুরোধ করছি। কেননা, নির্বাচন কমিশন একা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। এজন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহযোগিতা অপরিহার্য।
সিইসি বলেন, ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কমিশনকে একাধিক বড় ও জটিল কাজে হাত দিতে হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল ভোটার তালিকা হালনাগাদ।
তিনি বলেন, ৭৭ হাজার মাঠকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে—যারা অতীতে তালিকায় থেকে যেতেন এবং তাদের নামে ভোট পড়ার ঝুঁকি ছিল। একই সঙ্গে ৪০ লাখের বেশি নতুন ভোটার শনাক্ত করা হয়েছে, যারা ভোটার বয়সে উপনীত হলেও তালিকায় নাম ছিল না।
সিইসি বলেন, প্রতি নির্বাচনে প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ ভোটগ্রহণ কাজে দায়িত্ব পালন করেন, এদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারাও থাকেন। তারা নিজেরা কখনো ভোট দিতে পারেন না। এবার তাদের জন্যও ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ছাড়া নিজ দায়িত্বের বাইরে কর্মস্থলে থাকা সরকারি চাকরিজীবী ও কারাবন্দিদের জন্যও ভোটদানের নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনী সংস্কার কমিশন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ৮০টির বেশি সংলাপ করেছে, যা ইসিকে নীতিনির্ধারণে সহায়তা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ওই সংস্কারের কিছু সুপারিশ যৌথভাবে বাস্তবায়নের ঘোষণাও রয়েছে।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আচরণবিধি সঠিকভাবে পালন করা হলে নির্বাচন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের কর্মীদের আচরণবিধি সম্পর্কে ব্রিফ করার অনুরোধ করছি। কেননা, নির্বাচন কমিশন একা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। এজন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহযোগিতা অপরিহার্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















