Dhaka শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে ভারতের অষ্টম শিরোপা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আসর শুরুর আগের দিন স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ একাধিক ক্রিকেটারের চোট। বলা যায়, দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই আসর শুরু করেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই অবাক করেছেন তারা। সেটা মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে। অথচ ফাইনালের বড় মঞ্চে এসে পুরো অচেনা দাসুন শানাকার দল।

ফাইনালটা হবে জম্পেশ। এমন ধারণাই ছিল অনুমিত। ধারে ভারে এগিয়ে থাকা ভারতের সামনে তারুণ্যনির্ভর উদ্দীপ্ত শ্রীলঙ্কা। কিন্তু কলম্বোয় এশিয়া কাপের ফাইনালে যা হলো, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। শ্রীলঙ্কাকে চরম লজ্জা দিয়ে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো শিরোপা জিতেছে ভারত।

মোহাম্মদ সিরাজের বিধ্বংসী বোলিংয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫১ রানের মামুলি লক্ষ্য মাত্র ৬.১ ওভারেই পেরিয়ে যায় ভারত। হেসেখেলে ১০ উইকেটের দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। নিজেও হয়তো ভাবেননি এতো বাজেভাবে ভুল প্রমাণ হবেন তিনি। মাত্র ৯২ বলেই অলআউট হয় তার দল। ভারতের হয়ে মাত্র ২১ রান খরচ করে ৬ উইকেট শিকার করেন সিরাজ। এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া তিনটি ও জাসপ্রিত বুমরাহ নেন এক উইকেট। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ রান আসে কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে।

বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর শুরু হয় খেলা। ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা প্রথম ধাক্কাটা খায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই। জাসপ্রিত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার কুশল পেরেরা।

এরপর কেবল সিরাজের দাপট। কোনো রান ছাড়াই নিজের প্রথম ওভার শেষ করেন এই পেসার। দ্বিতীয় ওভারে একাই শিকার করেন চার উইকেট। তার প্রথম বলে লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে পয়েন্টে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দেন পাথুম নিসাঙ্কা (২)। পরের বল ডট দিলেও তৃতীয় বলে নতুন আসা ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সিরাজ। চতুর্থ বলে আসালাঙ্কাকে (০) ফিরিয়ে জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। যদিও হ্যাটট্রিকের পরিবর্তে সেই বলে চার হজম করতে হয়েছে ডানহাতি এই পেসারকে। কিন্তু শেষ বলে তুলে নেন আরও এক উইকেট। দুর্দান্ত এক আউটসুইঙ্গারে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দেন ধনঞ্জয়া (৪)।

বল বাই বল ডাটা অনুযায়ী প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে এক ওভারে চার উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন সিরাজ। এর পরের ওভারে দাসুন শানাকাকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার পূর্ণ করেন ডানহাতি এই পেসার। যার ফলে মাত্র ১২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। এরপর খুব বেশি দূর আর নিজেদের ইনিংস টেনে নিতে পারেনি তারা। কিছুক্ষণ থিতু হলেও সিরাজের ষষ্ঠ শিকারে পরিণত হন কুশল মেন্ডিস। ১৫তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন পান্ডিয়া।

লঙ্কানদের ১১ জন ব্যাটারের মধ্যে পাঁচ জনকেই ফিরতে হয় শূন্য রানে আউট হয়ে। মেন্ডিসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩ রান করেন দুশান হেমন্ত। এছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ভারতের হয়ে সিরাজ ২১ রানে ৬টি এবং পান্ডিয়া ৩ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেটটি নেন বুমরাহ।

এশিয়া কাপে এটাই কোনো দলের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে লজ্জার রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশের। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৩ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা।

সহজ জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬ দশমিক ১ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। এদিন রোহিত শর্মার বদলে গিলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ইশান কিষাণ। টি-টোয়েন্টি ধাচে ব্যাটিং করে ৪৩ দশমিক ৫ বল হাতে রেখে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে নেয় ভারত। গিল ১৯ বলে ৬ চারের সাহায্যে ২৭ এবং কিষাণ ১৮ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে ভারতের অষ্টম শিরোপা

প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আসর শুরুর আগের দিন স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ একাধিক ক্রিকেটারের চোট। বলা যায়, দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই আসর শুরু করেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই অবাক করেছেন তারা। সেটা মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে। অথচ ফাইনালের বড় মঞ্চে এসে পুরো অচেনা দাসুন শানাকার দল।

ফাইনালটা হবে জম্পেশ। এমন ধারণাই ছিল অনুমিত। ধারে ভারে এগিয়ে থাকা ভারতের সামনে তারুণ্যনির্ভর উদ্দীপ্ত শ্রীলঙ্কা। কিন্তু কলম্বোয় এশিয়া কাপের ফাইনালে যা হলো, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। শ্রীলঙ্কাকে চরম লজ্জা দিয়ে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো শিরোপা জিতেছে ভারত।

মোহাম্মদ সিরাজের বিধ্বংসী বোলিংয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ৫১ রানের মামুলি লক্ষ্য মাত্র ৬.১ ওভারেই পেরিয়ে যায় ভারত। হেসেখেলে ১০ উইকেটের দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপে অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। নিজেও হয়তো ভাবেননি এতো বাজেভাবে ভুল প্রমাণ হবেন তিনি। মাত্র ৯২ বলেই অলআউট হয় তার দল। ভারতের হয়ে মাত্র ২১ রান খরচ করে ৬ উইকেট শিকার করেন সিরাজ। এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া তিনটি ও জাসপ্রিত বুমরাহ নেন এক উইকেট। লঙ্কানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ রান আসে কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে।

বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর শুরু হয় খেলা। ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা প্রথম ধাক্কাটা খায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই। জাসপ্রিত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার কুশল পেরেরা।

এরপর কেবল সিরাজের দাপট। কোনো রান ছাড়াই নিজের প্রথম ওভার শেষ করেন এই পেসার। দ্বিতীয় ওভারে একাই শিকার করেন চার উইকেট। তার প্রথম বলে লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে পয়েন্টে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দেন পাথুম নিসাঙ্কা (২)। পরের বল ডট দিলেও তৃতীয় বলে নতুন আসা ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সিরাজ। চতুর্থ বলে আসালাঙ্কাকে (০) ফিরিয়ে জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। যদিও হ্যাটট্রিকের পরিবর্তে সেই বলে চার হজম করতে হয়েছে ডানহাতি এই পেসারকে। কিন্তু শেষ বলে তুলে নেন আরও এক উইকেট। দুর্দান্ত এক আউটসুইঙ্গারে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলকে ক্যাচ দেন ধনঞ্জয়া (৪)।

বল বাই বল ডাটা অনুযায়ী প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে এক ওভারে চার উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন সিরাজ। এর পরের ওভারে দাসুন শানাকাকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার পূর্ণ করেন ডানহাতি এই পেসার। যার ফলে মাত্র ১২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। এরপর খুব বেশি দূর আর নিজেদের ইনিংস টেনে নিতে পারেনি তারা। কিছুক্ষণ থিতু হলেও সিরাজের ষষ্ঠ শিকারে পরিণত হন কুশল মেন্ডিস। ১৫তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন পান্ডিয়া।

লঙ্কানদের ১১ জন ব্যাটারের মধ্যে পাঁচ জনকেই ফিরতে হয় শূন্য রানে আউট হয়ে। মেন্ডিসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩ রান করেন দুশান হেমন্ত। এছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ভারতের হয়ে সিরাজ ২১ রানে ৬টি এবং পান্ডিয়া ৩ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেটটি নেন বুমরাহ।

এশিয়া কাপে এটাই কোনো দলের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে লজ্জার রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশের। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৩ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা।

সহজ জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৬ দশমিক ১ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। এদিন রোহিত শর্মার বদলে গিলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ইশান কিষাণ। টি-টোয়েন্টি ধাচে ব্যাটিং করে ৪৩ দশমিক ৫ বল হাতে রেখে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতে নেয় ভারত। গিল ১৯ বলে ৬ চারের সাহায্যে ২৭ এবং কিষাণ ১৮ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।