নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করতে যাননি, গিয়েছেন দেশের উচ্চতা বাড়াতে, আগামী বাজেটের জন্য সহযোগিতা চাইতে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে যারা কষ্ট পাচ্ছে তাদের জীবন বাঁচাতে।
সোমবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় শ্রমিক লীগের এ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
কাদের বলেন, শেখ হাসিনার আজকে বিদেশ সফরের গুরুত্ব যারা বোঝে না, তারাই বঙ্গবন্ধুর কন্যার এ সফর নিয়ে কটাক্ষ করছে। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করতে যাননি, তিনি গিয়েছেন দেশের উচ্চতা বাড়াতে। শেখ হাসিনা নিজের জন্য বিদেশে যাননি। তিনি বিদেশে গেছেন আগামী বাজেটের জন্য সহযোগিতা চাইতে। তিনি বিদেশে গেছেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আজকে যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কষ্ট পাচ্ছে, এই সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সবসময় চান বাংলাদেশ কখনো সংকটে না পড়ুক। এ দেশের মানুষের শান্তির জন্য শেখ হাসিনা বিদেশ সফর করছেন। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক নিজেই ভুল স্বীকার করে তারা নিজেরাই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গারা আমাদের ওপর বোঝা হযে দাঁড়িয়েছে। মির্জা ফখরুল কটাক্ষ করেন। শেখ হাসিনা বাজেট সহযোগিতার জন্য জাপানে ৩০০ মিলিয়ন পেয়েছেন, বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার কথা আছে। আগামী দিনগুলো সুন্দর করার জন্য, বিশ্ব সংকটে জীবনের চাকা সচল রাখা, সাধারণ মানুষের শান্তির জন্য শেখ হাসিনা বিদেশ গেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি ৫২ দল, ১২ দল নিয়ে ১০ দফা বিক্ষোভ পদযাত্রা, হোঁচট খাওয়া আন্দোলন করেছে। পদযাত্রার নামের শেষ যাত্রা করছে বিএনপি। বিএনপির আন্দোলন, দফা, দল সবই ভুয়া। বিএনপি পথ হারা, দিশেহারা ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দের মতো দশা। বিএনপি রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে গেছে, আন্দোলনে পরাজিত, নির্বাচনে আসলেও পরাজিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে এখন দেশের অর্থনীতিকে পরাজিত করার টার্গেটে নেমেছে। প্রহসনের নির্বাচনে এদেশের মানুষ আর ফিরে যাবে না। এদেশের মানুষ অর্থপাচারকারী তারেক রহমানদের হাতে দেশের ক্ষমতা তুলে দেবে না।
যারা প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের বিরুদ্ধে বলে, তাদের কিছু বলবার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হিংসার আগুনে জ্বলে। হিংসার আগুনে জ্বলে। পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জালা, বঙ্গবন্ধু টানেলের জ্বালা, ১০০ সেতুর জ্বালা, ১০০ রাস্তার জ্বালা, শেখ হাসিনার ওপর জ্বালায় তারা মরে।
সড়কমন্ত্রী বলেন, এই ঈদে কোনো পথেই অশান্তি নেই। মানুষ শান্তিতে বাড়ি ফিরেছে। মানুষ যদি শান্তিতে থাকে বিএনপির মনে কষ্ট লাগে। বাংলার মানুষ ভালো আছে, আর বিএনপির মন খারাপ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে দেখা যাবে ‘কত ধানে কত চাল’। সিটি নির্বাচনে তাদের দেখবেন ঘোমটা পরা প্রার্থী। বাইরে দেখাবে আমাদের প্রার্থী নেই, তলে তলে এগুলো তারেক জিয়ার প্রার্থী।
নেতাকর্মীদের মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পতাকা সমুন্নত রাখা হবে। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই- এমন কাউকে নমিনেশন দেওয়া হবে না। অর্থ পাচারকারী, লুডু খেলার ইতিহাস- আওয়ামী লীগে এসবের স্থান নেই।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।