Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংস্কারের অভাবে সড়কে বেহাল দশা

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি : 

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে বরগুনার বিভিন্ন গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কের। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের কারণে এসব সড়কে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে বরগুনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তথ্য মতে এসব সড়ক সংস্কার করতে যে পরিমাণ বরাদ্দের প্রয়োজন, সে তুলনায় বরাদ্দ খুবই কম। আর এ কারণেই একসঙ্গে করা যাচ্ছে না সব সড়কে সংস্কার।

এলজিইডির তথ্য অনুযায়ী, বরগুনায় মোট ৬ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের মধ্যে ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। প্রতি তিন বছর পরপর এ সড়কগুলো সংস্কারের প্রয়োজন হলেও মেলে না পর্যাপ্ত বরাদ্দ। জনদুর্ভোগ কমাতে বর্তমানে জেলায় প্রায় ৭০০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এ সংস্কারের জন্য প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন হলেও বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ৩৫ কোটি টাকা। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ সীমিত হওয়ায় মাত্র ৬০-৭০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ করা সম্ভব। আর এ কারণেই অর্থ সংকটে অধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া খানাখন্দেভরা সব সড়কের সংস্কার করা সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছে এলজিইডি। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলার বেশিরভাগ আঞ্চলিক সড়কেরও বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে আমতলী-তালতলী সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে বরগুনা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক এবং গ্রামীণ সড়ক ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সড়কেরই জায়গায় জায়গায় উঠে গেছে পিচ ঢালাই। দীর্ঘদিন ধরেই এসব সড়কের কোনো সংস্কার করা হয়নি। এতে সড়কের বিভিন্নস্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়ে যানবাহন চলছে হেলেদুলে। অনেক জায়গায় আবার যাত্রী নামিয়ে খানাখন্দ পার হতে হয় গাড়ি চালকদের। দিনের পর দিন এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ ছাড়া বিভিন্ন গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে এবং ভাঙা সড়কে চলাচলের কারণে প্রায় সময় সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে তালতলী উপজেলায় কয়কটি পর্যটন কেন্দ্র থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। তবে এ উপজেলায় প্রবেশের জন্য ৩৮ কিলোমিটারের আঞ্চলিক সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় বর্তমানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বিপাকে পড়ছেন, অপরদিকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারীদের মধ্যে রত্না দাস নামে এক যাত্রী বলেন, এই সড়কটি তালতলীতে যাওয়া-আসার একমাত্র প্রধান সড়ক। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। খানাখন্দের কারণে ছোট বাচ্চা অথবা বৃদ্ধ যারা আছেন তাদেরকে নিয়ে যাতায়াতের সময় যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে সে ভোগান্তি তো আমাদের। সবার ভালোর কথা চিন্তা করে হলেও সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

মো. মাসুদ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বর্ষার সময় সড়কের খানাখন্দে পানি জমে থাকে। এতে ছোট-বড় গর্তগুলো বোঝা যায় না। আর এ কারণেই অনেক সময় গাড়ি গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

মো. মিলন সিকদার নামে স্থানীয় এক অটোরিকশাচালক বলেন, আমরা দৈনিক গাড়ি চালিয়ে ৭০০-৮০০ টাকা আয় করি। কিন্তু এ সড়কে গাড়ি চালিয়ে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙে অনেক সময় মেরামত করতে হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। এ অবস্থায় অতিরিক্ত টাকা খরচের কারণে এখন আমাদের সংসার চালাতেই কষ্ট হয়।

তালতলী উপজেলায় সোনাকাটা ইকোপার্ক, শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত, নিদ্রার চরসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র এবং রাখাইন পল্লী থাকায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। তবে তালতলীতে প্রবেশের প্রধান সড়কটির বর্তমানে বেহাল দশার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের।

