Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংসদ সদস্য পদ থেকে মিমি চক্রবর্তীর পদত্যাগ

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৫ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করবেন যাদবপুরের তৃণমূল সংসদ সদস্য অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে যান। আর এতেই জোরালো হতে থাকে চাউর। পরে টালি তারকা জানান-সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে ইস্তফা দিতে গিয়েছিলেন।

এদিন মমতা ব্যানার্জির কাছে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী মিমি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা সেটি এখনো গ্রহণ করেননি। জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা গ্রহণ করলে লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়েও ইস্তফা দেবেন তিনি।

এ অভিনেত্রী বিধানসভা থেকে বের হয়ে সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে আসার কারণ জানিয়েছেন। কেন রাজনীতি ছাড়তে চাইছেন সেটি স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি রাজনীতি আমার জন্য নয়। কেননা, রাজনীতি করলে আমার মানুষকে গালাগাল দেয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় মানুষ। জেনেশুনে কখনো কারও ক্ষতি করিনি আমি।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতিক নই। আর কখনো রাজনীতিক হবোও না। আমি সবসময় একজন কর্মী হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। বিরোধী দলের কারও বিরুদ্ধে কখনো বাজে কথা বলিনি।

টালি তারকা বলেন, লোকসভায় কতদিন উপস্থিত থেকেছি আমি, সেসব নিয়ে মানুষের মাথাবথ্যা। এক মাস দিল্লিতে থাকলে মানুষ বলবে সংসদ সদস্য দিল্লিতে থাকেন, এখানে তিনি কাজ করেন না। আবার এখানে থাকলে বলা হবে, সংসদে উপস্থিতি কম আমার। সবদিকে ভারসাম্য রাখতে হয়।

তিনি আরও বলেন, মানুষকে অনেক পরিষেবা দিয়েছি। কোমর পর্যন্ত পানিতে নেমে ত্রাণ দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। যা অস্বীকার করতে পারবে না কেউ। আবার নিজের ফান্ড থেকেও আমি অনেক কাজ করেছি। যা প্রচার করিনি কখনো।

প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালে যাদবপুর থেকে আবারও কি প্রার্থী হবেন মিমি? নিজের ধারাবাহিক পদত্যাগ প্রসঙ্গে অবশ্য এর আগে তিনি মুখ খোলেননি। আজ জানিয়ে দিলেন, আর এমপি থাকতে চান না তিনি। মিমি বলেন, আমার যা বলার ছিল, দিদিকে (মমতা) বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।

এর ব্যাখ্যা দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। মিমি চক্রবর্তী যদি খারাপ কিছু করত, সবার আগে শিরোনামে উঠে আসত। আমি জেনে জীবনে কারও কোনো ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনো রাজনীতিক হবো না। সবসময় আমি মানুষের জন্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনো খারাপ কথা বলিনি।

উল্লেখ্য, অভিনেত্রী মিমি নাকি কয়েকদিন ধরে নানাভাবে অপমানিত হয়েছেন। এ নিয়ে মানসিক যন্ত্রণায়ও ভুগছিলেন। এ ব্যাপারে নাকি দলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে চিঠিও দিয়েছিলেন। তাতে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। আর এবার সংসদ সদস্য থেকে ইস্তফা চাইলেন টালি তারকা মিমি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সংসদ সদস্য পদ থেকে মিমি চক্রবর্তীর পদত্যাগ

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগ করবেন যাদবপুরের তৃণমূল সংসদ সদস্য অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে যান। আর এতেই জোরালো হতে থাকে চাউর। পরে টালি তারকা জানান-সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে ইস্তফা দিতে গিয়েছিলেন।

এদিন মমতা ব্যানার্জির কাছে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী মিমি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা সেটি এখনো গ্রহণ করেননি। জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা গ্রহণ করলে লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়েও ইস্তফা দেবেন তিনি।

এ অভিনেত্রী বিধানসভা থেকে বের হয়ে সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে আসার কারণ জানিয়েছেন। কেন রাজনীতি ছাড়তে চাইছেন সেটি স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি রাজনীতি আমার জন্য নয়। কেননা, রাজনীতি করলে আমার মানুষকে গালাগাল দেয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় মানুষ। জেনেশুনে কখনো কারও ক্ষতি করিনি আমি।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতিক নই। আর কখনো রাজনীতিক হবোও না। আমি সবসময় একজন কর্মী হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। বিরোধী দলের কারও বিরুদ্ধে কখনো বাজে কথা বলিনি।

টালি তারকা বলেন, লোকসভায় কতদিন উপস্থিত থেকেছি আমি, সেসব নিয়ে মানুষের মাথাবথ্যা। এক মাস দিল্লিতে থাকলে মানুষ বলবে সংসদ সদস্য দিল্লিতে থাকেন, এখানে তিনি কাজ করেন না। আবার এখানে থাকলে বলা হবে, সংসদে উপস্থিতি কম আমার। সবদিকে ভারসাম্য রাখতে হয়।

তিনি আরও বলেন, মানুষকে অনেক পরিষেবা দিয়েছি। কোমর পর্যন্ত পানিতে নেমে ত্রাণ দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। যা অস্বীকার করতে পারবে না কেউ। আবার নিজের ফান্ড থেকেও আমি অনেক কাজ করেছি। যা প্রচার করিনি কখনো।

প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালে যাদবপুর থেকে আবারও কি প্রার্থী হবেন মিমি? নিজের ধারাবাহিক পদত্যাগ প্রসঙ্গে অবশ্য এর আগে তিনি মুখ খোলেননি। আজ জানিয়ে দিলেন, আর এমপি থাকতে চান না তিনি। মিমি বলেন, আমার যা বলার ছিল, দিদিকে (মমতা) বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।

এর ব্যাখ্যা দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। মিমি চক্রবর্তী যদি খারাপ কিছু করত, সবার আগে শিরোনামে উঠে আসত। আমি জেনে জীবনে কারও কোনো ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনো রাজনীতিক হবো না। সবসময় আমি মানুষের জন্য কর্মী হিসাবে কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনো খারাপ কথা বলিনি।

উল্লেখ্য, অভিনেত্রী মিমি নাকি কয়েকদিন ধরে নানাভাবে অপমানিত হয়েছেন। এ নিয়ে মানসিক যন্ত্রণায়ও ভুগছিলেন। এ ব্যাপারে নাকি দলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে চিঠিও দিয়েছিলেন। তাতে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। আর এবার সংসদ সদস্য থেকে ইস্তফা চাইলেন টালি তারকা মিমি।