Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্যামনগরে ভাঙনের কবলে পড়েছে চৌদ্দরশী ব্রিজ, দুর্ভোগ হাজারো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভয়াবহ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ও পদ্মপুকুরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী চৌদ্দরশী ব্রিজ। ব্রিজের গাবুরা অংশের গোড়ার মাটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। দেখা দিয়েছে ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা। এরই মধ্যে ভাঙন কবলিত অংশের অনেকটা মাটি আলগা হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দুটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।

সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, গাবুরা ও পদ্মপুকুরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চৌদ্দরশী ব্রিজ। ভাঙনের কবলে পড়ে ব্রিজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি ভেঙে গেলে বিকল্প পথ হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ও ট্রলারে যাতায়াত করতে হবে। ফলে আধুনিক সড়ক যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে দুই ইউনিয়নের মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজটি নির্মিত হয়। পরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্রিজের গাবুরা পাড়ের সঙ্গে সংযোগ সড়ক লাগোয়া অংশের নিচের মাটি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া ব্রিজের বেশ কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সংযোগ সড়ক লাগোয়া অংশে গভীর খাদ সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ।

গাবুরার আতিয়ার রহমান বলেন, এ ব্রিজটিই আমাদের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। ব্রিজের গাবুরার পাড়ে ভাঙন লেগেছে। আমরা এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।

পাতাখালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, ভাঙন কবলিত অংশ এখনই সংস্কার করতে না পারলে ব্রিজটি অচিরেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

গাবুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ জানান, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর মোহনায় ব্রিজটির অবস্থান। এজন্য এখানে ভাঙনের প্রবণতা বেশি। তবে এখন সংস্কার করা গেলে ব্রিজটি টিকে যাবে।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, ওখানে তিন বছর আগেও একবার ভাঙন শুরু হয়েছিল। তখন সাময়িকভাবে সংস্কার করা হয়েছিল। আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন বলেন, বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সংস্কার হবে।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের টিমকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শ্যামনগরে ভাঙনের কবলে পড়েছে চৌদ্দরশী ব্রিজ, দুর্ভোগ হাজারো মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভয়াবহ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ও পদ্মপুকুরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী চৌদ্দরশী ব্রিজ। ব্রিজের গাবুরা অংশের গোড়ার মাটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। দেখা দিয়েছে ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা। এরই মধ্যে ভাঙন কবলিত অংশের অনেকটা মাটি আলগা হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দুটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।

সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, গাবুরা ও পদ্মপুকুরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চৌদ্দরশী ব্রিজ। ভাঙনের কবলে পড়ে ব্রিজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি ভেঙে গেলে বিকল্প পথ হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ও ট্রলারে যাতায়াত করতে হবে। ফলে আধুনিক সড়ক যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে দুই ইউনিয়নের মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজটি নির্মিত হয়। পরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্রিজের গাবুরা পাড়ের সঙ্গে সংযোগ সড়ক লাগোয়া অংশের নিচের মাটি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া ব্রিজের বেশ কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সংযোগ সড়ক লাগোয়া অংশে গভীর খাদ সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ।

গাবুরার আতিয়ার রহমান বলেন, এ ব্রিজটিই আমাদের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। ব্রিজের গাবুরার পাড়ে ভাঙন লেগেছে। আমরা এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।

পাতাখালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, ভাঙন কবলিত অংশ এখনই সংস্কার করতে না পারলে ব্রিজটি অচিরেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

গাবুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ জানান, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর মোহনায় ব্রিজটির অবস্থান। এজন্য এখানে ভাঙনের প্রবণতা বেশি। তবে এখন সংস্কার করা গেলে ব্রিজটি টিকে যাবে।

গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, ওখানে তিন বছর আগেও একবার ভাঙন শুরু হয়েছিল। তখন সাময়িকভাবে সংস্কার করা হয়েছিল। আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন বলেন, বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সংস্কার হবে।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের টিমকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।