স্পোর্টস ডেস্ক :
জয় দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করেছে বাংলাদেশ। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
এর আগেও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এ টুর্নামেন্টে দু’বারের মুখোমুখিতে হারলেও তৃতীয়বারে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে লাল-সবুজের দল। তবে এমন জয়ের দিনে লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার সৌম্য সরকার।
শ্রীলংকার দেওয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২ বল খেলে শূন্য রান করে ধনঞ্জয় ডি সিলভার শিকারে পরিণত হন সৌম্য। এতে এক বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-২০তে সব থেকে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়া ক্রিকেটার এখন এ ওপেনার।
অবশ্য এ রেকর্ডে তিনি একা নন। তার সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ ফরম্যাটে দু’জনেই ১৩ বার শূন্য রানে আউট হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। আন্তর্জাতিক টি-২০তে সবশেষ তিন ইনিংসে সৌম্যর দ্বিতীয় শূন্য এটি।
স্টার্লিং ১৪৩ ইনিংস খেলে ১৩ বার শূন্য রানে আউট হলেও সৌম্যর লেগেছে ৮৩ ইনিংস। এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ১৪৪ ইনিংসে ১২ বার শূন্য রানে আউট হন।
এদিকে সৌম্য ও স্টার্লিংয়ের এ রেকর্ডে অবশ্য খুব দ্রুতই যোগ দিতে পারেন রোহিত শর্মা। ১২টি শূন্য রানের ইনিংসে তাদের পেছনে অবস্থান করছে ভারত অধিনায়ক। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও দুজন অন্তত দশটি শূন্যর দেখা পেয়েছেন। স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক রিচি বেরিংটন ৯২ ম্যাচে ১০ বার আউট হয়েছেন রানের খাতা না খুলেই। সমান সংখ্যক ম্যাচে একই অভিজ্ঞতা হয়েছে শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকারও।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌম্যের পরে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ডাকের তালিকায় নাম আছে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের। দুজনের নামের পাশেই ৮টি করে ডাক। ১০২ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে বিদায় নেয়ায় এ সংখ্যাটি বাড়ার সুযোগ নেই মুশফিকের। অন্যদিকে ১২৩ ম্যাচ খেলা সাকিবও ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে।
টি-টোয়েন্টিতে ৮৪ ম্যাচ সৌম্যর রান ১৩৯৮, যেখানে স্ট্রাইক রেট ১২২.৯৫ এবং গড় স্রেফ ১৭.৬৯। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ব্যাটারের পরিসংখ্যানটা আরও হতাশাজনক। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৬ ইনিংসে স্রেফ ১৫১ রান করেছেন সৌম্য। স্ট্রাইক রেট একশ’য়েরও নিচে ৯৮.৬৯, গড়টাও ৯.৪৩। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসে ২১। তাই সৌম্য ফিরবেন ফর্মে এবং সেটি টি-টোয়েন্টিতে, তখন যেন সেটি দীর্ঘ অপেক্ষায় ব্যাপার।