Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংলাপের জন্য আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংলাপের জন্য সবার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবিধানিকভাবে সরকার বৈধ নয়। সংলাপের জন্য সবার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানাই। আওয়ামী লীগের মুখে রাম নাম শোভা পায় না। আগে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করছে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে। অন্যদিকে বিচারালয় ব্যবহার করে মিথ্যা সাজানো মামলায় দণ্ড দেওয়া হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। একটাই লক্ষ্য সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সামনের আন্দোলনে আঘাত এলে, পাল্টা আঘাত করতে হবে। ভাঙতে হবে আন্দোলনে আইনি ব্যারিকেড।

খালেদা জিয়ার বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে বিচারকরা আদেশ দিয়েছেন, তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথা একটাই, আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি। অনেক মা সন্তান হারিয়েছেন। আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে ঘরে ফিরলে কোনো যুবক চাকরি পাবেন না, এমন কি শান্তিতে থাকতে পারবেন না।

ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করছে বিরোধীদলের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে। অন্যদিকে বিচারালয় ব্যবহার করে মিথ্যা সাজানো মামলায় দণ্ড দেওয়া হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের।

তিনি বলেন, প্রশাসনের সদস্যদের ইচ্ছা না থাকার পরও জোর করে তাদের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করছে সরকার। আর যে বিচারকেরা মিথ্যা মামলায় সাজা দিচ্ছেন, তাদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি দল এসেছিল। এই দলটি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দল নয়, এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি দল। তারা এসেছিল, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে কি না, এটা যাচাই করা জন্য, নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে বড় কোন দল পাঠাবে কি না, তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, দলটি বাংলাদেশের সব নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছে। সাংবাদিক, রাজনীতিক দল, সুশীল সমাজ, সরকার সবার সঙ্গে তারা আলোচনা করেছে। তারা পাঁচটি সুপারিশ দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সংলাপের কথা।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার ভোট চোরের চেয়ে বড় হলো এরা সংবিধান চোর। এদের কোনো ক্ষমা নাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি টিম এসেছিল। এই দলটি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের টিম নয়, এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি টিম। তারা এসেছিল, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে কি না, এটা যাচাই এবং বাংলাদশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে বড় কোনো টিম পাঠাবে কি না- এই হলো তাদের উদ্দেশ্য। তারা বাংলাদেশের সকল নির্বাচনী স্টেক হোল্ডাদের সাথে কথা বলেছে। সাংবাদিক, রাজনীতিক দল, সুশীল সমাজ, সরকার সবার সাথে আলোচনা করেছে। তারা পাঁচটি সুপারিশ দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো সংলাপের কথা।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা যে সরকারে বসে আছেন, সেটি সাংবিধানিকভাবে বৈধ, তা প্রমাণ করতে হবে। আমি প্রমাণ করেছি, আপনারা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।

যুব সমাবেশকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের এই সমাবেশ সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সমাবেশ আগামী চূড়ান্ত আন্দোলনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য এখন- জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বুকের ওপর যে জগদ্দল পাথর চেপে আছে, তাদেরকে সরানো।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা স্লোগানে ভোট চোর চোর বলি না, এরা ভোট চোরের চেয়ে বড় হলো, এরা সংবিধান চোর। এদের কোনো ক্ষমা নেই।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

আবহাওয়া

জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠানস্থলে বেলুন বিস্ফোরণে আহত ১০

সংলাপের জন্য আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১০:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংলাপের জন্য সবার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাংবিধানিকভাবে সরকার বৈধ নয়। সংলাপের জন্য সবার আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানাই। আওয়ামী লীগের মুখে রাম নাম শোভা পায় না। আগে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করছে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে। অন্যদিকে বিচারালয় ব্যবহার করে মিথ্যা সাজানো মামলায় দণ্ড দেওয়া হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। একটাই লক্ষ্য সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সামনের আন্দোলনে আঘাত এলে, পাল্টা আঘাত করতে হবে। ভাঙতে হবে আন্দোলনে আইনি ব্যারিকেড।

খালেদা জিয়ার বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে বিচারকরা আদেশ দিয়েছেন, তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কথা একটাই, আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি। অনেক মা সন্তান হারিয়েছেন। আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে ঘরে ফিরলে কোনো যুবক চাকরি পাবেন না, এমন কি শান্তিতে থাকতে পারবেন না।

ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করছে বিরোধীদলের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে। অন্যদিকে বিচারালয় ব্যবহার করে মিথ্যা সাজানো মামলায় দণ্ড দেওয়া হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের।

তিনি বলেন, প্রশাসনের সদস্যদের ইচ্ছা না থাকার পরও জোর করে তাদের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করছে সরকার। আর যে বিচারকেরা মিথ্যা মামলায় সাজা দিচ্ছেন, তাদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি দল এসেছিল। এই দলটি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দল নয়, এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি দল। তারা এসেছিল, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে কি না, এটা যাচাই করা জন্য, নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে বড় কোন দল পাঠাবে কি না, তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, দলটি বাংলাদেশের সব নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছে। সাংবাদিক, রাজনীতিক দল, সুশীল সমাজ, সরকার সবার সঙ্গে তারা আলোচনা করেছে। তারা পাঁচটি সুপারিশ দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সংলাপের কথা।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার ভোট চোরের চেয়ে বড় হলো এরা সংবিধান চোর। এদের কোনো ক্ষমা নাই।

মির্জা ফখরুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি টিম এসেছিল। এই দলটি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের টিম নয়, এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি টিম। তারা এসেছিল, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে কি না, এটা যাচাই এবং বাংলাদশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে বড় কোনো টিম পাঠাবে কি না- এই হলো তাদের উদ্দেশ্য। তারা বাংলাদেশের সকল নির্বাচনী স্টেক হোল্ডাদের সাথে কথা বলেছে। সাংবাদিক, রাজনীতিক দল, সুশীল সমাজ, সরকার সবার সাথে আলোচনা করেছে। তারা পাঁচটি সুপারিশ দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো সংলাপের কথা।

সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা যে সরকারে বসে আছেন, সেটি সাংবিধানিকভাবে বৈধ, তা প্রমাণ করতে হবে। আমি প্রমাণ করেছি, আপনারা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।

যুব সমাবেশকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের এই সমাবেশ সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সমাবেশ আগামী চূড়ান্ত আন্দোলনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য এখন- জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বুকের ওপর যে জগদ্দল পাথর চেপে আছে, তাদেরকে সরানো।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা স্লোগানে ভোট চোর চোর বলি না, এরা ভোট চোরের চেয়ে বড় হলো, এরা সংবিধান চোর। এদের কোনো ক্ষমা নেই।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।