Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে ব্রীজের অভাবে দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেরপুরের দশানী নদীর উপরে একটি ব্রিজের অভাবে অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ১৫ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ। বছরের অর্ধেক সময় বাশের সাকো ও অর্ধেক সময় নৌকায় কৃষিপণ্য আনা জন্য মানুষকে চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবার ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করা হচ্ছেনা আজো। তাই ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রক্ষপুত্র ও দশানী নদীর বন্যা থেকে রক্ষা করতে কামারেরচর বাজার ঘেষে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ দেয়ার ফলে শেরপুর সদর উপজেলার ১নং কামারেরচর ইউনিয়নের ৬নংচর, ৬নং চর নতুনপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়া, নয়াপাড়া, ভাটিপাড়া, উজানপাড়া, কামারপাড়া, গোয়ালপাড়া, পয়েস্তীরচর জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। শেরপুর সদর উপজেলার থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে কামারেরচর ইউনিয়ন ও জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষে বুক চিড়ে বয়ে গেছে দশআনী নদী। এ গ্রামগুলোর ৫০ হাজার এ নদী পারি দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এ নদীর উপর সেতু না থাকায় বাঁশের ঝুঁকিপুর্ণ সাঁকো দিয়েপথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষ শুকনো মৌসুমে শত কষ্ট স্বীকার করে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। শুধু দুর্ভোগই নয় এ সময় অনেক ছাত্র-ছাত্রীর স্কুল ও কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তখন এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় নৌকা। বিশাল চরাঞ্চলের শাক-সবজী, ধানসহ নানা ফসল আনা-নেয়াতেও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যও পায় না এ এলাকার কৃষকরা।

এ নদী উপর একটি সেতু নির্মানের দাবি গ্রামবাসীদের। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি উঠে। বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া যায় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছ থেকে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি।

অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দশআনি নদী পারাপার করতে হয় শিশু কিশোর, ছাত্র, বৃদ্ধ সবাইকে। আবার অনেক সময় সঠিক সময় রোগী হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারায় চিকিৎসার অভাবে মারা যায় অনেকেই। সময়মতো শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না স্কুলে। তাই এলাকাবাসী এ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি চায়।

সেতু না থাকায় পথচারিদের দুর্ভোগের পাশাপাশি এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য সঠিক সয়ে বাজারজাত করতে পারেন না কৃষকরা। ফলে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যও পায় না কৃষকরা।

স্থানীয়রা বলেন, আমাদের এ ব্রজিটি যে কবে হবে, আমরা জানিনা। জন্মের পর থেকেই এরকমই দেখতাছি। সরকার সারা দেশেই উন্নয়ন করেছে। অথচ আমাগো অল্প একটু ব্রজি করে দেয় না। খালি ভোটের সময় আসলে ভোট নেয়। ব্রজি না থাকায় সরাসরি ফসল বাজারে নিতে পারি না তাই ফসলের ভালো দাম পাই না।

মেহেদী হাসান পাপুল বলেন, সেতুর অভাবে সারাবছর দুর্ভোগের স্বীকার হই। আমাদের চরে প্রচুর সবজির আবাদ হয়। চরের এ সবজি সারাদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। সেতুর অভাবে কৃষকরা সময়মতো বাজারে নিতে পারে না। ফলে কৃষিপণ্যের প্রকৃত দাম পায় না কৃষকরা।

আব্দুর রশিদ বলেন, নদীর এপারে অনেক কৃষি পণ্যের আবাদ হয়। হাজার হাজার মণ বেগুন, পাট, গম, ধান নষ্ট হয়। কারণ যোগাযোগ ভালো না থাকায় পণ্য বাজারে তুলতে পারি না আমরা। তাই লাভবান হতে পারি না। আমরা সরকারের কাছে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাই।

এ নদীতে শুকনো সময় পন্য আনা-নেয়ার একমাত্র বাহন গোড়ার গাড়ি আর বর্ষার সময় নৌকা। তাও পন্য পারাপার করতে হয় অনকে ঝুঁকিতে। পন্য পারা-পারের সময় অনেক সময় মারাও পড়ে ঘোরা।

