যশোর জেলা প্রতিনিধি :
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের বিভিন্ন স্ট্যান্ডে দু’পাশে বাসস্টপেজ থাকা সত্বেও যথেচ্ছভাবে গাড়ি থামাচ্ছেন চালকরা। এতে মহাসড়ক আটকে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপে যানজট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন ভূমিকা পালন করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়ক ধরে ফুলের রাজ্য গদখালী যাওয়ার রাস্তার আগে বাসস্টপেজ তৈরি করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একইভাবে বিপরীত পাশেও রয়েছে স্টপেজ। তবে সেখানে না থেমে পানিসারা যাওয়ার পথে এবং তার উল্টোপাশে যাত্রী উঠানামা করছে। সময় নির্ধারিত থাকায় প্রায় একই সময়ে একসঙ্গে দুটি বাস মহাসড়কে দুপাশে যাত্রীর আশায় দাঁড়িয়ে আছে। ফলে সড়কের দু’পাশেই যানজট বেধে আছে।
এ দৃশ্য শুধু গদখালীরই নয়, চাঁচড়া চেকপোস্ট, নতুনহাট, ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ড, নাভারণ সাতক্ষীরা মোড়, রেল বাজারসহ প্রায় সবকটি বাসস্টপেজের চিত্র একই।
গদখালী বাজারের মুদি দোকানি ফারুক হোসেন বলেন, রাস্তা দখল করে দু’পাশেই বাস দাঁড়িয়ে থেকে বাজারে যানজট সৃষ্টি করে। ফুলের চাষ দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে আসে। বিশেষ করে শীতকালে যানজটের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পাশাপাশি ছুটির দিনে রাস্তায় পা ফেলার জায়গা থাকে না।
নাভারণ সাতক্ষীরা মোড় এলাকার স্থানীয় আবু জাফর মনা বলেন, সাতক্ষীরা ও বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা বাস-ট্রাক এই স্ট্যান্ড দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এখানে বাসস্টপেজ থাকলেও লোকাল বাসের চালকরা যেন চোখে দেখেন না। সড়কের ওপরেই বাস থামিয়ে যানজটের সৃষ্টি করেন।
এদিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই। ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের ওপর যাত্রীবাহী বাস দাঁড়ানোর কারণে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নাভারণ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। স্টপেজে না দাঁড়িয়ে যানজট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিতে কথা বলে সমাধান করা হবে। না হলে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।
হাইওয়ে পুলিশের যশোর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নাসিম খান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।