Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত দেখবে ইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ভাঙচুর চালানো অনাকাঙ্ক্ষিত। আদালতে বিষয়টা আছে, সেখানে যা সিদ্ধান্ত হবে তাই দেখবে ইসি।

বৃহস্পতিবার (১৮) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির অগ্রসর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সীমানা নিয়ে বিরোধ, বিক্ষোভের বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ১৮টি রিট হয়েছে। আদালতের প্রতি আমরা আস্থাশীল। কাজেই সেখান থেকে নির্দেশনা আসুক, সে পর্যন্ত অপেক্ষা করি। আগামী কমিশন বৈঠকে পর্যবেক্ষকদের বিষয় তোলা হবে।

সীমানা নির্ধারণ নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে তা নিয়ে কী বলবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, যে কোনো প্রেক্ষাপটে ভাংচুর অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। বিষয়টা আদালতেও গেছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটা আমাদের জন্য বাধ্যবাধকতা হবে। আইনের সাত ধারায় বলা আছে, মামলা গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন রিট করা তো মৌলিক অধিকার।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের লক, অফিশিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, হেশিয়ান বড় ব্যাগ, হেশিয়ান ছোট ব্যাগ, গানি ব্যাগ কেনা হয়েছে। জাতীয় ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা হয়ে গেছে।

ইসি সচিব বলেন, আমাদের নির্বাচন সামগ্রী সংগ্রহের ব্যাপারে কাজ চলমান। মোটামুটিভাবে ১০টা আইটেমসহ কিছু লোকাল পারচেস বাকি ছিল, সেগুলো চলমান। অলমোস্ট ৭০ শতাংশ কেনাকাটা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি কেনাকাটা হয়ে যাবে। কাজেই নির্বাচন সামগ্রী নিয়ে সংকটে পড়বো কি-না বা সাপ্লাই লাইনটা ঠিকমতো আছে কিনা এটা নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। বরং আমরা বলতে পারি, সেপ্টেম্বরেই আমরা যাবতীয় সামগ্রী পাচ্ছি। কাজেই নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সামগ্রীর যে সম্পর্ক সেটা স্টাবলিশড।

তিনি বলেন, কেউ প্রবাসে থাকা অবস্থায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য কেউ অনলাইনে নিবন্ধন করে দেশে চলে আসলে তিনি আর ভোট দিতে পারবেন না। নিবন্ধনের জন্য অ্যাপ কবে নাগাদ হবে, সেটা পরে জানা হবে।

ইসি সচিব বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল ইসিতে আসবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। দল নিবন্ধনের ২২ দলের তদন্ত শেষ হয়েছে। আগামী কমিশন সভায় রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, সংলাপের বিষয়টি শিগগিরই ঠিক করা হবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে। এছাড়া দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কাজও প্রায় চূড়ান্ত।

প্রবাসী ভোটাররা কীভাবে ভোট দেবেন সে বিষয়ে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রবাসী ভোটারদের বাংলাদেশি যে এনআইডি কার্ডের ঠিকানা আছে এবং প্রবাসে যে ঠিকানা সেটি নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। এর পর ওই ঠিকানায় খামে করে ব্যালট পেপার পোস্ট করা হবে। মোট তিনটি খামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এটা তাদের কাছে পৌঁছাবে। একটি বড় খামের মধ্যে আরও দুটি খাম থাকবে। ওই ব্যালটে প্রার্থীদের নাম থাকবে না, শুধু প্রতীক থাকেবে। এরপর টিক চিহ্ন দিয়ে তারা ভোট দেবেন। এরপর পাশের কোনো পোস্ট বক্সে তারা খামের ভেতর তাদের যে খাম পাঠানো হয়েছে, সেই খামে করে তারা ফেরত পাঠাবেন। ওই খামটি ভোট গণনার আগেই পৌঁছাবে।

প্রবাসীরা যদি সে সময়ে বাংলাদেশে থাকেন, তাবে তারা দেশে ভোট দিতে পারবেন না বলেও জানান ইসি সচিব।

রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ডাকা আসন্ন সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হবে কি না সেটা নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে বলে এ সময় জানান ইসি সচিব।

তিনি বলেন, কোনো একটা রাজনৈতিক দলকে ডাকা হবে কি না আমার মনে হয়, এই প্রশ্নটা প্রিম্যাচিউর। কারণ, আমি বলেছি সংলাপের বিষয়টি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে। আমি তো কমিশনের মেম্বার না। কাজেই আমাকে যদি এটা জিজ্ঞেস করা হয়ম তবে আমি বলবো, এটা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর। আগামী রোববার বা সোমবার কমিশন মিটিং করবে, সেখানে এই সিদ্ধান্ত হবে।

আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে নতুন দলের নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নুরকে দেখতে বাসায় গেলেন বিএনপি নেতা আমির খসরু