কামারের চর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরশ জানায়, শুষ্ক মৌসুমে আমরা এই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাই। এ সময় আমাদের বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হয়। অনেক সময় নদীতে বই খাতা পরে ভিজে যায়। আর বর্ষা মৌসুমে স্কুলে যেতে ভয় লাগে। ভয়ে একা নৌকা দিয়ে পার হতে পারি না। স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়।

কামারেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. হানিফ বিএসসি বলেন, আমি অনেক বছর যাবত এই স্কুলে শিক্ষকতা করি। নদী পারাপারের জন্য আমাদের নানা ধরনের অসুবিধা হয়। সময়মত স্কুলে যেতে পারি না।

বর্ষার সময় নদী পার হওয়ার জন্য বসে থাকতে হয়। এই ৬নং চরের দশনী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে এই এলাকার যোগাযোগ, ব্যবসা ও শিক্ষাব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন হবে।

এ নদীতে শুস্ক মৌসুমে পণ্য আনা-নেয়ার একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা। তাও পণ্য পারাপার করতে হয় অনেক ঝুঁকি নিয়ে। পণ্য পারা-পারের সময় অনেক সময় মারাও পড়ে ঘোড়া।

সুমন মিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে ঘোড়ার গাড়িতে করে মালামাল নদী পার করতে হয়। অনেক সময় ঘোড়া মাল নিয়ে আসার সময় পানির মধ্যে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায়। গত দুই বছরে দুইটি ঘোড়া মারা গেছে। মাঝে মধ্যেই এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।

কামারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, দশনী নদীতে একটি সেতু নির্মাণ মানুষের প্রাণের দাবি। স্থানীয় সরকার দলীয় এমপিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি।

জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি বলেন, দশানী নদীর উপর একটি সেতু নির্মানের জন্য জাতীয় সংসদে ও আলোচনা করা হয়েছে।

শেরপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শেরপুর সদরের দশানী নদীতে সেতু তৈরির যাবতীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

শেরপুরে ব্রীজের অভাবে দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেরপুরের দশানী নদীর উপরে একটি ব্রিজের অভাবে অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ১৫ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ। বছরের অর্ধেক সময় বাশের সাকো ও অর্ধেক সময় নৌকায় কৃষিপণ্য আনা জন্য মানুষকে চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবার ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করা হচ্ছেনা আজো। তাই ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রক্ষপুত্র ও দশানী নদীর বন্যা থেকে রক্ষা করতে কামারেরচর বাজার ঘেষে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ দেয়ার ফলে শেরপুর সদর উপজেলার ১নং কামারেরচর ইউনিয়নের ৬নংচর, ৬নং চর নতুনপাড়া, পশ্চিমপাড়া, উত্তরপাড়া, নয়াপাড়া, ভাটিপাড়া, উজানপাড়া, কামারপাড়া, গোয়ালপাড়া, পয়েস্তীরচর জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। শেরপুর সদর উপজেলার থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে কামারেরচর ইউনিয়ন ও জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষে বুক চিড়ে বয়ে গেছে দশআনী নদী। এ গ্রামগুলোর ৫০ হাজার এ নদী পারি দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এ নদীর উপর সেতু না থাকায় বাঁশের ঝুঁকিপুর্ণ সাঁকো দিয়েপথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষ শুকনো মৌসুমে শত কষ্ট স্বীকার করে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। শুধু দুর্ভোগই নয় এ সময় অনেক ছাত্র-ছাত্রীর স্কুল ও কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তখন এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় নৌকা। বিশাল চরাঞ্চলের শাক-সবজী, ধানসহ নানা ফসল আনা-নেয়াতেও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যও পায় না এ এলাকার কৃষকরা।

এ নদী উপর একটি সেতু নির্মানের দাবি গ্রামবাসীদের। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি উঠে। বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া যায় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছ থেকে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি।

অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দশআনি নদী পারাপার করতে হয় শিশু কিশোর, ছাত্র, বৃদ্ধ সবাইকে। আবার অনেক সময় সঠিক সময় রোগী হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারায় চিকিৎসার অভাবে মারা যায় অনেকেই। সময়মতো শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না স্কুলে। তাই এলাকাবাসী এ দূর্ভোগ থেকে মুক্তি চায়।