তালতলীতে পর্যটক নিয়ে আসা একটি প্রাইভেটকারের চালক মো. শাহজাহান বলেন, তালতলীতে বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র আছে। এসব পর্যটনকেন্দ্রে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের কারণে অনেক সময় আমাদের গাড়ি আটকে যায়। এ কারণে অনেক সময় আমাদের প্রোগ্রাম পরিবর্তনও করতে হয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি, যাতে এ সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হয়।

বরিশাল থেকে তালতলীর নিদ্রার চরে ঘুরতে আসা আপন নামে এক পর্যটক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফেসবুকে তালতলী নিদ্রার চরের বিভিন্ন সৌন্দর্যের ভিডিও দেখে ঘুরতে এসেছি। কিন্ত রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। এখান থেকে যাওয়ার পরে কেউ যাদি জানতে চায় তাদেরকে রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থাই বলতে হবে। সরকার যদি দ্রুত এই সড়কটি সংস্কার করে তাহলে এখানকার পর্যটন শিল্পেরও উন্নয়ন ঘটবে।

এ বিষয়ে বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান খান বলেন, বরগুনাতে যে পরিমাণ গ্রামীণ সড়ক আছে তা সংস্কারে যে পরিমাণ বরাদ্দের প্রয়োজন, সে তুলনায় বরাদ্দ খুবই কম। এ কারণে গুরুত্ব বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়কের কাজ আমরা করতে পারলেও বাকি কাজ পরবর্তী বছরের জন্য থেকে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে আমাদের চেষ্টা চলমান আছে।

আমতলী-তালতলী সড়কের বিষয়ে তিনি বলেন, এ সড়কটির কিছু অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা আমাদের নজরে এসেছে। আমতলী থেকে তালতলীর সোনাকাটা পর্যন্ত প্রায় ৩৮ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যে অংশটি জরুরি মেরামত প্রয়োজন সে অংশের জন্য একটি বাজেট ঢাকায় পাঠিয়ে অনুমোদন পেয়েছি। দ্রুতই কাজ শুরু হবে এবং ওই সব জায়গায় মানুষের ভোগান্তি কমবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের অভাবে সড়কে বেহাল দশা

প্রকাশের সময় : ১২:১৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি : 

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে বরগুনার বিভিন্ন গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কের। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের কারণে এসব সড়কে প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে বরগুনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তথ্য মতে এসব সড়ক সংস্কার করতে যে পরিমাণ বরাদ্দের প্রয়োজন, সে তুলনায় বরাদ্দ খুবই কম। আর এ কারণেই একসঙ্গে করা যাচ্ছে না সব সড়কে সংস্কার।

এলজিইডির তথ্য অনুযায়ী, বরগুনায় মোট ৬ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের মধ্যে ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। প্রতি তিন বছর পরপর এ সড়কগুলো সংস্কারের প্রয়োজন হলেও মেলে না পর্যাপ্ত বরাদ্দ। জনদুর্ভোগ কমাতে বর্তমানে জেলায় প্রায় ৭০০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এ সংস্কারের জন্য প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন হলেও বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ৩৫ কোটি টাকা। প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ সীমিত হওয়ায় মাত্র ৬০-৭০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ করা সম্ভব। আর এ কারণেই অর্থ সংকটে অধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া খানাখন্দেভরা সব সড়কের সংস্কার করা সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছে এলজিইডি। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলার বেশিরভাগ আঞ্চলিক সড়কেরও বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে আমতলী-তালতলী সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

