বরগুনা জেলা প্রতিনিধি :
বরগুনায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম এবং দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ইলিয়াস পহলান (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। আদালতে বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইলিয়াস পহলান বরগুনা সদর উপজেলার পূর্ব কেওয়াবুনিয়া নামক এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন পহলানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ইলিয়াস আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও একই মামলায় অভিযুক্ত আসামি ইলিয়াসকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শ্যালিকা বরগুনা সদর উপজেলার রোডপাড়া নামক এলাকার বাসিন্দা। ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট রাতে তিনি তার নিজ বাড়িতে ৩ বছর বয়সী কন্যা শিশু তাইফা ও প্রতিবেশী গোলাম খবিরের ১৩ বছর বয়সী ছেলে হাফিজুলকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় রিগানের ভগ্নিপতি ইলিয়াস পহলান গোপনে তার ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে ওই সময় তাদের দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে শিশু তাইফা ও হাফিজুলের ঘুম ভেঙে যায়। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র (দা) দিয়ে শ্যালিকাসহ ওই দুই শিশুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ইলিয়াস। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় হাফিজুল। আর গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেওয়ার পথে মারা যায় তাইফা। এছাড়াও এ ঘটনায় গুরুতর আহত ভুক্তভোগী শ্যালিকা দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হন। আর ঘটনার দিনই অভিযুক্ত একমাত্র আসামি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রনজুয়ায়া সিপু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামি ইলিয়াস পহলানের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। অল্প সময়ের ব্যবধানে এ মামলায় বিচারিক রায় এবং আসামির ফাঁসির রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এ রায়ের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে এবং অপরাধ প্রবণতাও কমবে।