Dhaka বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবজিতে স্বস্তি, চড়া চাল-মাছ-মুরগির বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাজারে বেড়েছে সবজির সরবরাহ। ফলে দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কমে যাচ্ছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের। তবে ঘাটতির অজুহাতে আরও অস্থির হয়ে উঠেছে মাছ বাজার চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ ও চিংড়ি। চড়াভাব কাটেনি পোল্ট্রি বাজারে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এবং বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ২৫ টাকা, লেবু ২৫-৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আজ বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৫০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লাল মুলা ৩০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, পেঁয়াজকলি ২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশির ভাগ সবজির দামই প্রতি কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া কয়েকটি সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারে সব ধরনের আলুর দাম কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে চায়না আদার দামও। আজ মান ও আকারভেদে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। এর মধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং বড় আকারের পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি নতুন সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, নতুন লাল আলু ২৫ টাকায়। নতুন বগুড়ার আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আজ দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০-২৩০ টাকা, চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় আজ মানভেদে প্রতি কেজিতে নতুন দেশি সাদা আলুর দাম ৫-১০ টাকা, নতুন দেশি লাল আলুর দাম ৫-১০ টাকা এবং নতুন বগুড়ার আলুর দাম ১৫-২০ টাকা কমেছে। এছাড়া প্রতি কেজিতে চায়না আদার দাম কমেছে ২০-৪০ টাকা।

গরু ও খাসির মাংস ঊর্ধ্বগতি। মানুষের নাগালের বাইরে। ব্রয়লার ও কক মুরগির দাম কিছুটা ।

প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৯৩-২০০ টাকা, কক মুরগি ৩০৫-৩১৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮৮-২৯০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা, সাদা ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, আজ প্রতি কেজিতে ব্রয়লার মুরগি দাম ৩-১০ টাকা, কক মুরগির দাম ১৫-৩৫ টাকা কমেছে। এছাড়া গরু ও খাসির মাংস, দেশি ও লেয়ার মুরগি দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। একইসঙ্গে আজ ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিমের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাছের দাম অপরিবর্তিত, অর্থাৎ আগের মতোই ঊর্ধ্বগতি। দাম না কমার কারণ হিসেবে বরাবরের মতো বিক্রেতারা জানান, চাহিদা বেশি সাপ্লাই কম, তাই দাম বেড়েছে।

আজ আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ মাছ ৭০০-২ হাজার ২০০ টাকা, রুই ৩৫০-৫৫০ টাকা, কাতল ৪০০-৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৪৫০-৬০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১ হাজার ৫০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, কৈ ২২০-১ হাজার ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৪০০-১০০০ টাকা, টেংরা ৫০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৬০০-১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৮০০-১ হাজার ১০০ টাকা, মেনি ৬০০-৭০০ টাকা, চিতল ৬০০-৯০০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০-৪০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০-১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।

একই অবস্থা তেলের বাজারেও। দাম বাড়ানোর এক মাস পরও বাজারে কৃত্রিম সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের। ভোক্তাদের অভিযোগ, বোতলজাত পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা পাওয়া গেলেও এক ও দুই লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। হাতে গোনা দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

আর বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়েও বেশি দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হতে দেখা গেছে। খোলা সয়াবিন তেল কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। তবুও মিলছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শাহজাহান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল-ইনু

সবজিতে স্বস্তি, চড়া চাল-মাছ-মুরগির বাজার

প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাজারে বেড়েছে সবজির সরবরাহ। ফলে দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কমে যাচ্ছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের। তবে ঘাটতির অজুহাতে আরও অস্থির হয়ে উঠেছে মাছ বাজার চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ ও চিংড়ি। চড়াভাব কাটেনি পোল্ট্রি বাজারে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এবং বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ২৫ টাকা, লেবু ২৫-৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আজ বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৫০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লাল মুলা ৩০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, পেঁয়াজকলি ২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা, ধনেপাতা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশির ভাগ সবজির দামই প্রতি কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া কয়েকটি সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারে সব ধরনের আলুর দাম কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে চায়না আদার দামও। আজ মান ও আকারভেদে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। এর মধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং বড় আকারের পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি নতুন সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, নতুন লাল আলু ২৫ টাকায়। নতুন বগুড়ার আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আজ দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০-২৩০ টাকা, চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় আজ মানভেদে প্রতি কেজিতে নতুন দেশি সাদা আলুর দাম ৫-১০ টাকা, নতুন দেশি লাল আলুর দাম ৫-১০ টাকা এবং নতুন বগুড়ার আলুর দাম ১৫-২০ টাকা কমেছে। এছাড়া প্রতি কেজিতে চায়না আদার দাম কমেছে ২০-৪০ টাকা।

গরু ও খাসির মাংস ঊর্ধ্বগতি। মানুষের নাগালের বাইরে। ব্রয়লার ও কক মুরগির দাম কিছুটা ।

প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৯৩-২০০ টাকা, কক মুরগি ৩০৫-৩১৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮৮-২৯০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা, সাদা ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, আজ প্রতি কেজিতে ব্রয়লার মুরগি দাম ৩-১০ টাকা, কক মুরগির দাম ১৫-৩৫ টাকা কমেছে। এছাড়া গরু ও খাসির মাংস, দেশি ও লেয়ার মুরগি দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। একইসঙ্গে আজ ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিমের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাছের দাম অপরিবর্তিত, অর্থাৎ আগের মতোই ঊর্ধ্বগতি। দাম না কমার কারণ হিসেবে বরাবরের মতো বিক্রেতারা জানান, চাহিদা বেশি সাপ্লাই কম, তাই দাম বেড়েছে।

আজ আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ মাছ ৭০০-২ হাজার ২০০ টাকা, রুই ৩৫০-৫৫০ টাকা, কাতল ৪০০-৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৪৫০-৬০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১ হাজার ৫০০ টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, কৈ ২২০-১ হাজার ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৪০০-১০০০ টাকা, টেংরা ৫০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৬০০-১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৮০০-১ হাজার ১০০ টাকা, মেনি ৬০০-৭০০ টাকা, চিতল ৬০০-৯০০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০-৪০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০-১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।

একই অবস্থা তেলের বাজারেও। দাম বাড়ানোর এক মাস পরও বাজারে কৃত্রিম সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের। ভোক্তাদের অভিযোগ, বোতলজাত পাঁচ লিটারের তেল কিছুটা পাওয়া গেলেও এক ও দুই লিটারের বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। হাতে গোনা দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

আর বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়েও বেশি দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হতে দেখা গেছে। খোলা সয়াবিন তেল কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। তবুও মিলছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।