Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভুয়া তথ্য ফেসবুকে, ব্যবস্থা নেবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখসহ পুরো তফসিলের তথ্য। সত্য-মিথ্যা নিশ্চিত না হয়ে অনেকে শেয়ার দিচ্ছেন সেই তথ্য। অথচ ভোটগ্রহণের দায়িত্ব যে সংস্থার সেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, এর কোনো সত্যতা নেই। এমন তথ্য ছড়িয়ে এ বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। এই ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিশনের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশন।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানান অশোক কুমার দেবনাথ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে, আগামী ৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) তফসিল ঘোষণা করা হবে। ১৯ নভেম্বর (রোববার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ২২ নভেম্বর (বুধবার) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ২৯ নভেম্বর (বুধবার) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) ভোটগ্রহণ। অথচ কমিশন বলছে এর কোনো সত্যতা নেই।

জানা গেছে, ফেসবুকে যে তথ্যটি ছড়িয়েছে তা মুলত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের। ওই বছরের ৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৯শে নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২২শে নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ২৯শে নভেম্বর আর ভোট গ্রহণ হয় ২৩শে ডিসেম্বর।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিষয়টি আজই আমাদের নজরে এসেছে। যে তথ্য ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে সেটি ভুয়া। নির্বাচন কমিশন কখনো এত আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে তথ্য দেয় না। আমরা বিষয়টি কমিশনে নজরে আনবো। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

এর আগে গত ৩ আগস্ট দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ফেসুকে সাম্প্রদায়িতকতা, বিদ্বেষ, সহিংসতা ছড়ায় এমন অপপ্রচারণামূলক কনটেন্ট ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।

ওইসময় ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমরা ফেসবুকের একটা টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমাদের যে টেকনিক্যাল লোক আছে, তাদের নিয়ে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বসেছিলাম। কারণ এখানে কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার ছিল। এটা ছিল প্রাথমিক আলোচনা। পরে নির্বাচন কমিশনের একজন ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য। তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

অতিরিক্ত সচিব জানান, মূলত ব্যাপারটা ছিল ফেসবুকে যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কীভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণ্য মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয়। সেগুলো তারা ডিলিট করবে, রিমুভ করে দেবে, ব্লক করবে। মূলত এই ছিল মিটিংয়ের বিষয়। আমাদের কাছে যেটা নেগেটিভ প্রতীয়মান হবে আমরা তাদের জানাবো, তারা সেটা রিমুভ করে দেবে। শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন কনটেন্টের বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তফসিল ঘোষণা পর এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভুয়া তথ্য ফেসবুকে, ব্যবস্থা নেবে ইসি

প্রকাশের সময় : ১১:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখসহ পুরো তফসিলের তথ্য। সত্য-মিথ্যা নিশ্চিত না হয়ে অনেকে শেয়ার দিচ্ছেন সেই তথ্য। অথচ ভোটগ্রহণের দায়িত্ব যে সংস্থার সেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, এর কোনো সত্যতা নেই। এমন তথ্য ছড়িয়ে এ বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। এই ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিশনের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশন।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানান অশোক কুমার দেবনাথ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে, আগামী ৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) তফসিল ঘোষণা করা হবে। ১৯ নভেম্বর (রোববার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ২২ নভেম্বর (বুধবার) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ২৯ নভেম্বর (বুধবার) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) ভোটগ্রহণ। অথচ কমিশন বলছে এর কোনো সত্যতা নেই।

জানা গেছে, ফেসবুকে যে তথ্যটি ছড়িয়েছে তা মুলত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের। ওই বছরের ৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৯শে নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২২শে নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ২৯শে নভেম্বর আর ভোট গ্রহণ হয় ২৩শে ডিসেম্বর।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিষয়টি আজই আমাদের নজরে এসেছে। যে তথ্য ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে সেটি ভুয়া। নির্বাচন কমিশন কখনো এত আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে তথ্য দেয় না। আমরা বিষয়টি কমিশনে নজরে আনবো। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

এর আগে গত ৩ আগস্ট দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ফেসুকে সাম্প্রদায়িতকতা, বিদ্বেষ, সহিংসতা ছড়ায় এমন অপপ্রচারণামূলক কনটেন্ট ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।

ওইসময় ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমরা ফেসবুকের একটা টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমাদের যে টেকনিক্যাল লোক আছে, তাদের নিয়ে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বসেছিলাম। কারণ এখানে কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার ছিল। এটা ছিল প্রাথমিক আলোচনা। পরে নির্বাচন কমিশনের একজন ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা হবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য। তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

অতিরিক্ত সচিব জানান, মূলত ব্যাপারটা ছিল ফেসবুকে যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কীভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণ্য মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয়। সেগুলো তারা ডিলিট করবে, রিমুভ করে দেবে, ব্লক করবে। মূলত এই ছিল মিটিংয়ের বিষয়। আমাদের কাছে যেটা নেগেটিভ প্রতীয়মান হবে আমরা তাদের জানাবো, তারা সেটা রিমুভ করে দেবে। শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন কনটেন্টের বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তফসিল ঘোষণা পর এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।