Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে নিউজিল্যান্ড

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে নিজেদের নবম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের আরও কাছে পৌঁছে গেলো নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল স্যান্টনার ও লকি ফার্গুসনের বোলিং তোপে ২০ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ড্যারেল মিচেল, ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র এই ৩ জনের চল্লিশার্ধো রানের ওপর ভর করে ১৬০ বল হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে, এই হারের ফলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আশা অনেকটা শেষ হয়ে গেলো শ্রীলঙ্কার।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড।

শ্রীলঙ্কার দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৬ রান। ৪২ বলে ৪৫ রান করা কনওয়েকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন দুষ্মন্ত চামিরা। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রবীন্দ্রও। ৩৪ বলে ৪২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে মাহিশ থিকসানার বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ইনিংস বড় করতে পারেননি উইলিয়ামসন। মার্ক চ্যাপম্যান ফিরেছেন রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়ে।

দারুণ ব্যাটিং করে কিউইদের জয়ের পথেই রাখেন ড্যারেল মিচেল। তবে তিনিও ফিরেছেন ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৪৩ রান। এরপর দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন গ্লেন ফিলিপস ও টম ল্যাথাম। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মাহিশ থিকসানা ও দুষ্মন্ত চামিরা।

এদিকে এই জয়ে ৯ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনালে উঠতে রানরেটেও (+০.৯২২) বেশ শক্ত অবস্থানে আছে তারা। তাই তাদের টপকে সেমিফাইনালে যেতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জিততে হবে পাকিস্তান (+০.০৩৬) ও আফগানিস্তানকে (-০.৩৩৮)। অন্যদিকে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ স্বপ্নে বড় ধাক্কাই খেল শ্রীলঙ্কা। ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নয়ে আছে তারা।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিপাকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দলীয় দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরেন ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। টিম সাউদির বলে মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লঙ্কা ওপেনার। নেতৃত্ব পাওয়ার পর নিজের স্বভাবজাত ব্যাটিংটাই যেন ভুলে বসেছেন কুশল মেন্ডিস। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি আজও।তিনে নেমে সুপার ফ্লপ লঙ্কান অধিনায়ক। ৭ বলে ৬ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে রাচিন রবীন্দ্রের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি সাদিরা সামারাবিক্রমা-চারিথ আসালঙ্কারাও। ব্যাটারদের এমন আসা যাওয়ার মিছিলেও এক প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তুলেন কুশল পেরেরা। এই ওপেনার যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন একাই রানের চাকা সচল রেখেছেন। ২২ বলে করেছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। যা চলমান আসরে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে কাউন্টার অ্যাটাকের আভাস দিলেও পেরেরা থেমেছেন ফিফটির পরপরই। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৫১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

৭০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার সর্তকতার সঙ্গে শুরু করেছিলেন। দেখে-শুনে খেলে ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন। তবে তার প্রতিরোধ কিউই বোলারদের সামনে বেশিক্ষণ টিকেনি। বালের বাধের মতো ভেঙে গেছে! ২৭ বলে ১৬ রান করে এই ব্যাটার ফিরলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

সেই বিপদ আরো বাড়িয়েছেন ধানাঞ্জয়া। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে তার ওপর গুরু দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেই চাপ নিতে পারেননি। ২৪ বলে ১৯ রান করে ফিরেছেন তিনি। মিচেল স্যান্টনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্লিপে ড্যারিল মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

১২৮ রানে নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছিলেন দুশমান্থা চামিরা। এরপর দিলশান মাদুশঙ্কাকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন মাহিশ থিকশানা। শেষ উইকেটে তাদের দারুণ ব্যাটিং লঙ্কান সমর্থকদের টিকিটের টাকা কিছুটা হলেও উসুল করেছে! ১৯ রান করে মাদুশঙ্কা আউট হলে ভাঙে ৪৩ রানে জুটি। থিকশানা অপরাজিত থেকেছেন ৩৮ রান করে। শেষ পর্যন্ত ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন বোল্ট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে নিউজিল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ০৯:০৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে নিজেদের নবম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের আরও কাছে পৌঁছে গেলো নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল স্যান্টনার ও লকি ফার্গুসনের বোলিং তোপে ২০ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ড্যারেল মিচেল, ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র এই ৩ জনের চল্লিশার্ধো রানের ওপর ভর করে ১৬০ বল হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে, এই হারের ফলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার আশা অনেকটা শেষ হয়ে গেলো শ্রীলঙ্কার।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড।

শ্রীলঙ্কার দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৬ রান। ৪২ বলে ৪৫ রান করা কনওয়েকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন দুষ্মন্ত চামিরা। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রবীন্দ্রও। ৩৪ বলে ৪২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে মাহিশ থিকসানার বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ইনিংস বড় করতে পারেননি উইলিয়ামসন। মার্ক চ্যাপম্যান ফিরেছেন রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়ে।

দারুণ ব্যাটিং করে কিউইদের জয়ের পথেই রাখেন ড্যারেল মিচেল। তবে তিনিও ফিরেছেন ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৪৩ রান। এরপর দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন গ্লেন ফিলিপস ও টম ল্যাথাম। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন মাহিশ থিকসানা ও দুষ্মন্ত চামিরা।

এদিকে এই জয়ে ৯ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনালে উঠতে রানরেটেও (+০.৯২২) বেশ শক্ত অবস্থানে আছে তারা। তাই তাদের টপকে সেমিফাইনালে যেতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জিততে হবে পাকিস্তান (+০.০৩৬) ও আফগানিস্তানকে (-০.৩৩৮)। অন্যদিকে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ স্বপ্নে বড় ধাক্কাই খেল শ্রীলঙ্কা। ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নয়ে আছে তারা।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিপাকে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দলীয় দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরেন ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। টিম সাউদির বলে মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লঙ্কা ওপেনার। নেতৃত্ব পাওয়ার পর নিজের স্বভাবজাত ব্যাটিংটাই যেন ভুলে বসেছেন কুশল মেন্ডিস। ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি আজও।তিনে নেমে সুপার ফ্লপ লঙ্কান অধিনায়ক। ৭ বলে ৬ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে রাচিন রবীন্দ্রের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি সাদিরা সামারাবিক্রমা-চারিথ আসালঙ্কারাও। ব্যাটারদের এমন আসা যাওয়ার মিছিলেও এক প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তুলেন কুশল পেরেরা। এই ওপেনার যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন একাই রানের চাকা সচল রেখেছেন। ২২ বলে করেছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। যা চলমান আসরে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে কাউন্টার অ্যাটাকের আভাস দিলেও পেরেরা থেমেছেন ফিফটির পরপরই। শেষ পর্যন্ত ২৮ বলে ৫১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

৭০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার সর্তকতার সঙ্গে শুরু করেছিলেন। দেখে-শুনে খেলে ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন। তবে তার প্রতিরোধ কিউই বোলারদের সামনে বেশিক্ষণ টিকেনি। বালের বাধের মতো ভেঙে গেছে! ২৭ বলে ১৬ রান করে এই ব্যাটার ফিরলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

সেই বিপদ আরো বাড়িয়েছেন ধানাঞ্জয়া। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে তার ওপর গুরু দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেই চাপ নিতে পারেননি। ২৪ বলে ১৯ রান করে ফিরেছেন তিনি। মিচেল স্যান্টনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্লিপে ড্যারিল মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

১২৮ রানে নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছিলেন দুশমান্থা চামিরা। এরপর দিলশান মাদুশঙ্কাকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন মাহিশ থিকশানা। শেষ উইকেটে তাদের দারুণ ব্যাটিং লঙ্কান সমর্থকদের টিকিটের টাকা কিছুটা হলেও উসুল করেছে! ১৯ রান করে মাদুশঙ্কা আউট হলে ভাঙে ৪৩ রানে জুটি। থিকশানা অপরাজিত থেকেছেন ৩৮ রান করে। শেষ পর্যন্ত ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন বোল্ট।