Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের সংশোধনী দিল এনসিটিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণয়ন করা ২০২৩ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের সংশোধনী দিলো জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। নানা আলোচনা সমালোচনার পর অবশেষে সংশোধনীগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ২২টি পাঠ্য বইয়ে ৪২৮টি ভুল সংশোধন করা হয়েছে। এরমধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২০২টি এবং সপ্তম শ্রেণিতে ২২৬টি ভুল সংশোধন করা হয়।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) তাদের ওয়েবসাইটে এই সংশোধনী দিয়েছে।

ওয়েবসাইটে দেয়া সংশোধনীতে দেখা যায়, সব বইয়ের জন্য আলাদাভাবে এই সংশোধনী দেওয়া হয়। সংশোধনীতে কোন পৃষ্ঠায় কী ভুল ছিল, সেখানে সংশোধনীগুলো কী কী হবে তাও উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ সম্পর্কে করণীয় নিয়েও মন্তব্য দেয়া হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে একজন শিক্ষার্থীকে ১০টি বই পড়তে হয়। বিভিন্ন ধর্মের বই মিলিয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে মোট ১৩টি বই রয়েছে। এনসিটিবি উভয় শ্রেণির ১৩টি করে মোট ২৬টি বইয়ে এসব সংশোধনী দিয়েছে।

কোন বইয়ে কত সংশোধনী : 

সংশোধনীগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ বিষয়ে ২০২টি ভুলের সংশোধনী দিয়েছে এনসিটিবি। এর মধ্যে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি সংশোধনী ৭১টি, আর সবচেয়ে কম বাংলা বইয়ে চারটি।

এ ছাড়া ইংরেজি বইয়ে ৩৫, গণিতে ৫, বিজ্ঞানে ৭, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৩৬, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ১, জীবন ও জীবিকায় ১৫, শিল্প ও সংস্কৃতিতে ৫, ইসলাম শিক্ষায় ৭ এবং হিন্দু শিক্ষা বইয়ে ১৬টি সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।

আর সপ্তম শ্রেণির ১১ বিষয়ে ২২৬টি ভুলের সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে সবচেয়ে বেশি ৬৫টি ভুলের সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। বাংলা বইয়ে ২১, ইংরেজিতে ১১, গণিতে ২৩, বিজ্ঞানে ৪, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২৫, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ৫, জীবন ও জীবিকায় ২৮, শিল্প ও সংস্কৃতি ১৮টি, ইসলাম শিক্ষায় ৯ এবং হিন্দু শিক্ষা বইয়ে ১২টি এবং খ্রিস্ট ধর্ম শিক্ষায় ৭টি সংশোধনী দিয়েছে এনসিটিবি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী বছর থেকে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে পাঠ্যবইও। যদিও বিতর্কের মুখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি।

এ অবস্থায়, নতুন করে দেয়া সংশোধনীতে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের বিষয়ে আলাদা নোট দিয়ে বলা হয়েছে, অনুশীলন বইয়ে যে যে স্থানে অনুসন্ধানী পাঠ অথবা রিসোর্স বই দেখতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা সে সে স্থানে শিক্ষকের সহায়তায় উপযুক্ত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে।

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দুটি পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের কাজ করছি। যেসব বিষয়ে সংশোধন আনা একান্ত প্রয়োজন, তা সংশোধন করা হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশদ আকারে সংশোধনের কাজ চলছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের সংশোধনী দিল এনসিটিবি

প্রকাশের সময় : ০১:২০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণয়ন করা ২০২৩ সালের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের সংশোধনী দিলো জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। নানা আলোচনা সমালোচনার পর অবশেষে সংশোধনীগুলো এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ২২টি পাঠ্য বইয়ে ৪২৮টি ভুল সংশোধন করা হয়েছে। এরমধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২০২টি এবং সপ্তম শ্রেণিতে ২২৬টি ভুল সংশোধন করা হয়।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) তাদের ওয়েবসাইটে এই সংশোধনী দিয়েছে।

ওয়েবসাইটে দেয়া সংশোধনীতে দেখা যায়, সব বইয়ের জন্য আলাদাভাবে এই সংশোধনী দেওয়া হয়। সংশোধনীতে কোন পৃষ্ঠায় কী ভুল ছিল, সেখানে সংশোধনীগুলো কী কী হবে তাও উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ সম্পর্কে করণীয় নিয়েও মন্তব্য দেয়া হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে একজন শিক্ষার্থীকে ১০টি বই পড়তে হয়। বিভিন্ন ধর্মের বই মিলিয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে মোট ১৩টি বই রয়েছে। এনসিটিবি উভয় শ্রেণির ১৩টি করে মোট ২৬টি বইয়ে এসব সংশোধনী দিয়েছে।

কোন বইয়ে কত সংশোধনী : 

সংশোধনীগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণির ১১ বিষয়ে ২০২টি ভুলের সংশোধনী দিয়েছে এনসিটিবি। এর মধ্যে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি সংশোধনী ৭১টি, আর সবচেয়ে কম বাংলা বইয়ে চারটি।

এ ছাড়া ইংরেজি বইয়ে ৩৫, গণিতে ৫, বিজ্ঞানে ৭, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৩৬, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ১, জীবন ও জীবিকায় ১৫, শিল্প ও সংস্কৃতিতে ৫, ইসলাম শিক্ষায় ৭ এবং হিন্দু শিক্ষা বইয়ে ১৬টি সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।

আর সপ্তম শ্রেণির ১১ বিষয়ে ২২৬টি ভুলের সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে সবচেয়ে বেশি ৬৫টি ভুলের সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। বাংলা বইয়ে ২১, ইংরেজিতে ১১, গণিতে ২৩, বিজ্ঞানে ৪, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২৫, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ৫, জীবন ও জীবিকায় ২৮, শিল্প ও সংস্কৃতি ১৮টি, ইসলাম শিক্ষায় ৯ এবং হিন্দু শিক্ষা বইয়ে ১২টি এবং খ্রিস্ট ধর্ম শিক্ষায় ৭টি সংশোধনী দিয়েছে এনসিটিবি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী বছর থেকে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে পাঠ্যবইও। যদিও বিতর্কের মুখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করে নেয় এনসিটিবি।

এ অবস্থায়, নতুন করে দেয়া সংশোধনীতে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের বিষয়ে আলাদা নোট দিয়ে বলা হয়েছে, অনুশীলন বইয়ে যে যে স্থানে অনুসন্ধানী পাঠ অথবা রিসোর্স বই দেখতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা সে সে স্থানে শিক্ষকের সহায়তায় উপযুক্ত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে।

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দুটি পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের কাজ করছি। যেসব বিষয়ে সংশোধন আনা একান্ত প্রয়োজন, তা সংশোধন করা হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশদ আকারে সংশোধনের কাজ চলছে।