Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবিধানের নামে সরকার ভোট চুরির প্রকল্প চালু করেছে : আমীর খসরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চুরির প্রকল্প চালু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সংবিধানের নামে সরকার ভোট চুরি প্রকল্পের মাধ্যমে একটি রেজিম তৈরি করেছে। তবে এর বিরুদ্ধে জনগণ ও বিশ্ব বিবেক ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেলফি-টেলফি তুলে কোনো লাভ হবে না।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘১/১১ ষড়যন্ত্র, আজকের প্রেক্ষাপট : দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যে নির্বাচনটা হয়েছে, সংবিধানে আছে সংসদ বাতিলের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তো সেই নির্বাচন হয়েছে দুই বছর পর। তাহলে এটা কি সংবিধানসম্মত হয়েছে? এটা সংবিধানের বাইরে না? আমরা সেই নির্বাচনে গিয়েছিলাম তাই জনগণের প্রত্যাশায় প্রতিফলন ঘটেছিল। কিন্তু এখন সে প্রতিফলনকে আবার একটি ভোট চুরির প্রকল্প বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। জাতীয় গণতান্ত্রিক ঐকমতের ভিত্তিতে যে নির্বাচন হবে সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছে। সংবিধানের সাত ধারাতে বলা হচ্ছে সংবিধান হলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। সেইটার সাথে তারা বেইমানি করছে। ভাঁওতাবাজি করছে সংবিধানের নাম ধরে। সংবিধানে যে কেয়ারটেকার সরকারের কথা ছিল, সেটা জাতীয় ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে। যে সংবিধানে জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি, জাতীয় ঐক্যমতের প্রতিফলন ঘটেনি, সেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে এগুলো তারা করতে পারে না। কেয়ারটেকার সরকারের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১/১১ এর মাধ্যমে যেটা হয়েছে সেটা হলো দেশের গণতান্ত্রিক যে কাঠামো.. সেখানে তারা আঘাত করেছে। রাজনীতিতে এই লোকগুলোর আসার কোনো অধিকার নেই। রাজনীতিতে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, মেরে, ধরে, গুম, খুন করে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার সাময়িক কিছু সময়ের জন্য আয়ু বাড়াতে পারে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার ম্যাক্সিমাম যেটা করতে পারে, সেটা হলো তার আয়ু কিছু বাড়িয়ে নিতে পারে। আবার নাও পারতে পারে। কিছু আয়ু হলেও বাড়তে পারে, তবে এই সরকারকে যেতে হবে। টাইম শেষ। তাদের বিদায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। বিশ্ব বিবেক, বিশ্ব গণতন্ত্র আমাদের পক্ষে আছে, জনগণের পক্ষে আছে। আমাদের জয় সুনিশ্চিত। তবে এইজন্য আগামী দিনগুলোতে আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রত্যেকটা ঘণ্টা, প্রত্যেকটা দিন আন্দোলনের সাথে সবাইকে থাকতে হবে। এই দুইটা মাস দেশের মানুষের জন্য স্যাক্রিফাইস করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হলো একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অপর রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দিতা; জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। এখানে একটি দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্য একটি দল বা একাধিক দলের সাথে। কিন্তু এখন তো দেশ চালাচ্ছে একটি রেজিম। অনেকেই হয়তো বলবে যে আওয়ামী লীগের কথা। কিন্তু দুঃখিত, এখানে আওয়ামী লীগের কিছু নাই। এটা একটা রেজিম, তারা জোর করে দেশ চালাচ্ছে। এই রেজিমকে দূর করতে হবে। আমাদের আন্দোলন তো এই রেজিমের বিরুদ্ধে হচ্ছে। এটিকে দূর করতে হলে সমস্ত জাতিকে একত্রিত হতে হবে। দেশে এখন আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে।

আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, জিয়া পরিষদের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

সংবিধানের নামে সরকার ভোট চুরির প্রকল্প চালু করেছে : আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ভোট চুরির প্রকল্প চালু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সংবিধানের নামে সরকার ভোট চুরি প্রকল্পের মাধ্যমে একটি রেজিম তৈরি করেছে। তবে এর বিরুদ্ধে জনগণ ও বিশ্ব বিবেক ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেলফি-টেলফি তুলে কোনো লাভ হবে না।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘১/১১ ষড়যন্ত্র, আজকের প্রেক্ষাপট : দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যে নির্বাচনটা হয়েছে, সংবিধানে আছে সংসদ বাতিলের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তো সেই নির্বাচন হয়েছে দুই বছর পর। তাহলে এটা কি সংবিধানসম্মত হয়েছে? এটা সংবিধানের বাইরে না? আমরা সেই নির্বাচনে গিয়েছিলাম তাই জনগণের প্রত্যাশায় প্রতিফলন ঘটেছিল। কিন্তু এখন সে প্রতিফলনকে আবার একটি ভোট চুরির প্রকল্প বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। জাতীয় গণতান্ত্রিক ঐকমতের ভিত্তিতে যে নির্বাচন হবে সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছে। সংবিধানের সাত ধারাতে বলা হচ্ছে সংবিধান হলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। সেইটার সাথে তারা বেইমানি করছে। ভাঁওতাবাজি করছে সংবিধানের নাম ধরে। সংবিধানে যে কেয়ারটেকার সরকারের কথা ছিল, সেটা জাতীয় ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে। যে সংবিধানে জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি, জাতীয় ঐক্যমতের প্রতিফলন ঘটেনি, সেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে এগুলো তারা করতে পারে না। কেয়ারটেকার সরকারের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১/১১ এর মাধ্যমে যেটা হয়েছে সেটা হলো দেশের গণতান্ত্রিক যে কাঠামো.. সেখানে তারা আঘাত করেছে। রাজনীতিতে এই লোকগুলোর আসার কোনো অধিকার নেই। রাজনীতিতে আসতে হবে নির্বাচিত হয়ে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, মেরে, ধরে, গুম, খুন করে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার সাময়িক কিছু সময়ের জন্য আয়ু বাড়াতে পারে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার ম্যাক্সিমাম যেটা করতে পারে, সেটা হলো তার আয়ু কিছু বাড়িয়ে নিতে পারে। আবার নাও পারতে পারে। কিছু আয়ু হলেও বাড়তে পারে, তবে এই সরকারকে যেতে হবে। টাইম শেষ। তাদের বিদায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। বিশ্ব বিবেক, বিশ্ব গণতন্ত্র আমাদের পক্ষে আছে, জনগণের পক্ষে আছে। আমাদের জয় সুনিশ্চিত। তবে এইজন্য আগামী দিনগুলোতে আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রত্যেকটা ঘণ্টা, প্রত্যেকটা দিন আন্দোলনের সাথে সবাইকে থাকতে হবে। এই দুইটা মাস দেশের মানুষের জন্য স্যাক্রিফাইস করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হলো একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অপর রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দিতা; জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। এখানে একটি দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অন্য একটি দল বা একাধিক দলের সাথে। কিন্তু এখন তো দেশ চালাচ্ছে একটি রেজিম। অনেকেই হয়তো বলবে যে আওয়ামী লীগের কথা। কিন্তু দুঃখিত, এখানে আওয়ামী লীগের কিছু নাই। এটা একটা রেজিম, তারা জোর করে দেশ চালাচ্ছে। এই রেজিমকে দূর করতে হবে। আমাদের আন্দোলন তো এই রেজিমের বিরুদ্ধে হচ্ছে। এটিকে দূর করতে হলে সমস্ত জাতিকে একত্রিত হতে হবে। দেশে এখন আরও একটি মুক্তিযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে।

আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান, জিয়া পরিষদের উপদেষ্টা রোটারিয়ান এম. নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।