Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসেনি সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাটুরিয়া উপজেলার দীঘলিয়া ইউনিয়নের আঙ্গুটিয়া গ্রামে খালের ওপর নির্মিত সড়কবিহীন সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে প্রায় ২৫ বছর। জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুটি কোনো কাজেই আসেনি বরং ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামের হাজারো মানুষ।

সরু খালের ওপর নির্মিত সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল অনেক নিচু করে, যার ফলে সেতুটির নিচ দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এলাকার কৃষিজীবী মানুষের। তারা বলেন, আমাদের আবাদি জমির ফসল এই সেতুর নিচ দিয়ে আনা-নেওয়াই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেতুটির চারদিকের রেলিংয়ে ভাঙন ধরেছে। এছাড়াও সেতুর নিচের অংশের প্রলেপ খুলে-খুলে পড়ছে ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সেতুটির চারপাশ আগাছা ও জঙ্গলে ভরে যাওয়ায় দিনের বেলাতেও সেতুর চারপাশে অন্ধকার মনে হয়। তারা অকেজো এই সেতুটির দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।

আংগুটিয়া গ্রামের কৃষক নয়া মিয়া বলেন, আমরা কৃষিকাজ করে খাই। মাথায় ফসলের বোঝা নিয়ে এই সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করতে হয়। সেতুটি অনেক নিচু হওয়ার কারণে আমাদেরকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। গত বছর ধানের মৌসুমে মাথায় ধানের বোঝা নিয়ে সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুর কার্নিশে বেজে পড়ে যাওয়ার ফলে আমি ঘাড়ে ব্যথা পেয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম।

কৃষক নায়েব আলী বলেন, আমরা কৃষিজীবী মানুষ। সারা বছরই আমাদের উৎপাদিত ফসলের বোঝা নিয়ে এই সেতুর নিচ দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬০ ফুট দীর্ঘ সরু খালের ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে।

সেতুটি নির্মাণের আগে কথা ছিল এলাকাবাসী সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক করার জন্য তাদের জমি ছেড়ে দিবে, কিন্তু পরে তারা তাদের জমি ছেড়ে না দেওয়ায় সেতুটি নির্মাণের পর থেকে, দুপাশের সংযোগ সড়ক ছাড়াই এই ভাবেই পড়ে রয়েছে।

এলাকাবাসী বলেন, সেতুটি সচল থাকলে আংগুটিয়ার সঙ্গে পৌলশুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কড়াইল গ্রামে মানুষ সহজে চলাচল করতে পারত। দীঘলিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল আলম জুয়েল জানান, সেতুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে বলা হয়েছে। তারা সেতুটির প্রয়োজনীয় নথিপত্র খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম বলেন, যেহেতু সেতুটি অনেক পুরনো, তাই এর নথিপত্র আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে হবে। খোঁজ খবর নিয়ে সেতুটি অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সংযোগ সড়কের অভাবে কাজে আসেনি সেতু

প্রকাশের সময় : ০২:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাটুরিয়া উপজেলার দীঘলিয়া ইউনিয়নের আঙ্গুটিয়া গ্রামে খালের ওপর নির্মিত সড়কবিহীন সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে প্রায় ২৫ বছর। জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুটি কোনো কাজেই আসেনি বরং ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামের হাজারো মানুষ।

সরু খালের ওপর নির্মিত সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল অনেক নিচু করে, যার ফলে সেতুটির নিচ দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এলাকার কৃষিজীবী মানুষের। তারা বলেন, আমাদের আবাদি জমির ফসল এই সেতুর নিচ দিয়ে আনা-নেওয়াই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেতুটির চারদিকের রেলিংয়ে ভাঙন ধরেছে। এছাড়াও সেতুর নিচের অংশের প্রলেপ খুলে-খুলে পড়ছে ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সেতুটির চারপাশ আগাছা ও জঙ্গলে ভরে যাওয়ায় দিনের বেলাতেও সেতুর চারপাশে অন্ধকার মনে হয়। তারা অকেজো এই সেতুটির দ্রুত অপসারণের দাবি জানান।

আংগুটিয়া গ্রামের কৃষক নয়া মিয়া বলেন, আমরা কৃষিকাজ করে খাই। মাথায় ফসলের বোঝা নিয়ে এই সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করতে হয়। সেতুটি অনেক নিচু হওয়ার কারণে আমাদেরকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। গত বছর ধানের মৌসুমে মাথায় ধানের বোঝা নিয়ে সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুর কার্নিশে বেজে পড়ে যাওয়ার ফলে আমি ঘাড়ে ব্যথা পেয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম।

কৃষক নায়েব আলী বলেন, আমরা কৃষিজীবী মানুষ। সারা বছরই আমাদের উৎপাদিত ফসলের বোঝা নিয়ে এই সেতুর নিচ দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬০ ফুট দীর্ঘ সরু খালের ওপর এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে।

সেতুটি নির্মাণের আগে কথা ছিল এলাকাবাসী সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক করার জন্য তাদের জমি ছেড়ে দিবে, কিন্তু পরে তারা তাদের জমি ছেড়ে না দেওয়ায় সেতুটি নির্মাণের পর থেকে, দুপাশের সংযোগ সড়ক ছাড়াই এই ভাবেই পড়ে রয়েছে।

এলাকাবাসী বলেন, সেতুটি সচল থাকলে আংগুটিয়ার সঙ্গে পৌলশুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কড়াইল গ্রামে মানুষ সহজে চলাচল করতে পারত। দীঘলিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সফিউল আলম জুয়েল জানান, সেতুটি অপসারণের জন্য উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে বলা হয়েছে। তারা সেতুটির প্রয়োজনীয় নথিপত্র খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম বলেন, যেহেতু সেতুটি অনেক পুরনো, তাই এর নথিপত্র আছে কিনা তা খুঁজে দেখতে হবে। খোঁজ খবর নিয়ে সেতুটি অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।