Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবজিতে স্বস্তি থাকলেও চালে অস্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুই-তিন রকমের সবজির আইটেম ছাড়া বাকি সবজিগুলোর দাম বর্তমানে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। মূলত এখন মৌসুম নয় এমন সবজিগুলোর দাম বাজারে বাড়তি যাচ্ছে। পাশাপাশি রমজানের শুরু থেকে বাজারে বেগুনের দাম সেঞ্চুরি হাঁকালেও বর্তমানে তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকি সবজিগুলোতে ক্রেতাদের স্বস্তি রয়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। পবিত্র রমজানে অধিকাংশ পণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকলেও চালের দাম বেশি। এরমধ্যে রোজা শুরুর পরও বাজারে কিছু কিছু চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

শীতকালীন সবজির মধ্যে বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০ থেকে ২০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আলু প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দামে তেমন হেরফের হয়নি। অন্যদিকে লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে কাঁকরোল প্রতিকেজি ২৪০ থেকে ২৮০, এমনকি মানভেদে ৩০০ টাকায়ও। পটল-ঢেঁড়স ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁয়াজকলি ৩০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লেবু আকারভেদে ১২০ থেকে ২২০ টাকা, শসা প্রতিকেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম বেড়েছে। লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে এতদিন বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

চালের মধ্যে প্রতি কেজি নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৯০ টাকা, মিনিকেট সরু আতপ চাল মানভেদে ৫৮, ৬৫ ও ৭৪ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ ৯০ টাকায়, ব্রি-২৮ চাল মানভেদে ৮০ ও ৮৬ টাকা, স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনিগুঁড়া প্রতিকেজি ১৪০ টাকা এবং কিছুটা উন্নতমানের চিনিগুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। প্যাকেট পোলাও চাল ১৫০ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রমজানের পণ্য পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি গত বছরের তুলনায় দাম অনেক কম বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তাদের তথ্যমতে, গত রমজানে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল প্রতিকেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত। এবার বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১১০ টাকায়। গত বছরের ১৪৫-১৬০ টাকার চিনি এবারের রমজানে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

বাজারে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।

অন্যান্য মুদিপণ্যের মধ্যে ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১২০ টাকা, মাষকলাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। চায়না রসুন প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা এবং চায়না আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।

ইলিশের কেজি আকার-ওজনভেদে এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে খামারের ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ থেকে ২৮৫ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।

ফলের বাজারে দাম বেড়েছে সবকিছুতে ২০-৩০ টাকা। গোল্ডেন আপেল ৪৫০ টাকা, গালা আপেল ৪৪০ টাকা, ফুজি আপেল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, কমলা ৩৫০ টাকা, আনার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আঙ্গুর ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, নাসপাতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, পেয়ারা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, মাল্টা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড়ই ৮০ টাকা, তরমুজ ৬০ টাকা কেজিপ্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

সবজিতে স্বস্তি থাকলেও চালে অস্বস্তি

প্রকাশের সময় : ০১:১৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুই-তিন রকমের সবজির আইটেম ছাড়া বাকি সবজিগুলোর দাম বর্তমানে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। মূলত এখন মৌসুম নয় এমন সবজিগুলোর দাম বাজারে বাড়তি যাচ্ছে। পাশাপাশি রমজানের শুরু থেকে বাজারে বেগুনের দাম সেঞ্চুরি হাঁকালেও বর্তমানে তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাকি সবজিগুলোতে ক্রেতাদের স্বস্তি রয়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। পবিত্র রমজানে অধিকাংশ পণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকলেও চালের দাম বেশি। এরমধ্যে রোজা শুরুর পরও বাজারে কিছু কিছু চালের দাম কেজিপ্রতি দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

শীতকালীন সবজির মধ্যে বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০ থেকে ২০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আলু প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দামে তেমন হেরফের হয়নি। অন্যদিকে লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে কাঁকরোল প্রতিকেজি ২৪০ থেকে ২৮০, এমনকি মানভেদে ৩০০ টাকায়ও। পটল-ঢেঁড়স ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁয়াজকলি ৩০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লেবু আকারভেদে ১২০ থেকে ২২০ টাকা, শসা প্রতিকেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম বেড়েছে। লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে এতদিন বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

চালের মধ্যে প্রতি কেজি নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৯০ টাকা, মিনিকেট সরু আতপ চাল মানভেদে ৫৮, ৬৫ ও ৭৪ টাকা, পাইজাম সিদ্ধ ৯০ টাকায়, ব্রি-২৮ চাল মানভেদে ৮০ ও ৮৬ টাকা, স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনিগুঁড়া প্রতিকেজি ১৪০ টাকা এবং কিছুটা উন্নতমানের চিনিগুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। প্যাকেট পোলাও চাল ১৫০ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রমজানের পণ্য পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি গত বছরের তুলনায় দাম অনেক কম বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তাদের তথ্যমতে, গত রমজানে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল প্রতিকেজি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত। এবার বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১১০ টাকায়। গত বছরের ১৪৫-১৬০ টাকার চিনি এবারের রমজানে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

বাজারে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।

অন্যান্য মুদিপণ্যের মধ্যে ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১২০ টাকা, মাষকলাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। চায়না রসুন প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা এবং চায়না আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।

ইলিশের কেজি আকার-ওজনভেদে এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে খামারের ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ থেকে ২৮৫ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।

ফলের বাজারে দাম বেড়েছে সবকিছুতে ২০-৩০ টাকা। গোল্ডেন আপেল ৪৫০ টাকা, গালা আপেল ৪৪০ টাকা, ফুজি আপেল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা, কমলা ৩৫০ টাকা, আনার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আঙ্গুর ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, নাসপাতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, পেয়ারা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, মাল্টা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড়ই ৮০ টাকা, তরমুজ ৬০ টাকা কেজিপ্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে।