Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে মানুষকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল আটটার পর ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এই আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসবেন। আপনার ভোট অনেক মূল্যবান। আপনাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক জেল-জুলুম সহ্য করেছি। সুষ্ঠু-নির্বাচনে জনগণের সহযোগিতা চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি এজন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি, জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, কিন্তু দেশের মানুষ তারা তাদের ভোটের অধিকারের বিষয় সচেতন হয়েছে। পাঁচ বছর পর নির্বাচন আসে জনগণ ভোট দেবে, সে নির্বাচনের ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। যদিও এখানে বিএনপি-জামায়াত জোটরা জ্বালাও পোড়াও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন দেওয়ার থেকে শুরু করে মানুষ পুড়িয়ে মারা, বোমা হামলা, ককটেল মারা, এসব জঘন্য কাজগুলো তারা (বিএনপি-জামায়াত) করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না। দেশপ্রেম নাই, মানুষের কল্যাণও চায় না। তারা গণতন্ত্রের ভালো চায় না। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই উন্নতি হয়েছে। আমাদের সামনে আরো কাজ আছে, আমরা সম্পন্ন করতে চাই।

শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি সে জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, কিন্তু দেশের মানুষ তারা তাদের ভোটের অধিকারের বিষয় সচেতন হয়েছে। পাঁচ বছর পর নির্বাচন আসে জনগণ ভোট দেবে, সে নির্বাচনের ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। আশা করি নৌকা মার্কার জয় হবে।

তিনি আরও বলেন, আশা করি নৌকা মার্কা জয় লাভ হবে। আবার আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে, আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে পারব। জনগণের ওপর আমার এ বিশ্বাস আছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আমি আবারও বলবো, আজকে সুষ্ঠুভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবেন, আপনার ভোটটা অনেক মূল্যবান। এ ভোটের অধিকারের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। জেল, জুলুম, অত্যাচার, গ্রেনেড, অনেক কিছু আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। আজকে ভোটের অধিকার মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি, আজকে সেই ভোটের অধিকার পেয়েছে। সেটা তারা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারবে। নির্বাচনটা অবাধ নিরপেক্ষ হবে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিক, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য আমরা জনগণের সব ধরনের সহযোগিতা চাই।

বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। কাজেই এরা তো ভোট কারচুপি আর মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়া; এটাই তাদের চরিত্র। ২০০৮ সালে নির্বাচনে ৩০০ সিটের মধ্যে মাত্র ৩০ সিট পেয়েছিল বিএনপি, আর আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছিল ২৩৩ সিট। এরপর থেকে বিএনপি নির্বাচনের বিরুদ্ধে। মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা; এটাই তাদের চরিত্র।

তিনি বলেন, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে চায়, তারা মানুষ হত্যা করে, গাড়িতে আগুন দিয়ে, বাসে আগুন দিয়ে, তারা ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে, তারা মনে করে ওটাই তাদের রাজনীতি। এটা করার কারণে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আজকের যে ভোটের পরিবেশ সুন্দরভাবে হয়েছে, আমি আশা করি, দেশে সব মানুষ তারা ভোট দিতে আসবেন, ভোট দেবেন। আপনার অধিকার আপনি প্রতিষ্ঠিত করবেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখবেন। বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এগিয়ে নেবেন, এটাই আমি চাই।

এর আগে সকাল ৮টার ৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঢাকা-১০ আসনের ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানমন্ডি সুধাসদনের ঠিকানায় ভোটার হওয়ায় তিনি এ কেন্দ্রে ভোট দেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী নায়ক ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে মানুষকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল আটটার পর ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এই আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসবেন। আপনার ভোট অনেক মূল্যবান। আপনাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক জেল-জুলুম সহ্য করেছি। সুষ্ঠু-নির্বাচনে জনগণের সহযোগিতা চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি এজন্য আমি আমার দেশের মানুষের প্রতি, জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, কিন্তু দেশের মানুষ তারা তাদের ভোটের অধিকারের বিষয় সচেতন হয়েছে। পাঁচ বছর পর নির্বাচন আসে জনগণ ভোট দেবে, সে নির্বাচনের ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। যদিও এখানে বিএনপি-জামায়াত জোটরা জ্বালাও পোড়াও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন দেওয়ার থেকে শুরু করে মানুষ পুড়িয়ে মারা, বোমা হামলা, ককটেল মারা, এসব জঘন্য কাজগুলো তারা (বিএনপি-জামায়াত) করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না। দেশপ্রেম নাই, মানুষের কল্যাণও চায় না। তারা গণতন্ত্রের ভালো চায় না। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই উন্নতি হয়েছে। আমাদের সামনে আরো কাজ আছে, আমরা সম্পন্ন করতে চাই।

শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি সে জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, কিন্তু দেশের মানুষ তারা তাদের ভোটের অধিকারের বিষয় সচেতন হয়েছে। পাঁচ বছর পর নির্বাচন আসে জনগণ ভোট দেবে, সে নির্বাচনের ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। আশা করি নৌকা মার্কার জয় হবে।

তিনি আরও বলেন, আশা করি নৌকা মার্কা জয় লাভ হবে। আবার আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে, আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে পারব। জনগণের ওপর আমার এ বিশ্বাস আছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আমি আবারও বলবো, আজকে সুষ্ঠুভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবেন, আপনার ভোটটা অনেক মূল্যবান। এ ভোটের অধিকারের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। জেল, জুলুম, অত্যাচার, গ্রেনেড, অনেক কিছু আমাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। আজকে ভোটের অধিকার মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি, আজকে সেই ভোটের অধিকার পেয়েছে। সেটা তারা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারবে। নির্বাচনটা অবাধ নিরপেক্ষ হবে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিক, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য আমরা জনগণের সব ধরনের সহযোগিতা চাই।

বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। কাজেই এরা তো ভোট কারচুপি আর মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়া; এটাই তাদের চরিত্র। ২০০৮ সালে নির্বাচনে ৩০০ সিটের মধ্যে মাত্র ৩০ সিট পেয়েছিল বিএনপি, আর আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছিল ২৩৩ সিট। এরপর থেকে বিএনপি নির্বাচনের বিরুদ্ধে। মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা; এটাই তাদের চরিত্র।

তিনি বলেন, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে চায়, তারা মানুষ হত্যা করে, গাড়িতে আগুন দিয়ে, বাসে আগুন দিয়ে, তারা ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে, তারা মনে করে ওটাই তাদের রাজনীতি। এটা করার কারণে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আজকের যে ভোটের পরিবেশ সুন্দরভাবে হয়েছে, আমি আশা করি, দেশে সব মানুষ তারা ভোট দিতে আসবেন, ভোট দেবেন। আপনার অধিকার আপনি প্রতিষ্ঠিত করবেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখবেন। বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এগিয়ে নেবেন, এটাই আমি চাই।

এর আগে সকাল ৮টার ৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঢাকা-১০ আসনের ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানমন্ডি সুধাসদনের ঠিকানায় ভোটার হওয়ায় তিনি এ কেন্দ্রে ভোট দেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ঢাকা-১০ আসনের নৌকার প্রার্থী নায়ক ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।