Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কারের ধোঁয়া দিয়ে এই সরকারকে দীর্ঘায়িত করার সুযোগ নেই : মঈন খান

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, সেজন্য একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে তুলে দিতে হবে। সংস্কারের ধোঁয়া দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দীর্ঘায়িত করার কোনো সুযোগ নেই।

শনিবার (৩ মে) বিকেলে নরসিংদীর পলাশ বাসস্ট্যান্ডে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক-জনতার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন, সংস্কার কোনো স্থির বিষয় নয়, এটি চলমান প্রক্রিয়া, চলমান থাকবে। সেটির পাশাপাশি নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। সবকিছু সমান তালে চলবে, এখানে যারা বাধা দেবে তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে নয়। যারা সংস্কারের কথা বলে মিথ্যা অজুহাতে এই সরকারকে দীর্ঘায়িত করতে চায় তারা কখনো গণতন্ত্রের বন্ধু হতে পারে না।

তিনি বলেন, আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে সংস্কার করব, আগামীতে সেটাতে আবার পুনঃসংস্কার করতে হবে এবং এটাই সংস্কারের নিয়ম ও ধর্ম। কেউ যদি বলে, আগে সংস্কার করব পরে অন্য কিছু, এটা কোনো যুক্তিসংঘত কথা হতে পারে না।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ আস্থা স্থাপন করেছে। ঠিক একইভাবে এ সরকারকেও বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। আর সে আস্থার সম্মান হচ্ছে, জনগণের যে মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার, মানবাধিকার, সেগুলো নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকার কোনো দিনই স্থায়ী সরকার হতে পারে না।

পলাশসহ সারা দেশে বিগত সরকারের সময়ে শিল্পখাতে দুর্নীতি, লুটপাট এবং শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানাবিধ বিষয় তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘পলাশের শতাধিক শিল্প কলকারখানাগুলো শুধু পলাশের মানুষের জন্য উন্নতি আনেনি, এনেছে সারা বাংলাদেশের জন্য। বিগত ১৭ বছরে আওয়ামীলীগ পলাশের শিল্পাঞ্চলকে একটি শ্মশানে পরিনত করে দিয়েছিল। এখানে বিশ্বের সেরা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা ধংস করে দিয়েছিল।’

এসময়, জনগণের মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিদের দাবী জানান তিনি। এছাড়া, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে গণতন্ত্রে ফেরানোর পদ্ধতি একটি সুষ্ঠু – নিরপেক্ষ নির্বাচন বলেও উল্লেখ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

পলাশ-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত শ্রমিক জনতার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আল আমিন ভূঞা। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আলম মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু মৃধা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নেছার খান ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ধোঁয়া দিয়ে এই সরকারকে দীর্ঘায়িত করার সুযোগ নেই : মঈন খান

প্রকাশের সময় : ১১:৩৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, সেজন্য একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে তুলে দিতে হবে। সংস্কারের ধোঁয়া দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দীর্ঘায়িত করার কোনো সুযোগ নেই।

শনিবার (৩ মে) বিকেলে নরসিংদীর পলাশ বাসস্ট্যান্ডে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক-জনতার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মঈন খান বলেন, সংস্কার কোনো স্থির বিষয় নয়, এটি চলমান প্রক্রিয়া, চলমান থাকবে। সেটির পাশাপাশি নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। সবকিছু সমান তালে চলবে, এখানে যারা বাধা দেবে তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে নয়। যারা সংস্কারের কথা বলে মিথ্যা অজুহাতে এই সরকারকে দীর্ঘায়িত করতে চায় তারা কখনো গণতন্ত্রের বন্ধু হতে পারে না।

তিনি বলেন, আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে সংস্কার করব, আগামীতে সেটাতে আবার পুনঃসংস্কার করতে হবে এবং এটাই সংস্কারের নিয়ম ও ধর্ম। কেউ যদি বলে, আগে সংস্কার করব পরে অন্য কিছু, এটা কোনো যুক্তিসংঘত কথা হতে পারে না।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ আস্থা স্থাপন করেছে। ঠিক একইভাবে এ সরকারকেও বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। আর সে আস্থার সম্মান হচ্ছে, জনগণের যে মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার, মানবাধিকার, সেগুলো নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকার কোনো দিনই স্থায়ী সরকার হতে পারে না।

পলাশসহ সারা দেশে বিগত সরকারের সময়ে শিল্পখাতে দুর্নীতি, লুটপাট এবং শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানাবিধ বিষয় তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘পলাশের শতাধিক শিল্প কলকারখানাগুলো শুধু পলাশের মানুষের জন্য উন্নতি আনেনি, এনেছে সারা বাংলাদেশের জন্য। বিগত ১৭ বছরে আওয়ামীলীগ পলাশের শিল্পাঞ্চলকে একটি শ্মশানে পরিনত করে দিয়েছিল। এখানে বিশ্বের সেরা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা ধংস করে দিয়েছিল।’

এসময়, জনগণের মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার, মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিদের দাবী জানান তিনি। এছাড়া, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে গণতন্ত্রে ফেরানোর পদ্ধতি একটি সুষ্ঠু – নিরপেক্ষ নির্বাচন বলেও উল্লেখ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

পলাশ-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত শ্রমিক জনতার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আঞ্চলিক শাখার সভাপতি আল আমিন ভূঞা। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আলম মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু মৃধা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নেছার খান ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল।