Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ ওভারে ৩০ তুলে রংপুরকে জেতালেন সোহান

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

 

অবিশ্বাস্য এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সাক্ষী হলো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচ নিষ্পত্তি হলো শেষ বলে। বরিশালের দেওয়া ১৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ৬ বলে ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল রংপুরের। বরিশালের হয়ে বোলিংয়ে আসেন কাইল মায়ার্স। রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান প্রথম ৫ বলে ২৪ রান তুলে নেন। শুরুটা করেন ছক্কায়। পরের দুই বলে দুই চার। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে আবার ছক্কা ও চার। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রানের। মায়ার্সের করা শেষ বলে ছক্কা উড়িয়ে রংপুরকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন সোহান।

৩ উইকেটের জয়ে নিজেদের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি ধরে রাখল রংপুর। ৬ ম্যাচে সবকটিতে জিতেছে তারা। ৭ বলে ৩২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে রংপুরের এই ম্যাচের নায়ক সোহান।

রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। ৩ বলে ১ রান করে তানভীর ইসলামের বলে স্টাম্পিং হন হেলস। এরপর কিছুটা ধরে খেলেন সাইফ হাসান ও তৌফিক খান তুষার।

৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২২ রান করে ফাহিম আশরাফ ক্যাচ তুলে দিলে এই জুটি ভাঙে। ৩৫ বলে ৩৭ রান করেছিলেন তুষার ও সাইফ। তাদের জুটি ভেঙে যাওয়ার পর ২৮ বলে ৩৮ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তুষারও।

তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর রংপুর কিছুটা চাপে পড়ে যায়। দলকে সেখান থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমদ। অনেকটা পথ টেনে নেন তারা।

৫৩ বলে ৯১ রানের এই জুটি ভাঙেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩৬ বলে ৪৮ রান করা ইফতিখার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তার বলে। তার বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে শুরু হয় খুশদিলের চেষ্টা।

তিনিও অবশ্য শেষ করতে পারেননি। ২ চার ও ৫ ছক্কায় ২৪ বলে ৪৮ রান করে আউট হন খুশদিল। তার বিদায়ের ওভারে মাহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও আউট হন। শেষ ওভারে রংপুরের দরকার হয় ২৬ রান। বেশ কঠিনই মনে হচ্ছিল তখন। তবে কাজটি করে দেখান অধিনায়ক সোহান।

কাইল মেয়ার্সের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। পরের দুটিতে আসে চার। চতুর্থ বলে আবার ছক্কা হাঁকিয়ে পরেরটিতে চার মারেন সোহান। শেষ বলে দরকার হয় স্রেফ ২ রান। কিন্তু ওই বলেও ছক্কা হাঁকান সোহান। ৭ বলের ইনিংসে তিনটি চার ও সমান ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। দলকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তোলে বরিশাল। তবে ফিফটি তুলতে পারেনি দুজনেরই কেউই।

১১তম ওভারে কামরুল হাসানের হাতে বল তুলে দেন সোহান। আর প্রথম বলে শান্তকে ক্যাচ আউট করে অধিনায়কের বিশ্বাসের প্রতিদান দেন কামরুল। ৩০ বলে ৪১ রান করে শান্ত। একই ওভারের শেষ বলে তামিমকেও তুলে নেন কামরুল। ৩৪ বলে ৪০ রান করেন দেশসেরা এই ওপেনার।

এরপর ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয় এবং কাইল মায়ার্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ১৮ বলে ২৩ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ২ বলে ৪ রান করে সাইফউদ্দিনের করা স্লো ডেলিভারিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন তিনি।

ষষ্ঠ উইকেটে পিচে এসেই বলে বলে বাউন্ডারি মারতে থাকেন ফাহিম আশরাফ। তবে ৬ বলে ২০ রান করে রান আউট হন এই পাক অলরাউন্ডার। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন মায়ার্স। শেষ পর্যন্ত মায়ার্সের ২৯ বলের অপরাজিত ৬০ রানে ভর করে ১৯৭ রানের বড় পুঁজি পায় বরিশাল।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন কামরুল হাসান। এ ছাড়াও আকিভ জাভেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

শেষ ওভারে ৩০ তুলে রংপুরকে জেতালেন সোহান

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

অবিশ্বাস্য এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সাক্ষী হলো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচ নিষ্পত্তি হলো শেষ বলে। বরিশালের দেওয়া ১৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ৬ বলে ২৬ রানের প্রয়োজন ছিল রংপুরের। বরিশালের হয়ে বোলিংয়ে আসেন কাইল মায়ার্স। রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান প্রথম ৫ বলে ২৪ রান তুলে নেন। শুরুটা করেন ছক্কায়। পরের দুই বলে দুই চার। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে আবার ছক্কা ও চার। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রানের। মায়ার্সের করা শেষ বলে ছক্কা উড়িয়ে রংপুরকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন সোহান।

৩ উইকেটের জয়ে নিজেদের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি ধরে রাখল রংপুর। ৬ ম্যাচে সবকটিতে জিতেছে তারা। ৭ বলে ৩২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে রংপুরের এই ম্যাচের নায়ক সোহান।

রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। ৩ বলে ১ রান করে তানভীর ইসলামের বলে স্টাম্পিং হন হেলস। এরপর কিছুটা ধরে খেলেন সাইফ হাসান ও তৌফিক খান তুষার।

৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২২ রান করে ফাহিম আশরাফ ক্যাচ তুলে দিলে এই জুটি ভাঙে। ৩৫ বলে ৩৭ রান করেছিলেন তুষার ও সাইফ। তাদের জুটি ভেঙে যাওয়ার পর ২৮ বলে ৩৮ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তুষারও।

তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর রংপুর কিছুটা চাপে পড়ে যায়। দলকে সেখান থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমদ। অনেকটা পথ টেনে নেন তারা।

৫৩ বলে ৯১ রানের এই জুটি ভাঙেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩৬ বলে ৪৮ রান করা ইফতিখার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তার বলে। তার বিদায়ের পর নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে শুরু হয় খুশদিলের চেষ্টা।

তিনিও অবশ্য শেষ করতে পারেননি। ২ চার ও ৫ ছক্কায় ২৪ বলে ৪৮ রান করে আউট হন খুশদিল। তার বিদায়ের ওভারে মাহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও আউট হন। শেষ ওভারে রংপুরের দরকার হয় ২৬ রান। বেশ কঠিনই মনে হচ্ছিল তখন। তবে কাজটি করে দেখান অধিনায়ক সোহান।

কাইল মেয়ার্সের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। পরের দুটিতে আসে চার। চতুর্থ বলে আবার ছক্কা হাঁকিয়ে পরেরটিতে চার মারেন সোহান। শেষ বলে দরকার হয় স্রেফ ২ রান। কিন্তু ওই বলেও ছক্কা হাঁকান সোহান। ৭ বলের ইনিংসে তিনটি চার ও সমান ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। দলকে এনে দেন অবিশ্বাস্য জয়।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৪৬ রান তোলে বরিশাল। তবে ফিফটি তুলতে পারেনি দুজনেরই কেউই।

১১তম ওভারে কামরুল হাসানের হাতে বল তুলে দেন সোহান। আর প্রথম বলে শান্তকে ক্যাচ আউট করে অধিনায়কের বিশ্বাসের প্রতিদান দেন কামরুল। ৩০ বলে ৪১ রান করে শান্ত। একই ওভারের শেষ বলে তামিমকেও তুলে নেন কামরুল। ৩৪ বলে ৪০ রান করেন দেশসেরা এই ওপেনার।

এরপর ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তাওহীদ হৃদয় এবং কাইল মায়ার্স। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি হৃদয়। ১৮ বলে ২৩ রান করে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ২ বলে ৪ রান করে সাইফউদ্দিনের করা স্লো ডেলিভারিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন তিনি।

ষষ্ঠ উইকেটে পিচে এসেই বলে বলে বাউন্ডারি মারতে থাকেন ফাহিম আশরাফ। তবে ৬ বলে ২০ রান করে রান আউট হন এই পাক অলরাউন্ডার। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন মায়ার্স। শেষ পর্যন্ত মায়ার্সের ২৯ বলের অপরাজিত ৬০ রানে ভর করে ১৯৭ রানের বড় পুঁজি পায় বরিশাল।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন কামরুল হাসান। এ ছাড়াও আকিভ জাভেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন।