নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৬ বছর জনগণের ওপর স্ট্রিম রোলার চালিয়েছে। দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে আজকে আমরা মুক্ত হয়েছি। জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দলটির আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৬ বছরে শত শত মানুষ গুম নির্যাতন করেছেন। ছাত্রদল, যুবদলের নেতা-কর্মীরা ঢাকা শহরে হকারি করেছেন। আজকে ছাত্র জনতার আন্দোলনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তা হেলা-ফেলা করে নষ্ট করতে দিবো না। আপনারা জনগণ গণতন্ত্রকে পাহারা দিতে হবে। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও আমরা এই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের অনেক প্রেতাত্মা অবস্থান করেছে। তারা এখনো ছাত্র-জনতার বিজয়কে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সবসময় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। শুধু ৫২, ৭১ নয়। গণতন্ত্র যেন সাসটেইনেবল হয় সে জন্য আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, সেটি যেন হেলায় হেলায় ফেলে না দেই।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রথমে ২৭ দফা পরে ৩১ দফা দিয়ে লড়াই-সংগ্রাম করেছি। অনেক রিকশাচালক ভাই গ্রামে থাকতে পারেননি, তারা শহরে চলে এসেছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সামনে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না। আপনারাই হলেন গণতন্ত্রের পাহারাদার বা ভ্যানগার্ড। আবারও যদি কেউ ধ্বংস করতে চায় আপনারা রুখে দাঁড়াবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব এখনো সরকারের প্রশাসনে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বসে আছে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এখনো আমলা-সরকারের মধ্যে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা আছে। তারা এখনো সব ধরণের চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্র করছে।
সমাবেশে উপস্থিত তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা হচ্ছেন সেই ভ্যানগার্ড, আজ আবার কেউ গণতন্ত্রকে বিপথে নিতে চাইলে রুখে দাঁড়াবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশা করি প্রিয় নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন। তিনি চিকিৎসা শেষে আবার দেশে ফিরে আসবেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, ডা. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।