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত দেখবে ইসি

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ভাঙচুর চালানো অনাকাঙ্ক্ষিত। আদালতে বিষয়টা আছে, সেখানে যা সিদ্ধান্ত হবে তাই দেখবে ইসি।

বৃহস্পতিবার (১৮) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির অগ্রসর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সীমানা নিয়ে বিরোধ, বিক্ষোভের বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ১৮টি রিট হয়েছে। আদালতের প্রতি আমরা আস্থাশীল। কাজেই সেখান থেকে নির্দেশনা আসুক, সে পর্যন্ত অপেক্ষা করি। আগামী কমিশন বৈঠকে পর্যবেক্ষকদের বিষয় তোলা হবে।

সীমানা নির্ধারণ নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে তা নিয়ে কী বলবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, যে কোনো প্রেক্ষাপটে ভাংচুর অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। বিষয়টা আদালতেও গেছে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটা আমাদের জন্য বাধ্যবাধকতা হবে। আইনের সাত ধারায় বলা আছে, মামলা গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন রিট করা তো মৌলিক অধিকার।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের লক, অফিশিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, হেশিয়ান বড় ব্যাগ, হেশিয়ান ছোট ব্যাগ, গানি ব্যাগ কেনা হয়েছে। জাতীয় ভোটের জন্য ৭০ শতাংশ কেনাকাটা হয়ে গেছে।

ইসি সচিব বলেন, আমাদের নির্বাচন সামগ্রী সংগ্রহের ব্যাপারে কাজ চলমান। মোটামুটিভাবে ১০টা আইটেমসহ কিছু লোকাল পারচেস বাকি ছিল, সেগুলো চলমান। অলমোস্ট ৭০ শতাংশ কেনাকাটা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি কেনাকাটা হয়ে যাবে। কাজেই নির্বাচন সামগ্রী নিয়ে সংকটে পড়বো কি-না বা সাপ্লাই লাইনটা ঠিকমতো আছে কিনা এটা নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। বরং আমরা বলতে পারি, সেপ্টেম্বরেই আমরা যাবতীয় সামগ্রী পাচ্ছি। কাজেই নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সামগ্রীর যে সম্পর্ক সেটা স্টাবলিশড।

তিনি বলেন, কেউ প্রবাসে থাকা অবস্থায় পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য কেউ অনলাইনে নিবন্ধন করে দেশে চলে আসলে তিনি আর ভোট দিতে পারবেন না। নিবন্ধনের জন্য অ্যাপ কবে নাগাদ হবে, সেটা পরে জানা হবে।

ইসি সচিব বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল ইসিতে আসবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। দল নিবন্ধনের ২২ দলের তদন্ত শেষ হয়েছে। আগামী কমিশন সভায় রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, সংলাপের বিষয়টি শিগগিরই ঠিক করা হবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে। এছাড়া দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কাজও প্রায় চূড়ান্ত।

প্রবাসী ভোটাররা কীভাবে ভোট দেবেন সে বিষয়ে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রবাসী ভোটারদের বাংলাদেশি যে এনআইডি কার্ডের ঠিকানা আছে এবং প্রবাসে যে ঠিকানা সেটি নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে। এর পর ওই ঠিকানায় খামে করে ব্যালট পেপার পোস্ট করা হবে। মোট তিনটি খামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এটা তাদের কাছে পৌঁছাবে। একটি বড় খামের মধ্যে আরও দুটি খাম থাকবে। ওই ব্যালটে প্রার্থীদের নাম থাকবে না, শুধু প্রতীক থাকেবে। এরপর টিক চিহ্ন দিয়ে তারা ভোট দেবেন। এরপর পাশের কোনো পোস্ট বক্সে তারা খামের ভেতর তাদের যে খাম পাঠানো হয়েছে, সেই খামে করে তারা ফেরত পাঠাবেন। ওই খামটি ভোট গণনার আগেই পৌঁছাবে।

প্রবাসীরা যদি সে সময়ে বাংলাদেশে থাকেন, তাবে তারা দেশে ভোট দিতে পারবেন না বলেও জানান ইসি সচিব।

রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ডাকা আসন্ন সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকা হবে কি না সেটা নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে বলে এ সময় জানান ইসি সচিব।

তিনি বলেন, কোনো একটা রাজনৈতিক দলকে ডাকা হবে কি না আমার মনে হয়, এই প্রশ্নটা প্রিম্যাচিউর। কারণ, আমি বলেছি সংলাপের বিষয়টি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে। আমি তো কমিশনের মেম্বার না। কাজেই আমাকে যদি এটা জিজ্ঞেস করা হয়ম তবে আমি বলবো, এটা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর। আগামী রোববার বা সোমবার কমিশন মিটিং করবে, সেখানে এই সিদ্ধান্ত হবে।

আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে নতুন দলের নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।