নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সবকিছুরই একটা শেষ আছে, এই সরকারেরও শেষ আছে। এই বছরের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে নতুন সূর্য উঠবে। নতুন পরিবর্তনের দিকে দেশ ধাবিত হচ্ছে। খালেদা জিয়াসহ যারা বন্দি আছেন, সবাইকে বের করে নিয়ে আসা হবে। গণতন্ত্রের এবং স্বাধীন বাংলাদেশ হবে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের হলরুমে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ৯০’র ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির স্মরণ এবং ৯০ থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দুদু বলেন, এই দেশে স্বৈরাচারের কোনো স্থান নাই। এই অক্টোবর মাস এখনো শেষ হয়নি। দেশের জনগণ মনে করে এই মাসের মধ্যেই এই স্বৈরাচার সরকারকে পদত্যাগ করাতে আমরা সক্ষম হব। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে এমনি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।
বর্তমান সরকারকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচার এরশাদের পতন কিভাবে হয়েছে দেশের জনগণ দেখেছে তারাও (আওয়ামী লীগ) দেখেছে। এই দেশে স্বৈরাচারের কোনো স্থান নাই। এই অক্টোবর মাস এখনো শেষ হয়নি মাঝামাঝি। দেশের জনগণ মনে করে এই মাসের মধ্যে এই স্বৈরাচার সরকারকে পদত্যাগ করতে আমরা সক্ষম হব।
তিনি বলেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচন কমিশন কি বলে? কে নির্বাচনে আসলো বা না আসলো তা দেখার বিষয় নয়। ঠ্যাং ভেঙে দেব। মগের মুল্লুক পাইছেন? আমাদের টাকায় জনগণের টাকায় চলাফেরা করেন, গাড়িতে উঠেন, বাসা ভাড়া দেন, আর কে আসলো আর না আসলো মানে?
দুদু বলেন, সরকার এখন বুঝতে পারছে। বিরোধী দলের আন্দোলনে তার পাগল প্রায় অবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বক্তৃতা শুনলেই বুঝতে পারবেন তার মাথার অবস্থা কি। তার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা কি। তিনি (ওবায়দুল কাদের) গতকাল যে কথা বলছে শাপলা চত্বরের চেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি হবে বিরোধী দলের। এই কথা থেকে জানতে বাকি আছে তারা কি ধরনের, কি চরিত্রের? ওবায়দুল কাদেরের এই কথার কারণে তাকে এখনই গ্রেফতার করা উচিত।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন বলেন, সরকার এখন বুঝতে পারছে…। বিরোধী দলের আন্দোলনে সরকারের পাগলপ্রায় অবস্থা। সরকারের কর্তাদের সংবাদ সম্মেলনের বক্তৃতা শুনলেই বুঝতে পারবেন তাদের অবস্থা কী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা কী। ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন— বিরোধী দলের পরিস্থিতি শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়ংকর হবে। এরপর আর জানতে বাকি আছে কি, তারা কী ধরনের আর কী চরিত্রের? ওবায়দুল কাদেরের এই কথার কারণে তাকে এখনই গ্রেপ্তার করা উচিত।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কী বলে? কে নির্বাচনে এলো বা না এলো তা দেখার বিষয় নয়। মগের মুল্লুক পাইছেন? আমাদের টাকায় জনগণের টাকায় চলাফেরা করেন গাড়িতে উঠেন, বাসা ভাড়া দেন, আর কে এলো আর না এলো মানে?
মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনিকে স্মরণ করে কৃষকদলের সাবেক এই আহবায়ক বলেন, তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন স্বৈরাচার মুক্ত গণতান্ত্রিক মানবাধিকার বাংলাদেশ। সেই স্বপ্নটা ছাত্র জীবন থেকে তিনি লালন করতেন। তিনি গণঅভুত্থান নেতৃত্ব যেমন দিয়েছেন তেমনি বর্তমান স্বৈরাচার সরকার এর বিরুদ্ধেও নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা যদি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই তাহলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এই স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ যদি করতে পারি তাহলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীম। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিমুদ্দিন আলম ও কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে।