Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কারের এক বছর না পেরোতেই ধসে পড়ছে সড়ক

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রায় ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা একটি সড়ক সংস্কারের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ভেঙে ও দেবে গিয়ে জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার ৪ নম্বর সুবিল ইউনিয়নের ‘আব্দুল্লাপুর-শিবনগর তেমুনি সামার জাঙ্গাল’ সড়কে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজারো মানুষ এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে সড়কটি সংস্কারের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সুমি এন্টারপ্রাইজ’। বিলম্বের পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যাদেশ অনুযায়ী সড়কের দু’পাশে ৩ থেকে সাড়ে ৪ ফুট মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের পাশে কোনো মাটি ভরাটের চিহ্ন নেই। ফলে বৃষ্টির পানিতে সড়কের বিভিন্ন অংশ দেবে গিয়ে কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে।

শিবনগর তেমুনি এলাকার বাসিন্দা রোছমত আলী বলেন, এই সড়কের দুর্ভোগ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রায় ৫ বছর আগে কাজ শুরু হলেও নানা টালবাহানায় সম্প্রতি পিচ ঢালাই হয়। কিন্তু দুই পাশে এক মুঠো মাটিও দেওয়া হয়নি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সুমি এন্টারপ্রাইজ’-এর স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম সরকার বলেন, আমি কাজ সম্পন্ন করেই বিল তুলেছি। যদি কোনো সমস্যা থাকত, প্রকৌশল বিভাগ বিল দিত না।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী সড়কের পাশে মাটি ফেলা হয়েছিল। তবে বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে তা সরে গেছে। প্রকল্পের সম্পূর্ণ বিল ও জামানতের অর্থ ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয় হওয়া সড়কটির ভেঙে পড়া এবং দেবে যাওয়ার জন্য প্রকৌশল বিভাগ ও ঠিকাদার উভয়কেই দায় এড়াতে পারে না। মাত্র ৭-৮ মাসে সংস্কার অকেজো হয়ে পড়েছে। দ্রুত সড়ক সংস্কার না হলে বর্ষাকালে এ সড়কটি সম্পূর্ণভাবে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

আবহাওয়া

একটি সেতুর অভাবে দেড় লাখ মানুষের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত

সংস্কারের এক বছর না পেরোতেই ধসে পড়ছে সড়ক

প্রকাশের সময় : ০২:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : 

কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রায় ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা একটি সড়ক সংস্কারের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ভেঙে ও দেবে গিয়ে জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার ৪ নম্বর সুবিল ইউনিয়নের ‘আব্দুল্লাপুর-শিবনগর তেমুনি সামার জাঙ্গাল’ সড়কে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজারো মানুষ এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে সড়কটি সংস্কারের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সুমি এন্টারপ্রাইজ’। বিলম্বের পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যাদেশ অনুযায়ী সড়কের দু’পাশে ৩ থেকে সাড়ে ৪ ফুট মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের পাশে কোনো মাটি ভরাটের চিহ্ন নেই। ফলে বৃষ্টির পানিতে সড়কের বিভিন্ন অংশ দেবে গিয়ে কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে।

শিবনগর তেমুনি এলাকার বাসিন্দা রোছমত আলী বলেন, এই সড়কের দুর্ভোগ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রায় ৫ বছর আগে কাজ শুরু হলেও নানা টালবাহানায় সম্প্রতি পিচ ঢালাই হয়। কিন্তু দুই পাশে এক মুঠো মাটিও দেওয়া হয়নি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স সুমি এন্টারপ্রাইজ’-এর স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম সরকার বলেন, আমি কাজ সম্পন্ন করেই বিল তুলেছি। যদি কোনো সমস্যা থাকত, প্রকৌশল বিভাগ বিল দিত না।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী সড়কের পাশে মাটি ফেলা হয়েছিল। তবে বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে তা সরে গেছে। প্রকল্পের সম্পূর্ণ বিল ও জামানতের অর্থ ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয় হওয়া সড়কটির ভেঙে পড়া এবং দেবে যাওয়ার জন্য প্রকৌশল বিভাগ ও ঠিকাদার উভয়কেই দায় এড়াতে পারে না। মাত্র ৭-৮ মাসে সংস্কার অকেজো হয়ে পড়েছে। দ্রুত সড়ক সংস্কার না হলে বর্ষাকালে এ সড়কটি সম্পূর্ণভাবে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়বে।