সেতু না থাকায় পথচারিদের দুর্ভোগের পাশাপাশি এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য সঠিক সয়ে বাজারজাত করতে পারেন না কৃষকরা। ফলে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যও পায় না কৃষকরা।

স্থানীয়রা বলেন, আমাদের এ ব্রজিটি যে কবে হবে, আমরা জানিনা। জন্মের পর থেকেই এরকমই দেখতাছি। সরকার সারা দেশেই উন্নয়ন করেছে। অথচ আমাগো অল্প একটু ব্রজি করে দেয় না। খালি ভোটের সময় আসলে ভোট নেয়। ব্রজি না থাকায় সরাসরি ফসল বাজারে নিতে পারি না তাই ফসলের ভালো দাম পাই না।

মেহেদী হাসান পাপুল বলেন, সেতুর অভাবে সারাবছর দুর্ভোগের স্বীকার হই। আমাদের চরে প্রচুর সবজির আবাদ হয়। চরের এ সবজি সারাদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। সেতুর অভাবে কৃষকরা সময়মতো বাজারে নিতে পারে না। ফলে কৃষিপণ্যের প্রকৃত দাম পায় না কৃষকরা।

আব্দুর রশিদ বলেন, নদীর এপারে অনেক কৃষি পণ্যের আবাদ হয়। হাজার হাজার মণ বেগুন, পাট, গম, ধান নষ্ট হয়। কারণ যোগাযোগ ভালো না থাকায় পণ্য বাজারে তুলতে পারি না আমরা। তাই লাভবান হতে পারি না। আমরা সরকারের কাছে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাই।

এ নদীতে শুকনো সময় পন্য আনা-নেয়ার একমাত্র বাহন গোড়ার গাড়ি আর বর্ষার সময় নৌকা। তাও পন্য পারাপার করতে হয় অনকে ঝুঁকিতে। পন্য পারা-পারের সময় অনেক সময় মারাও পড়ে ঘোরা।

কামারের চর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরশ জানায়, শুষ্ক মৌসুমে আমরা এই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাই। এ সময় আমাদের বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হয়। অনেক সময় নদীতে বই খাতা পরে ভিজে যায়। আর বর্ষা মৌসুমে স্কুলে যেতে ভয় লাগে। ভয়ে একা নৌকা দিয়ে পার হতে পারি না। স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়।

কামারেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. হানিফ বিএসসি বলেন, আমি অনেক বছর যাবত এই স্কুলে শিক্ষকতা করি। নদী পারাপারের জন্য আমাদের নানা ধরনের অসুবিধা হয়। সময়মত স্কুলে যেতে পারি না।

বর্ষার সময় নদী পার হওয়ার জন্য বসে থাকতে হয়। এই ৬নং চরের দশনী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে এই এলাকার যোগাযোগ, ব্যবসা ও শিক্ষাব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন হবে।

এ নদীতে শুস্ক মৌসুমে পণ্য আনা-নেয়ার একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা। তাও পণ্য পারাপার করতে হয় অনেক ঝুঁকি নিয়ে। পণ্য পারা-পারের সময় অনেক সময় মারাও পড়ে ঘোড়া।

সুমন মিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে ঘোড়ার গাড়িতে করে মালামাল নদী পার করতে হয়। অনেক সময় ঘোড়া মাল নিয়ে আসার সময় পানির মধ্যে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায়। গত দুই বছরে দুইটি ঘোড়া মারা গেছে। মাঝে মধ্যেই এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।

কামারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, দশনী নদীতে একটি সেতু নির্মাণ মানুষের প্রাণের দাবি। স্থানীয় সরকার দলীয় এমপিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি।

জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি বলেন, দশানী নদীর উপর একটি সেতু নির্মানের জন্য জাতীয় সংসদে ও আলোচনা করা হয়েছে।

শেরপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শেরপুর সদরের দশানী নদীতে সেতু তৈরির যাবতীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।