সরেজমিনে বরগুনা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক এবং গ্রামীণ সড়ক ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সড়কেরই জায়গায় জায়গায় উঠে গেছে পিচ ঢালাই। দীর্ঘদিন ধরেই এসব সড়কের কোনো সংস্কার করা হয়নি। এতে সড়কের বিভিন্নস্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়ে যানবাহন চলছে হেলেদুলে। অনেক জায়গায় আবার যাত্রী নামিয়ে খানাখন্দ পার হতে হয় গাড়ি চালকদের। দিনের পর দিন এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ ছাড়া বিভিন্ন গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে এবং ভাঙা সড়কে চলাচলের কারণে প্রায় সময় সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে তালতলী উপজেলায় কয়কটি পর্যটন কেন্দ্র থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই ঘুরতে আসেন পর্যটকরা। তবে এ উপজেলায় প্রবেশের জন্য ৩৮ কিলোমিটারের আঞ্চলিক সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় বর্তমানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বিপাকে পড়ছেন, অপরদিকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারীদের মধ্যে রত্না দাস নামে এক যাত্রী বলেন, এই সড়কটি তালতলীতে যাওয়া-আসার একমাত্র প্রধান সড়ক। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। খানাখন্দের কারণে ছোট বাচ্চা অথবা বৃদ্ধ যারা আছেন তাদেরকে নিয়ে যাতায়াতের সময় যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে সে ভোগান্তি তো আমাদের। সবার ভালোর কথা চিন্তা করে হলেও সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

মো. মাসুদ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বর্ষার সময় সড়কের খানাখন্দে পানি জমে থাকে। এতে ছোট-বড় গর্তগুলো বোঝা যায় না। আর এ কারণেই অনেক সময় গাড়ি গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

মো. মিলন সিকদার নামে স্থানীয় এক অটোরিকশাচালক বলেন, আমরা দৈনিক গাড়ি চালিয়ে ৭০০-৮০০ টাকা আয় করি। কিন্তু এ সড়কে গাড়ি চালিয়ে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙে অনেক সময় মেরামত করতে হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। এ অবস্থায় অতিরিক্ত টাকা খরচের কারণে এখন আমাদের সংসার চালাতেই কষ্ট হয়।

তালতলী উপজেলায় সোনাকাটা ইকোপার্ক, শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত, নিদ্রার চরসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র এবং রাখাইন পল্লী থাকায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। তবে তালতলীতে প্রবেশের প্রধান সড়কটির বর্তমানে বেহাল দশার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের।

তালতলীতে পর্যটক নিয়ে আসা একটি প্রাইভেটকারের চালক মো. শাহজাহান বলেন, তালতলীতে বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র আছে। এসব পর্যটনকেন্দ্রে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের কারণে অনেক সময় আমাদের গাড়ি আটকে যায়। এ কারণে অনেক সময় আমাদের প্রোগ্রাম পরিবর্তনও করতে হয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি, যাতে এ সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হয়।

বরিশাল থেকে তালতলীর নিদ্রার চরে ঘুরতে আসা আপন নামে এক পর্যটক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফেসবুকে তালতলী নিদ্রার চরের বিভিন্ন সৌন্দর্যের ভিডিও দেখে ঘুরতে এসেছি। কিন্ত রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। এখান থেকে যাওয়ার পরে কেউ যাদি জানতে চায় তাদেরকে রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থাই বলতে হবে। সরকার যদি দ্রুত এই সড়কটি সংস্কার করে তাহলে এখানকার পর্যটন শিল্পেরও উন্নয়ন ঘটবে।

এ বিষয়ে বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান খান বলেন, বরগুনাতে যে পরিমাণ গ্রামীণ সড়ক আছে তা সংস্কারে যে পরিমাণ বরাদ্দের প্রয়োজন, সে তুলনায় বরাদ্দ খুবই কম। এ কারণে গুরুত্ব বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়কের কাজ আমরা করতে পারলেও বাকি কাজ পরবর্তী বছরের জন্য থেকে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে আমাদের চেষ্টা চলমান আছে।

আমতলী-তালতলী সড়কের বিষয়ে তিনি বলেন, এ সড়কটির কিছু অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা আমাদের নজরে এসেছে। আমতলী থেকে তালতলীর সোনাকাটা পর্যন্ত প্রায় ৩৮ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যে অংশটি জরুরি মেরামত প্রয়োজন সে অংশের জন্য একটি বাজেট ঢাকায় পাঠিয়ে অনুমোদন পেয়েছি। দ্রুতই কাজ শুরু হবে এবং ওই সব জায়গায় মানুষের ভোগান্তি কমবে।