Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ মুজিবসহ জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থাকবে : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকারে থাকা সবাই মুক্তিযোদ্ধা-এ কথা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগর সরকার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার কারণে সেই সরকারের সাথে যুক্ত সবার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থাকবে।

বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

ফারুক-ই-আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারে শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী, কামরুজ্জামান, খন্দকার মোশতাক ছিলেন-তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।

ফারুক ই আজম বলেন, বিদেশে এবং দেশের অভ্যন্তরে যারা সহযোগিতা করেছেন, কাজ করেছেন, যারা সশস্ত্র ছিলেন না, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। তারা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত হবেন। মুজিবনগর সরকারে যারা যুক্ত ছিলেন। তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার পুরো যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। এটা ঐতিহাসিক সত্য। ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না। মুজিবনগর সরকারকে ‘সহযোগী’ বলা হয়নি। ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

ফারুক ই আজম বলেন, সহযোগী অর্থ এই নয় যে, তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। তাদের একই অবস্থানে রাখা হয়েছে। তাদের অবদানও অসাধারণ। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত ভাতা-সুবিধাদি ইত্যাদির ক্ষেত্রেও কোনো বৈষম্য নেই, সবাই সমান।

অন্তর্বর্তী সরকার বাহাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায়নে ফেরত গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা নতুন করে প্রবর্তন করিনি, এটা ৭২’ এ ছিল। এখন যে সংজ্ঞা আমরা দিয়েছে সেটি হুবহু ১৯৭২ এ ছিল। এটা ২০১৮ ও ২০২২ এ পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আমরা সেটিকে আবারও বাহাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায়নে ফেরত নিয়ে গেছি।

এদিকে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে এ অধ্যাদেশের গেজেট জারি করে মন্ত্রণালয়।

ওই অধ্যাদেশে বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রাখা ব্যক্তি, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক্তার-নার্স, মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত পরবর্তীতে গণপরিষদের সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এছাড়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশে বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিক এবং স্বধীন বাংলা ফুটবল দলকেও সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

যাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে তারা সনদ পাওয়ার অধিকার রাখেন তবে পদবী পরিবর্তন হলেও মর্যাদা ছোট হবে না বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

শেখ মুজিবসহ জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থাকবে : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০১:০৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকারে থাকা সবাই মুক্তিযোদ্ধা-এ কথা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগর সরকার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার কারণে সেই সরকারের সাথে যুক্ত সবার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থাকবে।

বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

ফারুক-ই-আজম বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকারে শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী, কামরুজ্জামান, খন্দকার মোশতাক ছিলেন-তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।

ফারুক ই আজম বলেন, বিদেশে এবং দেশের অভ্যন্তরে যারা সহযোগিতা করেছেন, কাজ করেছেন, যারা সশস্ত্র ছিলেন না, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। তারা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত হবেন। মুজিবনগর সরকারে যারা যুক্ত ছিলেন। তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার পুরো যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। এটা ঐতিহাসিক সত্য। ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না। মুজিবনগর সরকারকে ‘সহযোগী’ বলা হয়নি। ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

ফারুক ই আজম বলেন, সহযোগী অর্থ এই নয় যে, তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। তাদের একই অবস্থানে রাখা হয়েছে। তাদের অবদানও অসাধারণ। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত ভাতা-সুবিধাদি ইত্যাদির ক্ষেত্রেও কোনো বৈষম্য নেই, সবাই সমান।

অন্তর্বর্তী সরকার বাহাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায়নে ফেরত গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা নতুন করে প্রবর্তন করিনি, এটা ৭২’ এ ছিল। এখন যে সংজ্ঞা আমরা দিয়েছে সেটি হুবহু ১৯৭২ এ ছিল। এটা ২০১৮ ও ২০২২ এ পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আমরা সেটিকে আবারও বাহাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞায়নে ফেরত নিয়ে গেছি।

এদিকে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে এ অধ্যাদেশের গেজেট জারি করে মন্ত্রণালয়।

ওই অধ্যাদেশে বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রাখা ব্যক্তি, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক্তার-নার্স, মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত পরবর্তীতে গণপরিষদের সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এছাড়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশে বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিক এবং স্বধীন বাংলা ফুটবল দলকেও সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

যাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে তারা সনদ পাওয়ার অধিকার রাখেন তবে পদবী পরিবর্তন হলেও মর্যাদা ছোট হবে না বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।