Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবেন না বলে দম্ভোক্তি করেছিলেন : ১২ দলীয় জোট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেখ হাসিনা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবেন না বলে দম্ভোক্তি করেছিলেন। কিন্তু যখন দেখলেন পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে, তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একদিনের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সেখানে নানাভাবে তদবির করে যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যানেজ করতে সপ্তাহ পার করে দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই- এতে কোনো লাভ হবে না। বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

সরকার পতনের একদফা দাবিতে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির টাংকির সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে জোট নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে বিজয়নগর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলের শুরুতে বেগম খালেদা জিয়া আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম।

তারা বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের শঙ্কা ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো আসন্ন নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

জোট নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্রকে হিমঘরে পাঠায়। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, অথচ একদলীয় বাকশাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সেই চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

তারা বলেন, ১৫ বছর ধরে আবারও অঘোষিত বাকশাল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত দুইবারের মতো এবারও যদি আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ চালানোর সুযোগ পায়, তাহলে দেশে পুরোপুরি বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। দেশে গণতন্ত্র চিরদিনের জন্য বিদায় নেবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার। বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানসুর আলম শিকদার প্রমুখ।

আবহাওয়া

সংস্কারের অভাবে সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

শেখ হাসিনা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবেন না বলে দম্ভোক্তি করেছিলেন : ১২ দলীয় জোট

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেখ হাসিনা আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবেন না বলে দম্ভোক্তি করেছিলেন। কিন্তু যখন দেখলেন পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে, তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একদিনের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সেখানে নানাভাবে তদবির করে যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যানেজ করতে সপ্তাহ পার করে দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই- এতে কোনো লাভ হবে না। বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

সরকার পতনের একদফা দাবিতে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির টাংকির সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে জোট নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে বিজয়নগর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলের শুরুতে বেগম খালেদা জিয়া আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম।

তারা বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের শঙ্কা ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো আসন্ন নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

জোট নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্রকে হিমঘরে পাঠায়। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, অথচ একদলীয় বাকশাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সেই চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

তারা বলেন, ১৫ বছর ধরে আবারও অঘোষিত বাকশাল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত দুইবারের মতো এবারও যদি আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ চালানোর সুযোগ পায়, তাহলে দেশে পুরোপুরি বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। দেশে গণতন্ত্র চিরদিনের জন্য বিদায় নেবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার। বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক দলের (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানসুর আলম শিকদার প্রমুখ।